ETV Bharat / city

শেষদিনে বইমেলায় বিষাদের সুর - last day of kolkata book fair

চুয়াল্লিশতম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার শেষদিনে মন খারাপ বইপ্রেমী থেকে কবি, সাহাত্যিক, পাবলিশার্সদের ৷ ইন্টারনেটের যুগেও বইপ্রেমীদের অন্যতম আকর্ষণ কলকাতা বইমেলা ৷

44th kolkata book fair
বইয়ের পাতায় চোখ বইপ্রেমীদের
author img

By

Published : Feb 10, 2020, 5:43 AM IST

Updated : Feb 10, 2020, 8:33 PM IST

কলকাতা, 9 ফেব্রুয়ারি : শেষ হল 44তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ৷ রাত ন’টায় প্রথা মাফিক ঘণ্টা বাজিয়ে এবারের মতো মেলা শেষ হয় ৷ বিষণ্ণ মনে বইপ্রেমী থেকে পাবলিশার্সরা বিদায় জানাল এবারের বইমেলাকে ৷

কথা ছিল 29 জানুয়ারি বইমেলার উদ্বোধন হবে ৷ কিন্তু প্রথা ভেঙে একদিন আগে অর্থাৎ 28 জানুয়ারি 44তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এবারের অতিথি দেশ ছিল রাশিয়া ৷ এবছর কলকাতা বই মেলাকে পরিবেশ বান্ধব করতে উদ্যোগী ছিল পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড ৷ সেইমতো সাইকেল স্ট্যান্ডও তৈরি করা হয়েছিল মেলা প্রাঙ্গণে ৷ এবারের বইমেলায় শহরের কয়েকটি বৃদ্ধাবাসের আবাসিকদের হাতে বই তুলে দেয় গিল্ড ৷ তাদের বইমেলা ঘুরে দেখানোরও ব্যবস্থা করা হয় ৷ বয়সকালে একাকী মানুষগুলোর সঙ্গী হিসেবে প্রয়োজনীয় বই পৌঁছে দেয় গিল্ড ৷ টানা 10দিন লক্ষাধিক বইপ্রেমী সেন্ট্রাল পার্ককে তাদের গন্তব্যস্থল করে তুলেছিলেন ৷ বইপ্রেমীদের চাহিদা মতো বইয়ের স্টক করা, লিটল ম্যাগাজ়িনের স্টলগুলিতে প্রকাশকের দল, কবি-সাহিত্যিকদের ভিড়ে কলকাতা বইমেলার ব্যস্ততা কম ছিল না ৷ ইন্টারনেট আর সোশাল মিডিয়ার যুগেও বইয়ের প্রতি ভালোবাসা এতটুকু যে কমেনি তা দেখিয়ে দিল বইমেলা৷

শেষ হল 44তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা

বারো মাসে তেরো পার্বণ প্রিয় বাঙালির জীবনে বইমেলাও উৎসব হয়ে উঠেছে ৷ এ যেন আবেগ ৷ নিয়ম করে বইমেলায় গিয়ে পছন্দের বই কিনে হাসি মুখে বাড়ি ফেরা ৷ ফি বছর বইমেলার চেনা ছবিটা কলকাতা তথা বাঙালির মুখ হয়ে উঠেছে ৷ তাই সারা বছর দেশ-বিদেশ ঘুরে বইয়ের স্টল দিলেও কলকাতা বইমেলা নিয়ে আবেগ এতটুকু কমে না প্রকাশকদের ৷ কলকাতা বইমেলার প্রাণ অন্য কোথাও খুঁজে পান না তাঁরা ৷ নতুন বই তৈরি, স্টল সাজানো সব মিলিয়ে বেশ হই হই ব্যাপার ৷ দুর্গাপুজোর দশমীতে এক বছরের অপেক্ষায় যেমন মাকে বিসর্জন দেওয়া হয়, প্রকাশক থেকে বইপ্রেমী- প্রত্যেকে একইভাবে শেষদিনে বইমেলাকে বিদায় জানান ৷ মন খারাপের সঙ্গে বছরভরের অপেক্ষা নিয়ে বাড়ির পথে হাঁটেন ৷ সেন্ট্রাল পার্কের বড় শিরিষ গাছ থেকে কোকিলের সুর ভেসে আসে ৷ যে সুরে আছে বিদায় বেলার রাগ-রাগিনী ৷ সে সুর যেন বলে দিচ্ছে, "এ বিকেল ফুরাইও না" ৷

কলকাতা, 9 ফেব্রুয়ারি : শেষ হল 44তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ৷ রাত ন’টায় প্রথা মাফিক ঘণ্টা বাজিয়ে এবারের মতো মেলা শেষ হয় ৷ বিষণ্ণ মনে বইপ্রেমী থেকে পাবলিশার্সরা বিদায় জানাল এবারের বইমেলাকে ৷

কথা ছিল 29 জানুয়ারি বইমেলার উদ্বোধন হবে ৷ কিন্তু প্রথা ভেঙে একদিন আগে অর্থাৎ 28 জানুয়ারি 44তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এবারের অতিথি দেশ ছিল রাশিয়া ৷ এবছর কলকাতা বই মেলাকে পরিবেশ বান্ধব করতে উদ্যোগী ছিল পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড ৷ সেইমতো সাইকেল স্ট্যান্ডও তৈরি করা হয়েছিল মেলা প্রাঙ্গণে ৷ এবারের বইমেলায় শহরের কয়েকটি বৃদ্ধাবাসের আবাসিকদের হাতে বই তুলে দেয় গিল্ড ৷ তাদের বইমেলা ঘুরে দেখানোরও ব্যবস্থা করা হয় ৷ বয়সকালে একাকী মানুষগুলোর সঙ্গী হিসেবে প্রয়োজনীয় বই পৌঁছে দেয় গিল্ড ৷ টানা 10দিন লক্ষাধিক বইপ্রেমী সেন্ট্রাল পার্ককে তাদের গন্তব্যস্থল করে তুলেছিলেন ৷ বইপ্রেমীদের চাহিদা মতো বইয়ের স্টক করা, লিটল ম্যাগাজ়িনের স্টলগুলিতে প্রকাশকের দল, কবি-সাহিত্যিকদের ভিড়ে কলকাতা বইমেলার ব্যস্ততা কম ছিল না ৷ ইন্টারনেট আর সোশাল মিডিয়ার যুগেও বইয়ের প্রতি ভালোবাসা এতটুকু যে কমেনি তা দেখিয়ে দিল বইমেলা৷

