কলকাতা, 8 মে : আবারও বেসরকারি বাস মালিক সংগঠন ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিল ৷ পাশাপাশি, ঋণে কেনা বাসের ইএমআই আদায়ের ক্ষেত্রে সাময়িক শিথিলতা কার্যকর করা এবং ঋণের উপর সুদ না নেওয়া-সহ আরও বেশ কয়েকটি দাবিদাওয়া নিয়ে আবারও সরব হয়েছে রাজ্য়ের বেসরকারি বাস এবং মিনিবাস সংগঠনগুলি ৷
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল গোটা দেশ ৷ রাজ্যে বন্ধ হয়েছে লোকাল ট্রেনের পরিষেবা ৷ সরকারি অফিসগুলিতে কর্মীদের অর্ধেক উপস্থিতি বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৷ বেসরকারি অফিসের কর্মীরাও বাড়ি থেকে কাজ করছেন ৷ বন্ধ রয়েছে (নির্দিষ্ট সময় ছাড়া) হাট-বাজার ৷
পাশাপাশি সংক্রমণের আতঙ্কে মানুষজন একান্ত প্রয়োজন না হলে বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না ৷ এসবের ফলেই বাসে যাত্রী সংখ্যা আবারও তলানিতে এসে ঠেকেছে। গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়েছে জ্বালানির লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি ৷ মালিকদের দাবি, আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য রেখে বাস চালানো দুষ্কর হয়ে উঠছে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘একদিকে তেলের দাম বৃদ্ধি, অন্যদিকে আবারও কোরোনার জেরে যাত্রী সংখ্যা কমে যাওয়া ৷ এই দুইয়ের জোড়া ধাক্কায় আমরা বিধ্বস্ত ৷ তাই আমরা আবারও রাজ্য সরকারকে এই চিঠি দিতে বাধ্য হলাম ৷ গণপরিবহণের শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে দ্রুত কোনও পদক্ষেপ না করলে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার মানুষ ও তাঁদের পরিবার না খেতে পেয়ে মারা যাবে ৷ সব রুটেই কম-বেশি বাসের সংখ্যা কমেছে ৷ আরও কমবে ৷ বাস না চললে এঁদের কী করে সংসার চলবে ? তার উপর যদি ঋণ ও করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়, তবে বাস মালিকরা ব্যাপক অর্থ সঙ্কটের মধ্যে পড়বেন ৷’’
আরও পড়ুন : করোনা মোকাবিলায় সাংসদ তহবিলের টাকা দিতে চান অধীর
পাশাপাশি, বাস মালিকরা আরও দাবি করেছেন, তাঁদের বিমার মেয়াদ বাড়াতে হবে ৷ পরিস্থিতি আবার ঠিকঠাক না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় সড়কগুলিতে, বিশেষ করে বিদ্যাসাগর সেতুর উপর টোল ট্যাক্স নেওয়া বন্ধ রাখতে হবে ৷ জ্বালানির উপর জিএসটি কার্যকর করতে হবে ৷ অন্তত এক বছরের জন্য সব ধরনের কর মকুব করতে হবে ৷ ট্যাক্স, পারমিট ও সার্টিফিকেট অফ ফিটনেসের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে হবে ৷