কলকাতা, 18 মার্চ : জল, রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, এলাকার পরিচ্ছন্নতা । মূলত এসব ইশু নিয়ে স্থানীয়স্তরের ভোট হয় । অর্থাৎ, পঞ্চায়েত বা পৌরভোট । 5 বছরে বিভিন্ন পৌরবোর্ড কেমন কাজ করেছে তার মূল্যায়ন হবে এবার । কারণ, সামনেই পৌরভোট । ভাগ্য নির্ধারণ হবে শতাধিক পৌরবোর্ডের । এমন একটা সময়ে বিভিন্ন বোরো-ওয়ার্ড কেমন কাজ করেছে তা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের মতামত নিচ্ছে ETV ভারত । প্রকাশিত হচ্ছে প্রতিবেদন । আজ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে কলকাতা পৌরনিগমের 69 নম্বর ওয়ার্ড ।
69 নম্বর ওয়ার্ডটি বোরো 8 এর অন্তর্গত। ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের শুকদেব চক্রবর্তী সম্প্রতি মারা গেছেন । তাই ওয়ার্ডটি এখন তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক প্রেসিডেন্ট তত্ত্বাবধানে রয়েছে । এই ওয়ার্ডের মোট ভোটার সংখ্যা হল 37,993 ।
প্রয়াত কাউন্সিলর শুকদেব চক্রবর্তীর অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করাই এখন মূল লক্ষ্য । যদিও এই বোর্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি দিলীপ বসু জানান বেশিরভাগ কাজই কাউন্সিলর তাঁর জীবদ্দশায় শেষ করেছেন । তবে এখনও কিছু কাজ বাকি রয়েছে যেগুলো শেষ করতে হবে । বলেন,"গতবার BJP-র সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের লড়াই ছিল একেবারে হাড্ডাহাড্ডি । তবে এই এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের কাজ মানুষ দেখেছে । তাই এবারও জিতব আমরাই । সে বিষয়ে আমি আশাবাদী ।" তিনি আরও বলেন, "এখানে এত বাড়ি হয়ে গেছে যার ফলে নিকাশীর সমস্যা রয়েছে । সেই কাজ শুরু করে দিয়েছি । পৌর নির্বাচনের আগে আশা করছি শেষ করে দিতে পারব । এবার মনে হচ্ছে জল জমার যে সমস্যা ছিল সেটা দূর হবে । এখানকার বস্তি আগে CPI(M)-এর আমলে সমাজবিরোধীদের আড্ডা ছিল । কিন্তু এখন একদম শান্ত হয়ে গেছে । " তিনি জানান, এলাকায় একটি কমিউনিটি হলের অভাব রয়েছে । এবার ক্ষমতায় ফিরে এলে প্রথমে সেটি তৈরির দিকে নজর দেবেন ।
অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের গলায় অন্য সুর । স্থানীয় এক বাসিন্দা রুম্পা প্রসাদ জানান, খাবার জলের সমস্যা রয়েছে । বৃষ্টিতে রাস্তায় জল জমে যায় । একই বক্তব্য এলাকার আরও এক বাসিন্দা সঞ্জয় আগরওয়ালের । বলেন, "বৃষ্টি হলেই এলাকায় জল জমে যায় ।" অপর এক স্থানীয় বাসিন্দা তপতী বিশ্বাস বলেন, "দিদিকে বলোতে বলেও আমাদের কোনও সমস্যার সমাধান হয়নি । আর কাউন্সিলরের কোনও দেখাই পাওয়া যেত না । " স্থানীয় বাসিন্দা সুদেষ্ণা দাস বলেন, "রাস্তাঘাট চারদিকে খোড়া । যাতায়াতে সমস্যা হয় । কাউন্সিলর অনেকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন । তাই যে কোনও দরকারে পার্টি অফিসে যেতে হত ।"
যদিও ব্লক সভাপতি দিলীপ বসুর দাবিকে নস্যাৎ করে স্থানীয় BJP নেতা তথা বালিগঞ্জ মণ্ডলের জেনেরাল সেক্রেটারি চন্দন রায় জানান, এবার তাঁরাই জিতবেন । বলেন, " এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা ছিল । পানীয় জল থেকে নর্দমার গন্ধ বের হত । উন্নয়ন বলতে তেমন কিছু হয়নি এখানে । ফুটপাত বানানো ও সংস্কার ছাড়া বিশেষ কিছু হয়নি । এখানে মশার খুব উপদ্রব । এর আগে যিনি কাউন্সিলর ছিলেন তাঁর সময় এলাকায় মশা ছিলই না । কিন্তু এখন সন্ধ্যে হলেই মশার উপদ্রব দেখা যায় । পাশাপাশি জঞ্জালের সমস্যা রয়েছে । কিন্তু জমা জলের সমস্যাটা এখন দূর হয়েছে ।" তিনি আরও বলেন," আমরা 100 শতাংশ জিতছি । লোকসভা নির্বাচনের সময় দেখেছি আমাদের ফলাফল খুব ভালো হয়েছে । এবং আমরা জিতছি । "