শেষ হল 44তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা

বারো মাসে তেরো পার্বণ প্রিয় বাঙালির জীবনে বইমেলাও উৎসব হয়ে উঠেছে ৷ এ যেন আবেগ ৷ নিয়ম করে বইমেলায় গিয়ে পছন্দের বই কিনে হাসি মুখে বাড়ি ফেরা ৷ ফি বছর বইমেলার চেনা ছবিটা কলকাতা তথা বাঙালির মুখ হয়ে উঠেছে ৷ তাই সারা বছর দেশ-বিদেশ ঘুরে বইয়ের স্টল দিলেও কলকাতা বইমেলা নিয়ে আবেগ এতটুকু কমে না প্রকাশকদের ৷ কলকাতা বইমেলার প্রাণ অন্য কোথাও খুঁজে পান না তাঁরা ৷ নতুন বই তৈরি, স্টল সাজানো সব মিলিয়ে বেশ হই হই ব্যাপার ৷ দুর্গাপুজোর দশমীতে এক বছরের অপেক্ষায় যেমন মাকে বিসর্জন দেওয়া হয়, প্রকাশক থেকে বইপ্রেমী- প্রত্যেকে একইভাবে শেষদিনে বইমেলাকে বিদায় জানান ৷ মন খারাপের সঙ্গে বছরভরের অপেক্ষা নিয়ে বাড়ির পথে হাঁটেন ৷ সেন্ট্রাল পার্কের বড় শিরিষ গাছ থেকে কোকিলের সুর ভেসে আসে ৷ যে সুরে আছে বিদায় বেলার রাগ-রাগিনী ৷ সে সুর যেন বলে দিচ্ছে, "এ বিকেল ফুরাইও না" ৷

Intro:

কলকাতা, 9 ফেব্রুয়ারি: সেন্ট্রাল পার্কের মাঠে বসেছে অস্থায়ী ফুটপাত। বইমেলায় আর ধুলো ওড়ে না। কিন্তু এ মেলায় গোধূলি আছে। কিছু পরেই রেঙে উঠবে আকাশ। জ্বলে উঠবে অস্থায়ী বইপাড়ার স্ট্রিট ল্যাম্পগুলো। তারপর সব শেষ।

বসন্ত আসেনি এখনো। তাকে কি? সেন্ট্রাল পার্কের বড় শিরিষ গাছটা থেকে ভেসে আসছে কোকিলের মিঠে সুর। আজ আর ঘোষণা হচ্ছে না, “ সন্ধ্যে ছ'টায় মমার্ত মঞ্চে আজকের আলোচনার বিষয়..."। আর তাই কানে আসছে কোকিলের সুর। এসুর আগমনীর নয় মোটেই। এসুর বসন্তে নব পল্লবে জেগে ওঠার নয়। এ সুর যেন বেঁধে দিচ্ছে বিদায় বেলার রাগ রাগিনী। তার মাঝে আনমনা বই প্রেমীর দলের শরীরের অভিব্যক্তি বলছে, এ বিকেল ফুরাইও না।

Body:টানা 10 টা দিন। বাংলার বাঙালির গন্তব্য যেন হয়ে উঠেছিল বইমেলা। লাখো মানুষের পায়ের সারি বলে দিচ্ছিল, ইন্টারনেটে যতই চুরি করা পিডিএফ আপলোড হয়ে যাক না কেন, ফেসবুকের নির্দিষ্ট গ্রুপে নতুন বই যতই নতুন বই লিক হয়ে যাক না কেন, বইয়ের আপিল এখনো কমেনি বঙ্গ জীবনে। নতুন বইয়ের গন্ধে আজও বাঙালি মশগুল হতে জানে।

শুধুকি বই কেনার জন্য আসা আবালবৃদ্ধবনিতার দল? বই বিক্রিও তো আছে। আছেন কবি, সাহিত্যিক, দাঁতে দাঁত চেপে লিটিল ম্যাগ চালানো নেশাতুর প্রকাশকের দল। বইমেলার দশমীর বিকেলে মন খারাপ সবার। গাঙচিলের অধীর বিশ্বাস কিংবা দে'জ পাবলিকেশনের অপু দে'রা কোথায় যেন অপেক্ষা করে থাকেন একটা বছর। ওদের কাছে দুর্গাপূজো যে এটাই! বললেনও তাই। অধীর বাবুর কথায়, “ সারা বছর ভারতের নানা জায়গায় ঘুরে মেলা করি বটে। বিদেশেও যেতে হয় বইয়ের ঝুলি নিয়ে। কিন্তু কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার আলাদা একটা প্রাণ আছে। এর জন্য আমরা তৈরি হই সেই কবে থেকে। নতুন বই তৈরী, স্টল সাজানো আরো কত কি। আসলে এটাই তো আমাদের দুর্গাপুজো। এ বিকেল তাই মন খারাপের।"Conclusion:
Last Updated : Feb 10, 2020, 8:33 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.