কলকাতা, 2 মার্চ : 11 হাজার 25টি বুথের মধ্যে হাতে গোনা 7টি থেকে অভিযোগের খবর এসেছে তাঁর কাছে ৷ তাই গত রবিবার রাজ্যের 108টি পৌরসভা নির্বাচনে যে হিংসার কথা সামনে আসছে, তা কতিপয় সংবাদমাধ্যমের কুৎসা মাত্র (Mamata Banerjee Says Violence in municipal election is propaganda of media) ৷ পৌরসভা নির্বাচনে সবুজ সুনামির সাক্ষী হয়েই শহর ছাড়লেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তার আগে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে এমনই অভিযোগ করে গেলেন তিনি ৷ আগামিকাল বারাণসীতে সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার সারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ নরেন্দ্র মোদির গড়ে উড়ে যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, মানুষের আশীর্বাদ নিয়েই উত্তরপ্রদেশ যাচ্ছেন তিনি (Mamata Says she is blessed by people before fly to Varanasi) ৷
গণতন্ত্রের নামে প্রহসন ৷ বিরোধীদের এই দাবিকে কার্যত ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো এদিন বলেন, "মানুষ উৎসবের মেজাজে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন ৷ এই উৎসবে মানুষকে যত বেশি করে সামিল করা যাবে তত বেশি করে গণতন্ত্র প্রাণবন্ত এবং সঞ্জীবিত হবে ৷" মমতা জানান, নির্বাচনের দিন তাঁর কাছে অভিযোগের খবর এসেছে হাতেগোনা কয়েকটি কেন্দ্র থেকে ৷ এর মধ্যে দু'টিতে ইভিএমের সমস্যা ছিল ৷ এরপর বিভিন্ন জেলার নাম ধরে সংবাদমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রশ্ন, এইসব জেলা থেকে তাদের কাছে কোনও অশান্তির খবর এসেছে কি না ৷
পাশাপাশি দার্জিলিংয়ের মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করত পারায় খুশি মমতা জানান, জিটিএ নির্বাচনটাও যত দ্রুত সম্ভব করিয়ে দেবেন তিনি ৷ তবে জয়ের উচ্ছ্বাসের মধ্যেও সাবধানী মমতা দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, "যত জিতব আমাদের তত নম্র হতে হবে ৷" সেইসঙ্গে মনে করিয়ে দেন সামনেই মাধ্যমিক তাই সেলিব্রেশন যেন মাত্রা না-ছাড়ায় ৷
আরও পড়ুন : জনাদেশ দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিল, সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে মন্তব্য মমতার
পাশাপাশি ইউক্রেনে আটকে ভারতীয় পড়ুয়াদের কথা ভেবে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলে প্রশ্ন করেন, "তিন-চার মাস আগে যখন প্রধানমন্ত্রী সবটাই জানতেন তবে আগে থেকে কেন ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হল না ৷ তাহলে ছেলেমেয়েগুলোকে বাঙ্কারে কাটাতে হত না ৷ রোমানিয়ার বর্ডারে দাঁড়িয়ে থাকতে হত না কিংবা খাবারের খোঁজে বেরিয়ে প্রাণ হারাতে হত না ৷" ইউক্রেনে ঠিক কতজন বাংলার পড়ুয়া এখনও আটকে রয়েছে ? এ ব্যাপারে বিদেশমন্ত্রক সহযোগিতা না-করলেও রাজ্য সরকার সমস্ত হেল্পলাইন চালু করে সমস্ত চেষ্টা জারি রেখেছে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