ETV Bharat / city

বৃষ্টি বাধ সাধছে কুমোরটুলির প্রতিমা তৈরিতে

কয়েকদিন পরেই শারদীয়ার আনন্দে মেতে উঠবে শহর ৷ শুরু হয়ে গেছে প্যান্ডেল বাঁধা ৷ রাস্তায় রাস্তায় হোর্ডিং ও ব্যানার চোখে পড়ছে ৷ কুমোরটুলিতে প্রতিমা গড়ছেন মৃৎশিল্পীরা, কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি ৷

কুমোরটুলি
author img

By

Published : Aug 30, 2019, 9:54 AM IST

Updated : Aug 30, 2019, 2:28 PM IST

কলকাতা, 30 অগাস্ট : অপেক্ষার আর মাত্র কয়েকদিন । তারপরই শুরু হবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো । ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে প্যান্ডেল বাঁধা ৷ রাস্তায় রাস্তায় চোখে পড়ছে হোর্ডিং ও ব্যানার ৷ শুরু হয়ে গেছে প্রতিমা গড়ার কাজও ৷ কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি ৷

সামনেই গণেশ চতুর্থী । তারপর বিশ্বকর্মা পুজো । সেই কাজও চলছে পুরোদমে । মৃৎ শিল্পীপাড়ায় কয়েকটি ওয়ার্কশপে কাজ কিছুটা এগিয়ে থাকলেও, বৃষ্টির জন্য বেশিরভাগ ওয়ার্কশপে দেখা দিয়েছে সমস্যা ৷ মূর্তি তৈরিতে, তা শোকানোর কাজে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন মৃৎ শিল্পীরা ৷ আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, পুজোর 10 দিন আগে পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৷ ফলে কপালে হাত পড়েছে মৃৎ শিল্পীদের । কখনও ঝলমলে রোদের মুখ দেখা গেলেও পরক্ষণেই ঝমঝমিয়ে নামছে বৃষ্টি ।

এই বিষয়ে, কুমোরটুলির জনৈক এক মৃৎ শিল্পী তারকনাথ পাল বলেন, "বৃষ্টি পড়লে আমাদের কাজে খুবই অসুবিধা হয় । যদিও বৃষ্টির আশঙ্কা করেই আমরা আগে থেকে কিছুটা কাজ সেরে রেখেছিলাম ৷ তবুও বেশিরভাগ কাজই বাকি ৷ আমরা নানা বিকল্প উপায়ে মূর্তি শোকানোর চেষ্টা করি ৷ যেমন, ব্লু ল্যাম্প ব্যবহার করি, কখনও আবার গ্যাস দিয়ে শুকোনো হয় ৷ অনেক সময় কাঠ বা খড়ের সাহায্যে আগুন ধরিয়ে শুকনো করা হয় প্রতিমা ।"

ভিডিয়োয় শুনুন তারকনাথ পালের বক্তব্য

কুমোরটুলি মৃৎ শিল্পী সমন্বয় সমিতির বাবু পাল বলেন, "বৃষ্টির ফলে বহু কারিগর কাজ পাচ্ছেন না । ফলে প্রতিমা গড়ার কাজ অনেকটাই পিছিয়ে যাচ্ছে । আমরা সমিতির তরফে শিল্পীদের যথাসম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করি । প্রত্যেক সপ্তাহে শিল্পীদের 25 টাকা দরে 5 লিটার করে কেরোসিন তেল দেওয়া হচ্ছে যাতে তারা ব্লু ল্যাম্প জ্বালিয়ে বা গ্যাস জ্বালিয়ে প্রতিমা শোকাতে পারে ৷ "

কলকাতা, 30 অগাস্ট : অপেক্ষার আর মাত্র কয়েকদিন । তারপরই শুরু হবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো । ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে প্যান্ডেল বাঁধা ৷ রাস্তায় রাস্তায় চোখে পড়ছে হোর্ডিং ও ব্যানার ৷ শুরু হয়ে গেছে প্রতিমা গড়ার কাজও ৷ কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি ৷

সামনেই গণেশ চতুর্থী । তারপর বিশ্বকর্মা পুজো । সেই কাজও চলছে পুরোদমে । মৃৎ শিল্পীপাড়ায় কয়েকটি ওয়ার্কশপে কাজ কিছুটা এগিয়ে থাকলেও, বৃষ্টির জন্য বেশিরভাগ ওয়ার্কশপে দেখা দিয়েছে সমস্যা ৷ মূর্তি তৈরিতে, তা শোকানোর কাজে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন মৃৎ শিল্পীরা ৷ আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, পুজোর 10 দিন আগে পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৷ ফলে কপালে হাত পড়েছে মৃৎ শিল্পীদের । কখনও ঝলমলে রোদের মুখ দেখা গেলেও পরক্ষণেই ঝমঝমিয়ে নামছে বৃষ্টি ।

