কলকাতা, 19 ফেব্রুয়ারি: বোমা বিস্ফোরণে জখম মন্ত্রী জাকির হোসেনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে তাঁর চিকিৎসা চলছে এসএসকেএম হাসপাতালে। মন্ত্রীর পাশাপাশি ওই বিস্ফোরণে জখম আরও 14 জনেরও সেখানে চিকিৎসা চলছে। শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, আহতদের মধ্যে তিনজনের শারীরিক অবস্থা সংকটজনক।
গত বুধবার রাতে মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনে বোমা বিস্ফোরণে জখম হন মন্ত্রী জাকির হোসেন-সহ বেশ কয়েকজন। তাঁদের প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখান থেকে মন্ত্রী-সহ 15 জনকে বৃহস্পতিবার ভোরে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। বিস্ফোরণে মন্ত্রীর হাত-পা-সহ শরীরের অন্যান্য অংশে আঘাত লেগেছে। জখম অন্য 14 জনেরও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত লেগেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণে জখম মন্ত্রীকে যখন গতকাল ভোরে এই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তখন দেখা যায়, মন্ত্রীর ডান হাতের অনামিকার মাথা উড়ে গিয়েছে, তাঁর বাঁ পা ঝলসে গিয়েছে, পায়ের বুড়ো আঙুল অর্ধেক কেটে গিয়ে ঝুলছে। রক্তে ভেসে যাওয়া পায়ের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে স্প্লিন্টার। চিকিৎসকরা দেখেন, মন্ত্রীর ব্লাড প্রেসার নেমে গিয়েছে, তাঁর পায়ের গোড়ালি ভেঙে গিয়েছে, পায়ের হাড় ভেঙে তিন টুকরো হয়ে গিয়েছে। বাকি 14 জনের মধ্যে কারও মাথায় আঘাত লেগেছে, কারও মুখ ঝলসে গিয়েছে। মন্ত্রী-সহ বাকি জখমদের চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আজ, শুক্রবার মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকের পরে জখম সবার চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: জাকির হোসেন কাণ্ডের তদন্তে অনুজ শর্মার নেতৃত্বে সিট গঠন সিআইডির
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অস্ত্রোপচারে মন্ত্রীর আঙুলের চিকিত্সা হয়েছে। তার দিয়ে বেঁধে জোড়া লাগানো হয়েছে পায়ের ভাঙা হাড়। স্যালাইন ওয়াটার দিয়ে ক্ষতস্থান থেকে বারুদ ধুয়ে ফেলার সময় বেরিয়ে গিয়েছে স্প্লিন্টারগুলি। তাঁর পায়ের ত্বক, গোড়ালি মেরামত করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার মন্ত্রীর আরও একটি অস্ত্রোপচার করা হতে পারে। তবে, তাঁর অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস এবং আগে বাইপাস সার্জারি হওয়ার কারণে চিকিৎসকরা সতর্ক রয়েছেন।