ETV Bharat / city

Bomb Blast Cases: কালিয়াচক-সহ অন্যান্য বোমা বিস্ফোরণে এনআইএ তদন্তের পক্ষে জোর সওয়াল হাইকোর্টে - কালিয়াচক সহ রাজ্যের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের পক্ষে জোর সওয়াল হাইকোর্টে

মালদার কালিয়াচক-সহ রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় (Bomb Blast Cases) এনআইএ তদন্তের পক্ষে জোর সওয়াল হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ৷ শুক্রবার মামলার ফের শুনানি ।

Bomb Blast Cases
High court
author img

By

Published : Aug 10, 2022, 10:01 PM IST

কলকাতা, 10 অগস্ট: মালদার কালিয়াচক-সহ রাজ্যের অন্যান্য বেশ কয়েকটি জায়গায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় (Bomb Blast Cases) কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ-র তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জোর সওয়াল মামলাকারী আইনজীবীদের । যদিও রাজ্যের বক্তব্য, এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যেহেতু জাতীয় নিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্বের উপর সরাসরি ভীতি প্রদর্শনের বিষয় জড়িত নয়, তাই এনয়াইএ তদন্তের প্রয়োজন নেই ।

শুক্রবার মামলাকারীরা তাদের বক্তব্যের সপক্ষে আরো নথি দেবে আদালতকে । ওই দিন ফের শুনানি । বুধবার এক মামলাকারীর তরফে আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার বলেন, "24 এপ্রিল 2022 ঘটনাটি ঘটে । কোনও এফআইআর পুলিশের তরফে করা হয়নি । 25 এপ্রিল আক্রান্তদের আত্মীয়দের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের হয় । এই ক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তার মত সংস্থাকে তদন্তের দায়িত্ব ভার দেওয়া উচিত । 2017 সালে কালিয়াচকে হুলিগানরা থানা জ্বালিয়ে দিয়েছিল । অভিযোগের পর পুলিশ ব্যাবস্থা গ্রহণ করে । পুলিশের গাফিলতির একাধিক উদাহরণ আছে । বিস্ফোরক উদ্ধার আইনের সেকশন 5-6 ধারায় কেন্দ্রকে প্রথমেই এই ব্যাপারে রিপোর্ট পাঠানোর কথা রাজ্যের । কেন্দ্র ঠিক করবে কী ধরনের তদন্ত হবে ।"

আইনজীবীর বক্তব্যের পরই রাজ্যের বক্তব্য জানতে চান প্রধান বিচারপতি । রাজ্যের আইনজীবী অনির্বাণ রায় বলেন , "এফআইআর দেরিতে করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হচ্ছে । তা ঠিক নয় । রাজ্য বিস্ফোরক উদ্ধার আইনেই অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত করছে এবং আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয় ।" অন্যদিকে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল (AG) বলেন, "এই ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ সংস্থা তদন্ত করে । সার্বভৌমিকতা, দেশের নিরাপত্তা বিষয়গুলি জড়িত থাকলে তবেই । সন্ত্রাসবাদ ও জাতীয় ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা আছে এমন ঘটনা হলে ।"

মামলাকারীর তরফে আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার ফের বলেন, "শেষ 10 বছরে মালদার কালিয়াচক এলাকায় কতগুলো জাল নোট ধরা হয়েছে, আর কতগুলো মাদক পাচার মামলায় ধরা পড়েছে, রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করা হোক । পাশাপাশি ওই এলাকায় সব থেকে বেশি এনডিপিএস এক্টের কেস ধরা পড়ে ।" কেন্দ্রীয় সংস্থা এনাআইএ তরফে বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, "বিস্ফোরক এবং বিস্ফোরক উদ্ধার আইনে গুরুত্ব বিবেচনা করে কেন্দ্র সরকার চাইলে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হিসাবে গ্রহণ করতেই পারে ।" আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার আরও বলেন, "এনআইএকে তদন্তভার দেওয়ার মূল কারণ হিসাবে সার্বভোমিকতা, জাতীয় স্বার্থের ব্যাপার দেখা হয় । কিন্তু মালদায় পাঁচটা বাচ্চা আক্রান্ত হয়েছে । ওই এলাকায় প্রতিদিন বিস্ফোরক উদ্ধার হয় । রাজ্য কি তদন্ত করছে ?"

রাজ্যের আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আর এক মামলাকারীর তরফে আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, "এনআইএ-কে তদন্তভার দেওয়ার যুক্তি হচ্ছে, এর মধ্যে রাজ্যজুড়ে যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে সেটাকে খুঁজে বের করা প্রয়োজন ।" শুক্রবার ফের শুনানি ।

আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ড-কাণ্ডে বৃহস্পতিবার রাজ্যকে কেস ডায়েরি আনার নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রসঙ্গত, 28 মার্চ বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ এলাকার সর্দারপাড়ায় ভোরের দিকে হটাৎ একটি বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণে আগুন লেগে যায় । পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিল ওই বাড়িতে বোমা মজুত রাখা হয়েছিল বা বোমা বাঁধার প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো কি না । অন্যদিকে 22 এপ্রিল বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ মালদার কালিয়াচক থানার গোলাপগঞ্জ ফাঁড়ির গোপালনগর এলাকায় বল ভেবে খেলতে গিয়ে আমবাগানে বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হয় পল্টু সাহা , মিঠুন সাহা, আবদুর রাহান, শুভজিৎ সাহা এবং বিক্রম সাহা নামে পাঁচটি বাচ্চা ছেলে । এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের আর্জি জানিয়ে দায়ের হয়েছিল মামলা ।