এই বিষয়ে, কুমোরটুলির জনৈক এক মৃৎ শিল্পী তারকনাথ পাল বলেন, "বৃষ্টি পড়লে আমাদের কাজে খুবই অসুবিধা হয় । যদিও বৃষ্টির আশঙ্কা করেই আমরা আগে থেকে কিছুটা কাজ সেরে রেখেছিলাম ৷ তবুও বেশিরভাগ কাজই বাকি ৷ আমরা নানা বিকল্প উপায়ে মূর্তি শোকানোর চেষ্টা করি ৷ যেমন, ব্লু ল্যাম্প ব্যবহার করি, কখনও আবার গ্যাস দিয়ে শুকোনো হয় ৷ অনেক সময় কাঠ বা খড়ের সাহায্যে আগুন ধরিয়ে শুকনো করা হয় প্রতিমা ।"

ভিডিয়োয় শুনুন তারকনাথ পালের বক্তব্য

কুমোরটুলি মৃৎ শিল্পী সমন্বয় সমিতির বাবু পাল বলেন, "বৃষ্টির ফলে বহু কারিগর কাজ পাচ্ছেন না । ফলে প্রতিমা গড়ার কাজ অনেকটাই পিছিয়ে যাচ্ছে । আমরা সমিতির তরফে শিল্পীদের যথাসম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করি । প্রত্যেক সপ্তাহে শিল্পীদের 25 টাকা দরে 5 লিটার করে কেরোসিন তেল দেওয়া হচ্ছে যাতে তারা ব্লু ল্যাম্প জ্বালিয়ে বা গ্যাস জ্বালিয়ে প্রতিমা শোকাতে পারে ৷ "

Intro:অপেক্ষার আর মাত্র কিছুদিন। তারপরেই বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গোৎসব। একদিকে যেমন শুরু হয়ে গেছে প্যান্ডেল বাঁধা, রাস্তায় রাস্তায় হোর্ডিং ও ব্যানারও পড়া অন্যদিকে আবার কুমোরটুলিতে প্রতিমা গড়ার কাজ চললেও বাদ সেজেছে বৃষ্টি।Body:সামনেই গণেশ চতুর্থী। তারপর বিশ্বকর্মা পুজো। সেই কাজও চলছে পুরোদমে। মৃৎশিল্পীপাড়ায় কয়েকটি ওয়ার্কশপে কাজ কিছুটা এগিয়ে থাকলেও বেশিরভাগ ওয়ার্কশপে এখনও কাজ পিছিয়ে পড়েছে বৃষ্টির কারণে।

আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর পুজোর 10 দিন আগে পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, যার ফলে কপালে হাত পড়েছে মৃৎশিল্পীদের। কখনও ঝলমলে রোদের মুখ দেখা গেলেও তার পরক্ষনেই ঝমঝমিয়ে নামছে বৃষ্টি।

কুমোরটুলির জনৈক এক মৃৎশিল্পী তারককুমার পাল বলেন, "বৃষ্টি পড়লে আমাদের কাজে খুবই অসুবিধা হয়। যদিও বৃষ্টির আশঙ্কা করেই আমরা আগে থেকে মিছুটা কাজ সেরে রেখেছিলাম তবে বেশিরভাগ কাজই বাকি থাকে। আমরা বিভিন্ন বিকল্প উপায় মূর্তি শোনানোর চেষ্টা করি যেমন ব্লু ল্যাম্প ব্যবহার করি, কখনও আবার গ্যাসে শুকনো হয় কিংবা কাঠ বা খোরের সাহায্যে আগুন ধরিয়ে শুকনো করা হয় প্রতিমা।"

ডেডলাইনের মধ্যে প্রতিমা গড়ার কাজ শেষ করে মণ্ডপে পাঠিয়ে দিতে পারলেই নিশ্চিন্ত হবে মৃৎশিল্পীরা। নিঃশ্বাস ফেলার অবশটুকু যেন নেই তাঁদের। এর মধ্যে আবার আকাশের মুখ ভার যেকোনো সময় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। তাই ত্রিপল টানিয়ে রাতভর জেগে কাজ শেষ করছে শিল্পীরা।Conclusion:কুমোরটুলি মৃৎশিল্পী সমন্বয় সমিতির বাবু পাল বলেন, " বৃষ্টির ফলে বহু কারিগরলরের রোজের কাজ মিলছে না। এর ফলে প্রতিমা গড়ার কাজ আস্তে আস্তে বেশ অনেকটাই পিছিয়ে যাচ্ছে। আমরা সমিতির তরফ থেকে শিল্পীদের যথাসম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করি। প্রত্যেক সপ্তাহের শিল্পীদের 25 টাকা দরে 5 লিটার করে কেরোসিন তেল দেওয়া হচ্ছে যাতে তারা যাতে ব্লু ল্যাম্প জ্বালিয়ে বা গ্যাস জ্বালিয়ে প্রতিমা শুকনো করতে পারে।"
Last Updated : Aug 30, 2019, 2:28 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.