কলকাতা, 3 জানুয়ারি : করোনা আবহে কীভাবে এই ভোট হবে তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল রাজ্য সরকার । বৈঠক শেষে জানিয়ে দেওয়া হল, নির্ধারিত দিনেই হবে রাজ্যের সমস্ত পৌরভোট (Municipal Corporation Election 2022) ৷ যদিও, কোভিড আতঙ্কে একগুচ্ছ নিয়ম বেঁধে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৷ এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বিধিনিষেধগুলি ৷
- পাঁচজনের বেশি লোক নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার করা যাবে না
- সাইকেল বা বাইক মিছিল করা যাবে না
- সর্বাধিক 500 জন লোকের উপস্থিতিতে জনসভা করা যাবে
- কনফারেন্স হলে মিটিংয়ে থাকতে পারবেন সর্বোচ্চ 200 জন অথবা হলের ধারণক্ষমতার 50% ৷ দুটির মধ্যে কম সংখ্যাটি বেছে নিতে হবে
- ভোটের প্রচারে রোড শোয়ে নিষেধাজ্ঞা
- ভোটের তিনদিন আগে থেকে কোনও প্রচার নয়
- মাস্ক পরা নিয়ে কড়াকড়ি
- প্রতি পুরসভায় রাখতে হবে একজন করে নোডাল হেলথ অফিসার
- কিছুক্ষণ অন্তর স্যানিটাইজ করতে হবে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিকে
আরও পড়ুন : ভার্চুয়ালের সঙ্গে সশরীরেও শুনানি হোক, প্রধান বিচারপতিকে চিঠি বার অ্যাসোসিয়েশনের
গত 24 ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন 6 হাজার 153 জন ৷ চোখ রাঙাচ্ছে ওমিক্রন আতঙ্কও ৷ এর মধ্যেই আজ থেকে ফের কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধ চালু হয়েছে রাজ্যে (New Covid Guidelines announced in West Bengal) ৷ ইতিমধ্যেই সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তার 50% কর্মী নিয়ে কাজ করছে । বন্ধ হয়ে গিয়েছে স্কুল, কলেজ-সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । রাজ্যে শুরু হয়েছে নাইট কার্ফুও । বিভিন্ন প্রান্তে ফিরেছে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ।
এই বিধিনিষেধের মধ্যেই রয়েছে বিধাননগর-সহ রাজ্যের চার পৌরনিগমের ভোট । কাল রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভোট বাতিল করা হচ্ছে না ৷ করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে সুষ্ঠুভাবে ভোট করানোর দায়িত্ব রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission will lead Municipal Corporation Election) ৷ তারপরেই আজ পৌরভোটের ব্লু-প্রিুন্ট তৈরি করতে বৈঠকে বসেছিল সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৷
আরও পড়ুন : বন্ধ স্কুল-কলেজ, সন্ধের পর চলবে না লোকাল ট্রেনও
অন্যদিকে, স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়ে গেলেও পৌরভোট বাতিল না করার সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি । বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের উচিত সবাই যাতে প্রচার করতে পারে তার সুযোগ দেওয়া । করোনা আবহে নির্বাচন না করে অবিলম্বে ভোট পিছিয়ে দেয়া উচিত । কিন্তু তা না করে এর মধ্যেই ভোট করে বাড়তি সুবিধা নিতে চাইছে তৃণমূল । রাজ্য নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ সংস্থা হয়েও শাসকদলকে সমর্থন করছে ।’’