কলকাতা, 10 অগস্ট: মালদার কালিয়াচক-সহ রাজ্যের অন্যান্য বেশ কয়েকটি জায়গায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় (Bomb Blast Cases) কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ-র তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জোর সওয়াল মামলাকারী আইনজীবীদের । যদিও রাজ্যের বক্তব্য, এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যেহেতু জাতীয় নিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্বের উপর সরাসরি ভীতি প্রদর্শনের বিষয় জড়িত নয়, তাই এনয়াইএ তদন্তের প্রয়োজন নেই ।

শুক্রবার মামলাকারীরা তাদের বক্তব্যের সপক্ষে আরো নথি দেবে আদালতকে । ওই দিন ফের শুনানি । বুধবার এক মামলাকারীর তরফে আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার বলেন, "24 এপ্রিল 2022 ঘটনাটি ঘটে । কোনও এফআইআর পুলিশের তরফে করা হয়নি । 25 এপ্রিল আক্রান্তদের আত্মীয়দের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের হয় । এই ক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তার মত সংস্থাকে তদন্তের দায়িত্ব ভার দেওয়া উচিত । 2017 সালে কালিয়াচকে হুলিগানরা থানা জ্বালিয়ে দিয়েছিল । অভিযোগের পর পুলিশ ব্যাবস্থা গ্রহণ করে । পুলিশের গাফিলতির একাধিক উদাহরণ আছে । বিস্ফোরক উদ্ধার আইনের সেকশন 5-6 ধারায় কেন্দ্রকে প্রথমেই এই ব্যাপারে রিপোর্ট পাঠানোর কথা রাজ্যের । কেন্দ্র ঠিক করবে কী ধরনের তদন্ত হবে ।"

আইনজীবীর বক্তব্যের পরই রাজ্যের বক্তব্য জানতে চান প্রধান বিচারপতি । রাজ্যের আইনজীবী অনির্বাণ রায় বলেন , "এফআইআর দেরিতে করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হচ্ছে । তা ঠিক নয় । রাজ্য বিস্ফোরক উদ্ধার আইনেই অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত করছে এবং আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয় ।" অন্যদিকে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল (AG) বলেন, "এই ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ সংস্থা তদন্ত করে । সার্বভৌমিকতা, দেশের নিরাপত্তা বিষয়গুলি জড়িত থাকলে তবেই । সন্ত্রাসবাদ ও জাতীয় ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা আছে এমন ঘটনা হলে ।"

মামলাকারীর তরফে আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার ফের বলেন, "শেষ 10 বছরে মালদার কালিয়াচক এলাকায় কতগুলো জাল নোট ধরা হয়েছে, আর কতগুলো মাদক পাচার মামলায় ধরা পড়েছে, রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করা হোক । পাশাপাশি ওই এলাকায় সব থেকে বেশি এনডিপিএস এক্টের কেস ধরা পড়ে ।" কেন্দ্রীয় সংস্থা এনাআইএ তরফে বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, "বিস্ফোরক এবং বিস্ফোরক উদ্ধার আইনে গুরুত্ব বিবেচনা করে কেন্দ্র সরকার চাইলে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হিসাবে গ্রহণ করতেই পারে ।" আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার আরও বলেন, "এনআইএকে তদন্তভার দেওয়ার মূল কারণ হিসাবে সার্বভোমিকতা, জাতীয় স্বার্থের ব্যাপার দেখা হয় । কিন্তু মালদায় পাঁচটা বাচ্চা আক্রান্ত হয়েছে । ওই এলাকায় প্রতিদিন বিস্ফোরক উদ্ধার হয় । রাজ্য কি তদন্ত করছে ?"

রাজ্যের আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আর এক মামলাকারীর তরফে আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, "এনআইএ-কে তদন্তভার দেওয়ার যুক্তি হচ্ছে, এর মধ্যে রাজ্যজুড়ে যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে সেটাকে খুঁজে বের করা প্রয়োজন ।" শুক্রবার ফের শুনানি ।

আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ড-কাণ্ডে বৃহস্পতিবার রাজ্যকে কেস ডায়েরি আনার নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রসঙ্গত, 28 মার্চ বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ এলাকার সর্দারপাড়ায় ভোরের দিকে হটাৎ একটি বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণে আগুন লেগে যায় । পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিল ওই বাড়িতে বোমা মজুত রাখা হয়েছিল বা বোমা বাঁধার প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো কি না । অন্যদিকে 22 এপ্রিল বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ মালদার কালিয়াচক থানার গোলাপগঞ্জ ফাঁড়ির গোপালনগর এলাকায় বল ভেবে খেলতে গিয়ে আমবাগানে বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হয় পল্টু সাহা , মিঠুন সাহা, আবদুর রাহান, শুভজিৎ সাহা এবং বিক্রম সাহা নামে পাঁচটি বাচ্চা ছেলে । এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের আর্জি জানিয়ে দায়ের হয়েছিল মামলা ।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.