কলকাতা, 11 এপ্রিল : কোরোনা পরিস্থিতি যাতে নাগালের বাইরে না যায়, তা নিশ্চিত করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । বৈঠকে আজ প্রধানমন্ত্রীর কাছে আরও একবার আর্থিক প্যাকেজ চাইলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী । এর আগেও কোরোনা মোকাবিলায় রাজ্যের জন্য আর্থিক প্যাকেজ চেয়েছিলেন তিনি । আজ ফের আরও একবার কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের জন্য আর্থিক প্যাকেজ চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী ।
এদিকে দেশজুড়ে তিন সপ্তাহ ব্যাপী যে লকডাউন চলছে, তা আরও বাড়ানো হবে কি না তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আজকের বৈঠকের পরেই । লকডাউন যে আরও বাড়তে পারে সেই ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । রাজ্যে দিন দিন খারাপ হচ্ছে কোরোনা পরিস্থিতি । এই পরিস্থিতিতে কোনও একটি এলাকার রাস্তা ও তার দু'পাশের বাড়িগুলিকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করার কথা বলা হয়েছে । হটস্পট সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিকে ক্লাস্টার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ।
রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানিয়েছেন বেশ কিছু এলাকাকে ইতিমধ্যেই শনাক্ত করা হয়েছে । এরমধ্যে রয়েছে কলকাতায় আলিপুর, পণ্ডিতিয়া রোড, বড়বাজার, নয়াবাদ, মুদিয়ালি ও ভবানিপুর এলাকা । পাশাপাশি হাওড়ার শিবপুর, উত্তর 24 পরগণার বেলঘরিয়া, পূর্ব মেদিনীপুরের এগরাও রয়েছে । কালিম্পঙেরও একটি এলাকাকেও চিহ্নিত করা হয়েছে ।
এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে সিল করে দেওয়াই এখন সংক্রমণ মোকাবিলার একমাত্র দাওয়াই বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকদের একাংশ । ওইসব এলাকাগুলিতে পুলিশ মোতায়েন করে এলাকায় স্থানীয় মানুষের প্রবেশ ও বাইরে যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করা উচিত বলেও মনে করা হচ্ছে । সরকারের পক্ষ থেকে ওইসব এলাকায় খাবার ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন ।
ওই এলাকাগুলির স্থানীয় বাজার হয় বন্ধ করে রাখতে হবে, নাহলে অন্যত্র স্থানান্তরিত করতে হবে । রাজ্যের কোরোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপাতত এই পথেই সরকারকে এগোতে হবে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকদের একাংশ ।
রাজ্যের তরফে প্রকাশিত সর্বশেষ রিপোর্ট অনুসারে, রাজ্যে বর্তমানে 89 জন কোরোনায় সংক্রমিত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে । গতকালই নতুন করে 12 জনের শরীরে মিলেছে ভাইরাসের হদিস । পাশাপাশি সুস্থও হয়ে উঠেছে তিনজন । রিপোর্ট বলছে, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত 44 হাজারেরও বেশি মানুষ হোম কোয়ারান্টাইনে রয়েছে । হাসপাতালে আইসোলেশনে রয়েছে 1840 জন । রাজ্যে এখনও পর্যন্ত 2095 জনের সোয়াবের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে ।