কলকাতা, 28 জানুয়ারি : রোজভ্যালি কাণ্ডে এবার সিবিআই ও ইডির মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের অভিযোগ উঠল। কারণ, সিবিআই অভিযোগ তুলেছে যে রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর ব্যবহার করা 3টি মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ রহস্যজনকভাবে পাওয়া যাচ্ছে না৷ তা ইডির দপ্তর থেকে খোয়া গিয়েছে বলে সিবিআই-এর অভিযোগ।
ইতিমধ্যে গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রী শুভ্রা কুণ্ডুকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। তাঁকে জেরা করে সিবিআই জানতে পেরেছে, 2014 সালে তাঁদের বাড়ি থেকে গৌতম কুন্ডুর ল্যাপটপ ও তিনটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেন ইডির আধিকারিকরা। কিন্তু তা এখন পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে সিবিআই৷ ফলে প্রশ্ন উঠেছে যে খোদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দপ্তর থেকে কীভাবে এই গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জামগুলি খোয়া গেল ? ইডি সূত্রে খবর, এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন ইডি আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
জানা গিয়েছে, রোজভ্যালি কাণ্ডে গৌতম কুণ্ডুকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর কলকাতার ফ্ল্যাট থেকে একাধিক নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি৷ বাজেয়াপ্ত হওয়া ওই সরঞ্জামের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল উদ্ধার হওয়া তিনটি মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ। ওই ফোন ও ল্যাপটপ ব্যবহার করতেন গৌতম কুণ্ডু নিজেই৷ গ্রেপ্তারির সঙ্গে সঙ্গেই ইডি দপ্তরে ওই তিনটি মোবাইল ও ল্যাপটপ রাখা ছিল। তার পর আর কোনও খোঁজ নেই ওইগুলির৷ তাই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এই ঘটনায় খোদ ইডির গোয়েন্দারাই যুক্ত রয়েছেন ? পাশাপাশি আইনত বাজেয়াপ্ত হওয়া সরঞ্জাম কীভাবে দপ্তরের বাইরে চলে যেতে পারে, তাও আবার খোদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দপ্তর থেকে, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন : 193 আসনে রফা করে 28শে ব্রিগেড চলোর ডাক বাম-কংগ্রেসের
তাহলে কি রোজভ্যালি কাণ্ডে সিবিআই ও ইডির মধ্যে সমন্বয়ের অভার রয়েছে ? কারণ, সিবিআই দাবি করছে যে গৌতম কুণ্ডুর ব্যবহার করা তিনটি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ কোথায় গেল, তা জানতে চেয়ে সিবিআইয়ের তরফে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয় ইডিকে। কিন্তু কোনও জবাব দেয়নি ইডি।
তবে এনিয়ে ইডির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