কলকাতা, 31 অগাস্ট : কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন শিক্ষানীতির কয়েকটি বৈশিষ্ট্যে স্পষ্টতার অভাব রয়েছে এবং এগুলি সমগ্র দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় । জানাল NEP 2020 বিশ্লেষণের জন্য গঠিত রাজ্য সরকারের প্যানেল । গতকাল প্যানেলের এক সদস্য বলেন, প্রায় প্রতিটি রাজ্যেরই আলাদা ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রয়েছে ।
প্যানেলের ওই সদস্যের বক্তব্য, “ভারতের মতো আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় প্রতিটি রাজ্যে বিশেষত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি সাধারণ ধারণা প্রয়োগ করা যায় না । নতুন শিক্ষানীতির কয়েকটি বৈশিষ্ট্য, যেমন দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার পুনরায় পরিকল্পনা এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির সংস্কার ইত্যাদিতে স্পষ্টতার অভাব রয়েছে । 130 কোটি জনসংখ্যার দেশে ভাষাগত ঐতিহ্য নির্বিশেষে সমস্ত রাজ্যের উপর অভিন্ন শিক্ষানীতি জোর করে প্রয়োগ করা যায় না ।” তিনি বলেন, "মণিপুরের ক্ষেত্রে যা প্রযোজ্য হতে পারে তা পঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ বা তামিলনাড়ুতে প্রযোজ্য না-ও হতে পারে ।"
গত মাসের শেষের দিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি অনুমোদনের পর রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বলেছিলেন, প্যানেল তার রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর রাজ্য সরকার নতুন নীতি নিয়ে মতামত জানাবে ।
23 অগাস্ট প্যানেল উচ্চশিক্ষা দপ্তরে প্রায় 100 পাতার একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে । তবে রাজ্য এখনও এই নীতির বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নিজের মতামত জানায়নি । এই প্রতিবেদনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস, নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ি এবং শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার সহ প্যানেলের সমস্ত সদস্যের পর্যবেক্ষণকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে । শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর আগে NEP-কে "পশ্চিমি দেশে প্রচলিত সিস্টেমের অনুলিপি" বলে উল্লেখ করেন ।