ETV Bharat / city

Lalbazar : নাইট ক্লাব ও হুক্কাবারে যুবসমাজের দেদার মাদক সেবনে চিন্তায় লালবাজার

কলকাতা শহরে বিদেশি মাদকের রমরমা ৷ শহরের নামীদামি পানশালা, হুক্কাবার সর্বত্র লুকিয়ে চুরিয়ে চলছে মাদক কেনাবেচা এবং সেবন ৷ যা নিয়ে এবার চিন্তিত লালবাজারের নারকোটিক্স দফতর ৷ ইতিমধ্যে, শহরের বেশকিছু বারে অভিযান চালিয়েছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা ৷ তবে, এর জাল অনেক দূর পর্যন্ত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা ৷

Lalbazar worry for increasing drug consume case in Kolkata
নাইট ক্লাব বা হুক্কবারে দেদার মাদক সেবন, চিন্তায় পুলিশ
author img

By

Published : Aug 19, 2021, 6:45 PM IST

কলকাতা, 19 অগস্ট : গাঁজা বা আফিমের যুগ এখন শেষ ৷ এখন, ইয়াবা থেকে চরস বা কোকেন, বাজারমূল্য যতই আকাশছোঁয়া হোক না কেন, এরাজ্যে এই সব মাদকের কদর আগের তুলনায় অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৷

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক লালবাজারের নারকোটিক্স সেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আগে শহরে ইয়াবা কিংবা কোকেন বাজেয়াপ্ত হওয়া ছিল অনেক বড় মাপের খবর। কিন্তু, এখন এই ধরনের মাদক হামেশাই আটক হচ্ছে ৷ ফলে বোঝাই যাচ্ছে এই সব মাদকের বিক্রি বেড়েছে এরাজ্যে ৷ আর সে সেগুলি দেদার বিকোচ্ছে শহরের অভিজাত নাইটক্লাব বা হুক্কাবারের আড়ালে ৷ ফলে এখন শহরের হুক্কাবারগুলি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে লালবাজারের ৷ ইতিমধ্যেই কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্রের নির্দেশে শহরের একাধিক বেআইনি হুক্কাবারগুলিতে গোপনে অভিযান চালাচ্ছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা ৷

তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ওই সব হুক্কাবারে অনেক সাংকেতিক শব্দ বা কোডওয়ার্ড আছে ৷ যেমনটা হল কোক মানে কোকেন ৷ ট্যাক্সি, অ্যাসিড বা স্ট্যাম্প মানে এলএসডি ৷ তাছাড়াও, আইস বা গ্লাস হল ‘ক্রিস্টাল মেথ’ বা মেথামফিট্যামাইনের মতো দামী মাদক ৷ এগুলি প্রত্যেকটি অত্যন্ত উচ্চমাত্রার মাদক ৷ আর এই মাদকগুলির বাজারমূল্যও আকাশছোঁয়া । কোনওটা জিভের তলায় রাখতে হবে, কোনওটা বা তরল ৷ সেগুলি সেবন করার একাধিক পদ্ধতিও রয়েছে ৷

আরও পড়ুন : Pori Moni: মিলল না মুক্তি, মাদক মামলায় ফের হেফাজতে পরীমণি

এমন নয় যে শুধু হুক্কাবারেই খোলাখুলি এই সমস্ত মাদকের সেবন হয় ৷ বেশ কয়েকটি পানশালা, লাউঞ্জ বারে হুক্কা মিললেও, তারা সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলছে ৷ লালবাজার সূত্রের খবর, প্রথমে অভিযোগ উঠলেও পরে গিয়ে দেখা যায় প্রগতি ময়দান থানা এলাকার বেশ কয়েকটি হুক্কাবার সরকারি বিধিনিষেধ মেনেই কাজ করছে ৷ তবে, কিছু ব্যতিক্রম বরাবরই থাকে ৷

আরও পড়ুন : বোরখার আড়ালে মহিলাদের ব্যবহার করে মাদক পাচার, গ্রেফতার 2 পাচারকারী

বড়সড় মাদকচক্র ফের সক্রিয় হওয়ার আশঙ্কা করছে গোয়েন্দা দফতর ৷ এছাড়াও হুক্কাবারের আড়ালে কোথায় কী চলছে ? তা সম্পর্কে সবসময় ওয়াকিবহাল থাকতে হয় লালবাজারকে ৷ সম্প্রতি ভবানীপুর এবং পার্কস্ট্রিট থানা এলাকায় কয়েকটি হুক্কাবারে অভিযান চালায় পুলিশ ৷ ধরপাকড়ের পরে কয়েকজনের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ মাদকগোছের বস্তু রাখার অভিযোগে মামলা সাজিয়েছে পুলিশ ৷ উদ্ধার হওয়া সামগ্রী ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানোও হয়েছে । মূলত শহরের আনাচে কানাচে আগাছার মত গজিয়ে উঠেছে একাধিক নামী এবং অনামী হুক্কাবার। এই সকল হুক্কাবারে হুক্কার আড়ালে মাদক সরবরাহ ও সেবনের একাধিক অভিযোগ উঠেছে ৷

