কলকাতা, 8 অক্টোবর : তৃণমূলের মুখপত্র জাগোবাংলা-য় প্রকাশিত প্রতিবেদনে কংগ্রেসকে আক্রমণ করার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিষেদগার করলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী ৷ শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল নেত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ৷
তিনি বলেন, "কংগ্রেসের ঘাড়ে চেপে ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল ৷ ২০১১ সালে কংগ্রেস সমর্থন না-করলে মমতা মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন ? সেই ক্ষমতায় আসার পর সেই কংগ্রেসকে গ্রাস করতে চেয়েছেন মমতা ৷ কংগ্রেসকে তিলে তিলে হত্যা করেছেন । আর কংগ্রেসকে হত্যা করতে গিয়েই বিজেপির উথ্থান ডেকে এনেছেন ৷ মোদি যেমন চান কংগ্রেসমুক্ত ভারত ঠিক তেমনই মমতা চান কংগ্রেসমুক্ত বাংলা।" একই সঙ্গে রাজ্যে 78 জন বিজেপি বিধায়ক মমতার অবদান বলেও কটাক্ষ করেন অধীর ৷
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোপন আঁতাতের অভিযোগ তোলেন অধীরবাবু। তিনি বলেন, "আমি প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ভাষার কোনও তফাৎ খুঁজে পাই না ৷" প্রকারন্তরে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে বিশ্বাসঘাতক বলে বহরমপুরের সাংসদ জানান, মুখ্যমন্ত্রী যে থালায় খান, সেই থালাকেই ফুটো করেন ৷ এই প্রসঙ্গে অধীরবাবু আরও বলেন, "কংগ্রেস আক্রমণ না-করলে এবং ক্রমাগত কংগ্রেসকে দুর্বল করার চেষ্টা না-করলে মুখ্যমন্ত্রীর পেটের ভাত হজম হয় না ৷ এর পরেও কি বলা যাবে না, বিজেপির সঙ্গে তাঁর গোপন সমঝোতা নেই ?"
আরও পড়ুন : মমতার ‘ম্যান মেড বন্যা’ তত্ত্বে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ অধীরের
এদিন বিধানভবনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর হাত ধরে কংগ্রেসে যোগ দেন কয়েকশো বিজেপি কর্মী। উত্তর 24 পরগনা থেকে কংগ্রেসে যোগ দিলেন 300-র বেশি বিজেপি কর্মী। অন্যদিকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের শতাধিক স্বাস্থ্যকর্মী লক্ষী হালদারের নেতৃত্বে এদিন কংগ্রেসে যোগ দান করেন।