কলকাতা, 11 অগস্ট: 1 সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকারের তরফ থেকে দুর্গা পুজোকে (Durga Puja) ইউনেস্কোর স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে যে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে তাতে যোগ দেবে ইউনেস্কো (UNESCO heritage tag)। চিঠি দিয়ে রাজ্যকে এ কথা জানিয়েছে তারা (UNESCO Durga Puja 2022)।
প্রসঙ্গত গত বছরই পশ্চিমবঙ্গের দুর্গা পুজোকে (Bengal tourism) স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো । সেই মতো এ বার দুর্গা পুজোকে সামনে রেখে পুজোর আগেই মেগা মিছিল করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এই মিছিল শহরের তিনটি প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে যাবে শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায় । আর এখানেই থাকবে দুর্গা পুজোর নানান রঙ । উত্তর থেকে দক্ষিণ নানান ক্লাবের উপস্থিতি । থাকবে থিম ভাবনা, ধুনুচি নাচ, ঢাকির দল সব ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বারবারই বলেন, দুর্গাপুজো যে শুধু বাঙালিদের সবচেয়ে বড় উৎসব তাই নয় । এর একটা ব্যবসায়িক দিকও আছে । দুর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যে কয়েকশো কোটি টাকার ব্যবসা হয় । বহু মানুষের জন্য দুর্গা পুজো সারা বছরের মধ্যে আয়ের প্রধান স্থল । কাজেই আনন্দ-উৎসব-বনেদিয়ানা-বারোয়ারির লড়াই একটা দিক । এর বাইরেও একটা বৃহৎ অর্থনীতি, মানুষের পরিশ্রম এর সঙ্গে জড়িত । এ বার 1 সেপ্টেম্বরের মিছিলে সেটাকেও উপস্থাপন করার চেষ্টা হবে ।
আরও পড়ুন: রেড রোডের কুচকাওয়াজে নজর কাড়বে ইউনেস্কো স্বীকৃত বাংলার হেরিটেজ দুর্গোৎসব
এখনও পর্যন্ত যতদূর জানা গিয়েছে, এই মিছিলে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়েছেন ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা । ওইদিনের শোভাযাত্রায় তাদের দুই প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে । এই মর্মে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছে তারা । ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছেন ভূটান, ভারত, মালদ্বীপ এবং শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধিরা ।
উল্লেখ্য, ইউনেস্কোর কালচারাল হেরিটেজের স্থান পেয়েছে বাংলার এই উৎসব । গত বছরের ডিসেম্বর মাসে প্যারিসে ইন্টার গভর্নমেন্ট কমিটির ষষ্ঠদশ অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয় ‘কলকাতার দুর্গা পুজো’-কে। আর এই স্বীকৃতিকেই রাজ্যের হাতিয়ার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন পর্যটন ব্যবসার বাড়-বাড়ন্ত হোক বাংলায় । ইতিমধ্যেই বিশ্বের পাঁচটি দেশের কার্নিভাল বিশ্ব বিখ্যাত । হেরিটেজ তকমা পাওয়ার পর এই দুর্গা পুজো কার্নিভালকে কেন্দ্র করেও একইভাবে পর্যটনের জোয়ার আসুক, এটাই চান মমতা ।