ETV Bharat / city

Kolkata Metro : চিরতরে ছুটি হল কলকাতা মেট্রোর নন-এসি রেকের, থাকল শুধু নস্ট্যালজিয়া - কলকাতা মেট্রোরেল

1984 সালের 24 অক্টোবর ভারত হেভি ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড সংস্থার (BHEL) তৈরি 9টি নন এসি রেক দিয়ে পথ চলা শুরু হয়েছিল কলকাতা মেট্রোর। দেশের প্রথম মেট্রো দৌড়য় 'সিটি অফ জয়' কলকাতায়। প্রথমে ভবানীপুর থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত পরিষেবা শুরু হলেও পরে নভেম্বর মাসে দমদম থেকে বেলগাছিয়া পর্যন্ত পরিষেবা চালু হয়। তবে যাত্রীর অভাবে এই দুটি স্টেশনের মধ্যে পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। 1994 দমদম থেকে টালিগঞ্জ স্টেশন পর্যন্ত শুরু হয় পরিষেবা।

Kolkata Metro
এবার চিরতরে ছুটি হল কলকাতা মেট্রোর নন এসি রেকের
author img

By

Published : Oct 23, 2021, 11:10 PM IST

কলকাতা, 23 অক্টোবর : কালের স্বাভাবিক নিয়মেই সব কিছুই একদিন ইতিহাস হয়ে যায় ৷ রবিবারই ইতিহাসের খাতায় নাম লেখাচ্ছে তিলোত্তমার আরও এক ঐতিহ্য ৷ ঝাঁ চকচকে সুন্দরীদের ভিড়ে হারিয়ে হারিয়ে যেতে যেতে অবশেষ বিদায় নিচ্ছে কলকাতা মেট্রোরেলের নন-এসি রেক। সেই সঙ্গে শেষ হচ্ছে দেশের প্রথম পাতাল রেলের শুরুর অধ্যায় ৷ রবিবার টালিগঞ্জ থেকে শেষবারের মতো পথ চলা শুরু করে নোয়াপাড়ায় সম্পাত্তি ঘটবে নন এসি রেক-এর ৷

নয় নয় করে 37টা বছর লক্ষ লক্ষ যাত্রীকে তাঁদের গন্তব্য পৌঁছে দিয়েছে এই নন-এসি রেকগুলি। 1984 সালে প্রথম যেদিন শহরের বুক চিরে প্রথম পাতাল প্রবেশ করে ইতিহাসে নাম লিখিয়ে ছিল, প্রথম ধাপে 9টি নন রেকের অবশিষ্টটিও প্রাক্তন হচ্ছে আগামিকাল ৷ সেই সঙ্গে কলকাতা মেট্রো রেলের নন এসি রেক ইতিহাস হয়ে যাবে। স্মৃতির খাতায় রয়ে যাবে এর পথ চলা। থেকে যাবে শুধুই নস্ট্যালজিয়া।

1984 সালের 24 অক্টোবর ভারত হেভি ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড সংস্থার (BHEL) তৈরি 9টি নন এসি রেক দিয়ে পথ চলা শুরু হয়েছিল কলকাতা মেট্রোর। দেশের প্রথম মেট্রো দৌড়য় 'সিটি অফ জয়' কলকাতায়। প্রথমে ভবানীপুর থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত পরিষেবা শুরু হলেও পরে নভেম্বর মাসে দমদম থেকে বেলগাছিয়া পর্যন্ত পরিষেবা চালু হয়। তবে যাত্রীর অভাবে এই দুটি স্টেশনের মধ্যে পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। 1994 দমদম থেকে টালিগঞ্জ স্টেশন পর্যন্ত শুরু হয় পরিষেবা।

1995 সালে নিউ গভর্নমেন্ট ইলেকট্রিক্যাল ফ্যাক্টরি (NGEF) তৈরি আরও 9টি নন-এসি মেট্রো রেক যুক্ত করা হয়। 2015 সালে যাত্রী স্বাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখে NGEF এর বেশ কয়েকটি রেকের সংস্কার করা হয়। টেক্সম্যাকো রেল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এই সংস্থাটি সংস্কার করে রেকগুলিকে। কোচের ভেতরে নতুন চেয়ার বসানো হয়, কাচের জানালার কাচ নতুনভাবে বাঁধানো হয়, প্রতিটি কোচে কাচের পার্টিশন লাগানো হয় ও ইঞ্জিনের সম্পূর্ণ সংস্কার করা হয়। এই বছরেই কোচগুলি পায় নতুন আকাশী-নীল ও গারো নীল রঙের ছোঁয়া। নতুনভাবে সুসজ্জিত হয়ে ওঠে পুরনো নন এসি রেকগুলি।

2019 সালে BHEL-এর তৈরি নন-এসি রেক শেষবারের মত পরিষেবা দেয়। তবে প্রথম লকডাউনের পরে আবার যখন মেট্রো পরিষেবা চালু হয় তখনও NGEF-এর তৈরি অবশিষ্ট দুটি নন এসি রেক-এর পাতাল প্রবেশ ছিল ৷ তবে সেগুলি মাঝে মধ্যে চালানো হত ৷ দ্বিতীয় লকডাউনের পর আর দেখা যায়নি নন-এসি রেক। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ও যাত্রী স্বাচ্ছন্দ আরও নিশ্চিত করতে 2008 সালে প্রথম ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (ICF) এর তৈরি এসি রেক চালানো শুরু হয়।

