কলকাতা, 23 অগস্ট: আসন্ন দুর্গাপূজা (Durga Puja 2022) ৷ তার আগে পুজো কমিটিগুলির অনুদান বৃদ্ধি করেছে (Durga puja club Donation) রাজ্য সরকার । ঠিক একইভাবে 1 সেপ্টেম্বর থেকে দুর্গাপুজোর সূচনা হচ্ছে বলেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন । যা নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে ।
মঙ্গলবার সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md Salim) এ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) কড়া আক্রমণ করেন । তার মতে পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান বৃদ্ধি এবং পুজোকে এগিয়ে নিয়ে আসার আসল কারণ মানুষকে মূল সমস্যা থেকে দূরে সরিয়ে উৎসব আনন্দে মাতিয়ে রাখা। ঠিক যেমন রোম সাম্রাজ্যে মানুষকে মদ উৎসবে ভুলিয়ে রাখা হতো ঠিক তেমনটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার করতে চাইছেন বলে দাবি করেন তিনি ।
এদিন মহম্মদ সেলিম বলেন, "1 সেপ্টেম্বর থেকে পুজো ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী । কিন্তু তিনি জানেন না 1 সেপ্টেম্বরে বিশ্বজুড়ে ট্রেড ইউনিয়নগুলি শান্তি-সম্প্রীতি দিবস পালন করে । আন্তর্জাতিক যুদ্ধ বিরোধী শান্তি দিবস পালন করা হয় বিশ্বজুড়ে । ট্রেড ইউনিয়ন ছাড়া ও কৃষক থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন । এখন যেভাবে যুদ্ধের দামামা বাজানো হচ্ছে, জিনিসপত্র মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরোধী মিছিল করি আমরা । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী করলেন ? তিনি রেড রোডে বিশাল জমায়েত করেন । পুজো কমিটিগুলোকে নিয়ে রেড রোডে ফেস্টিভ্যাল করেন । কিন্তু এবার পুজোর আগে রাজ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচি মিটিং-মিছিল শুরু করতেই 1 সেপ্টেম্বর থেকে পুজো ঘোষণা করে দিলেন । পুজোর ছুটিটাকে এগিয়ে নিয়ে আসলেন । উৎসবটাকে এগিয়ে নিয়ে আনলেন । যাতে মানুষ মেতে থাকতে পারে । এরকমটা রোম সাম্রাজ্য থেকেই ফ্যাসিস্ট সরকার করে আসছে। সাধারণ মানুষকে মদ, নেশা, তামাশায় ও সার্কাসে মাতিয়ে রাখা যায় । যাতে দুর্নীতি, বেকারত্ব, অশিক্ষা-কুশিক্ষাকে নিয়ে তারা আর প্রতিবাদ আন্দোলন না করতে পারে। পৃথিবীর সব স্বৈরতান্ত্রিক শাসক যেমনটা করে উনিও সেটাই করছেন।"
আরও পড়ুন: পুজোর জাঁকজমক দেখে দুর্নীতি ভুলে যাবে কলকাতার মানুষ, ফের বিস্ফোরক দিলীপ
এখানেই শেষ নয় । সেলিমের আরও অভিযোগ, যে সিস্টেমে তৃণমূল সরকার এগোচ্ছে যাদেরকে অনুদান দেওয়া হবে সেখানে কাটমানির ব্যাপার আছে ৷ প্রকৃতপক্ষে তৃণমূল দুর্নীতি তন্ত্র চালাচ্ছে রাজ্যজুড়ে ৷ তার বিরুদ্ধে মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই ও আন্দোলন করতে হবে বলে দাবি মহম্মদ সেলিমের।