কলকাতা, 24 জুন : সল্টলেকের বিএফ ব্লককে মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন করা হল । এই অঞ্চলে একাধিক পরিবার কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন । সর্বশেষ একই পরিবারে পাঁচজন কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় প্রশাসনের তরফে এই অঞ্চলকে মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন করা হল বলে জানা গিয়েছে ৷
করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে সল্টলেক ছাড়াও বাঙ্গুরকে কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে । ওই সমস্ত এলাকায় দমকল বিভাগ এবং পুরনিগম প্রত্যেক বাড়িতে স্যানিটাইজেশন চালাচ্ছে । সল্টলেকে বিএফ ব্লকের একই পরিবারের 5 জন এবং অন্য একটি বাড়িতে 1 করোনা আক্রান্ত হওয়ায় এলাকাটিকে আজ মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয় প্রশাসনের তরফে ৷ যাঁরা করানো আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসা চলছে বাড়িতেই । সকলেই চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে ।
আরও পড়ুন : Corona in Bengal : সামান্য কমেছে সংক্রমণ তবে বেড়েছে মৃত্যু
তার জেরেই আজ সেই এলাকা ঘিরে ফেলে যাতায়াত বন্ধ করে দেয় বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ । এই এলাকায় বিধাননগর পুরনিগমের তরফে স্যানিটাইজ করা হবে এবং ব়্যাপিড টেস্ট করা হবে বলে জানান ডিসি বিধাননগর উমেশ গণপত । 30 জুন পর্যন্ত রাজ্যে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধের জেরে কার্যত লকডাউন চলবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন । সেই দিকেই নজর রেখে এবার ছোট ছোট কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করে করোনা মোকাবিলায় জোর দিতে চাইছে রাজ্য সরকার ।
উল্লেখ্য, গত বছর মার্চ মাসের শেষের দিক থেকে করোনার থাবা ভারত জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ৷ সেই সারা দেশেই লকডাউন করা হয় ৷ জুন মাস থেকে শুরু হয় আনলক পর্ব ৷ সেই সময়ও ছোট ছোট এলাকা ধরে কন্টেইনমেন্ট জোন, মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন গড়ে তোলা হয় ৷ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ক্ষেত্রেও সেই একই পদক্ষেপ করা হল ৷
আরও পড়ুন : এবার থেকে গণ টিকাকরণে লাগবে স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি
যদিও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে এখানেই শেষ নয় ৷ এর পর করোনার তৃতীয় ঢেউও আসতে চলেছে ৷ সেই কারণে সরকারি তরফে আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে ৷ বিশেষ করে শিশু সুরক্ষার উপর নজর রাখা হচ্ছে ৷