কলকাতা, 19 অগস্ট : গাঁজা বা আফিমের যুগ এখন শেষ ৷ এখন, ইয়াবা থেকে চরস বা কোকেন, বাজারমূল্য যতই আকাশছোঁয়া হোক না কেন, এরাজ্যে এই সব মাদকের কদর আগের তুলনায় অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৷

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক লালবাজারের নারকোটিক্স সেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আগে শহরে ইয়াবা কিংবা কোকেন বাজেয়াপ্ত হওয়া ছিল অনেক বড় মাপের খবর। কিন্তু, এখন এই ধরনের মাদক হামেশাই আটক হচ্ছে ৷ ফলে বোঝাই যাচ্ছে এই সব মাদকের বিক্রি বেড়েছে এরাজ্যে ৷ আর সে সেগুলি দেদার বিকোচ্ছে শহরের অভিজাত নাইটক্লাব বা হুক্কাবারের আড়ালে ৷ ফলে এখন শহরের হুক্কাবারগুলি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে লালবাজারের ৷ ইতিমধ্যেই কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্রের নির্দেশে শহরের একাধিক বেআইনি হুক্কাবারগুলিতে গোপনে অভিযান চালাচ্ছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা ৷

তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ওই সব হুক্কাবারে অনেক সাংকেতিক শব্দ বা কোডওয়ার্ড আছে ৷ যেমনটা হল কোক মানে কোকেন ৷ ট্যাক্সি, অ্যাসিড বা স্ট্যাম্প মানে এলএসডি ৷ তাছাড়াও, আইস বা গ্লাস হল ‘ক্রিস্টাল মেথ’ বা মেথামফিট্যামাইনের মতো দামী মাদক ৷ এগুলি প্রত্যেকটি অত্যন্ত উচ্চমাত্রার মাদক ৷ আর এই মাদকগুলির বাজারমূল্যও আকাশছোঁয়া । কোনওটা জিভের তলায় রাখতে হবে, কোনওটা বা তরল ৷ সেগুলি সেবন করার একাধিক পদ্ধতিও রয়েছে ৷

আরও পড়ুন : Pori Moni: মিলল না মুক্তি, মাদক মামলায় ফের হেফাজতে পরীমণি

এমন নয় যে শুধু হুক্কাবারেই খোলাখুলি এই সমস্ত মাদকের সেবন হয় ৷ বেশ কয়েকটি পানশালা, লাউঞ্জ বারে হুক্কা মিললেও, তারা সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলছে ৷ লালবাজার সূত্রের খবর, প্রথমে অভিযোগ উঠলেও পরে গিয়ে দেখা যায় প্রগতি ময়দান থানা এলাকার বেশ কয়েকটি হুক্কাবার সরকারি বিধিনিষেধ মেনেই কাজ করছে ৷ তবে, কিছু ব্যতিক্রম বরাবরই থাকে ৷

আরও পড়ুন : বোরখার আড়ালে মহিলাদের ব্যবহার করে মাদক পাচার, গ্রেফতার 2 পাচারকারী

বড়সড় মাদকচক্র ফের সক্রিয় হওয়ার আশঙ্কা করছে গোয়েন্দা দফতর ৷ এছাড়াও হুক্কাবারের আড়ালে কোথায় কী চলছে ? তা সম্পর্কে সবসময় ওয়াকিবহাল থাকতে হয় লালবাজারকে ৷ সম্প্রতি ভবানীপুর এবং পার্কস্ট্রিট থানা এলাকায় কয়েকটি হুক্কাবারে অভিযান চালায় পুলিশ ৷ ধরপাকড়ের পরে কয়েকজনের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ মাদকগোছের বস্তু রাখার অভিযোগে মামলা সাজিয়েছে পুলিশ ৷ উদ্ধার হওয়া সামগ্রী ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানোও হয়েছে । মূলত শহরের আনাচে কানাচে আগাছার মত গজিয়ে উঠেছে একাধিক নামী এবং অনামী হুক্কাবার। এই সকল হুক্কাবারে হুক্কার আড়ালে মাদক সরবরাহ ও সেবনের একাধিক অভিযোগ উঠেছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.