কলকাতা মেট্রোরেল এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ও প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক প্রত্যুষ কুমার ঘোষ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলেন, "দীর্ঘ 37 বছর যাত্রী পরিষেবা দেওয়ার পর এবার বিশ্রামের পালা। কলকাতা মেট্রোয়ে আর চলবে না নন-এসি রেক। বিদায় জানাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছুই একদিন থেমে যায় ৷

কলকাতা, 23 অক্টোবর : কালের স্বাভাবিক নিয়মেই সব কিছুই একদিন ইতিহাস হয়ে যায় ৷ রবিবারই ইতিহাসের খাতায় নাম লেখাচ্ছে তিলোত্তমার আরও এক ঐতিহ্য ৷ ঝাঁ চকচকে সুন্দরীদের ভিড়ে হারিয়ে হারিয়ে যেতে যেতে অবশেষ বিদায় নিচ্ছে কলকাতা মেট্রোরেলের নন-এসি রেক। সেই সঙ্গে শেষ হচ্ছে দেশের প্রথম পাতাল রেলের শুরুর অধ্যায় ৷ রবিবার টালিগঞ্জ থেকে শেষবারের মতো পথ চলা শুরু করে নোয়াপাড়ায় সম্পাত্তি ঘটবে নন এসি রেক-এর ৷

নয় নয় করে 37টা বছর লক্ষ লক্ষ যাত্রীকে তাঁদের গন্তব্য পৌঁছে দিয়েছে এই নন-এসি রেকগুলি। 1984 সালে প্রথম যেদিন শহরের বুক চিরে প্রথম পাতাল প্রবেশ করে ইতিহাসে নাম লিখিয়ে ছিল, প্রথম ধাপে 9টি নন রেকের অবশিষ্টটিও প্রাক্তন হচ্ছে আগামিকাল ৷ সেই সঙ্গে কলকাতা মেট্রো রেলের নন এসি রেক ইতিহাস হয়ে যাবে। স্মৃতির খাতায় রয়ে যাবে এর পথ চলা। থেকে যাবে শুধুই নস্ট্যালজিয়া।

1984 সালের 24 অক্টোবর ভারত হেভি ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড সংস্থার (BHEL) তৈরি 9টি নন এসি রেক দিয়ে পথ চলা শুরু হয়েছিল কলকাতা মেট্রোর। দেশের প্রথম মেট্রো দৌড়য় 'সিটি অফ জয়' কলকাতায়। প্রথমে ভবানীপুর থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত পরিষেবা শুরু হলেও পরে নভেম্বর মাসে দমদম থেকে বেলগাছিয়া পর্যন্ত পরিষেবা চালু হয়। তবে যাত্রীর অভাবে এই দুটি স্টেশনের মধ্যে পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। 1994 দমদম থেকে টালিগঞ্জ স্টেশন পর্যন্ত শুরু হয় পরিষেবা।

1995 সালে নিউ গভর্নমেন্ট ইলেকট্রিক্যাল ফ্যাক্টরি (NGEF) তৈরি আরও 9টি নন-এসি মেট্রো রেক যুক্ত করা হয়। 2015 সালে যাত্রী স্বাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখে NGEF এর বেশ কয়েকটি রেকের সংস্কার করা হয়। টেক্সম্যাকো রেল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এই সংস্থাটি সংস্কার করে রেকগুলিকে। কোচের ভেতরে নতুন চেয়ার বসানো হয়, কাচের জানালার কাচ নতুনভাবে বাঁধানো হয়, প্রতিটি কোচে কাচের পার্টিশন লাগানো হয় ও ইঞ্জিনের সম্পূর্ণ সংস্কার করা হয়। এই বছরেই কোচগুলি পায় নতুন আকাশী-নীল ও গারো নীল রঙের ছোঁয়া। নতুনভাবে সুসজ্জিত হয়ে ওঠে পুরনো নন এসি রেকগুলি।

2019 সালে BHEL-এর তৈরি নন-এসি রেক শেষবারের মত পরিষেবা দেয়। তবে প্রথম লকডাউনের পরে আবার যখন মেট্রো পরিষেবা চালু হয় তখনও NGEF-এর তৈরি অবশিষ্ট দুটি নন এসি রেক-এর পাতাল প্রবেশ ছিল ৷ তবে সেগুলি মাঝে মধ্যে চালানো হত ৷ দ্বিতীয় লকডাউনের পর আর দেখা যায়নি নন-এসি রেক। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ও যাত্রী স্বাচ্ছন্দ আরও নিশ্চিত করতে 2008 সালে প্রথম ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (ICF) এর তৈরি এসি রেক চালানো শুরু হয়।

কলকাতা মেট্রোরেল এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ও প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক প্রত্যুষ কুমার ঘোষ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলেন, "দীর্ঘ 37 বছর যাত্রী পরিষেবা দেওয়ার পর এবার বিশ্রামের পালা। কলকাতা মেট্রোয়ে আর চলবে না নন-এসি রেক। বিদায় জানাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছুই একদিন থেমে যায় ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.