কলকাতা, 4 নভেম্বর : পারিবারিক অভিভাবককে হারানোর বেদনা সৃঞ্জয় বসুর গলায়। সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রয়াত। 75 বছর বয়সে চলে গেলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী ৷ মাত্র 26 বছর বয়সে রাজ্যের মন্ত্রী হওয়া মানুষটি ছিলেন আদন্ত ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ। আবেগ তার সবুজ-মেরুন হলেও তিনি ছিলেন ময়দানের প্রকৃত বন্ধু ও অভিভাবক। মোহনবাগান ক্লাবের প্রাক্তন সহসভাপতি সুব্রত মুখোপাধ্যায় তাঁর রাজনৈতিক ব্যস্ততার মধ্যেও খেলা দেখতে নিয়ম করে উপস্থিত থাকতেন। খেলা শেষ করে ক্লাব তাবুতে কখন মুখ দেখিয়ে আবার কখনও আড্ডা মেরে ময়দান ছাড়তেন।
সুব্রত প্রয়াণে মোহনবাগানের সচিব সৃঞ্জয় বসু বলেন, "আমাদের ক্লাবের পতাকা আগামিকাল অর্ধনমিত থাকবে। ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন, ক্লাবের ক্ষতির থেকেও ওনার মৃত্যুতে আমার ব্যক্তিগত ক্ষতি ৷ পারিবারিক ক্ষতি ৷ উনি আমাকে জন্মাতে দেখেছেন ৷ আমরা বাবা-মায়ের সঙ্গে অসম্ভব ভাল সম্পর্ক ছিল। উনি একজন অভিভাবকের মত ছিলেন। এমন একজন অভিভাবক যার কাছে গিয়ে পরামর্শ নেওয়া যেত ৷ যে ব্যক্তি বিপদে পাশে দাঁড়াতেন ৷ গভীরভাবে মর্মাহত আমি।"
রাজ্য কবাডি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন সুব্রতবাবু ৷ তাঁর প্রয়াণে কবাডিতেও বিরাট ধাক্কা। অর্জুন কবাডি খেলোয়াড় রমা দাস বলেন, "অভিভাবক হারালাম। উনি আমাদের কাছে সংস্থার সভাপতি নন, ছিলেন কাছের দাদা। যার কাছে যে কোনও সমস্যা নিয়ে যাওয়া যেত ৷ সমাধানও করতেন। কীভাবে এই ক্ষতিপূরণ হবে জানি না। খুব খারাপ লাগছে।"
আরও পড়ুন : প্রিয়-সুব্রত জুটির মতো আর কোনও জুটি বাংলার রাজনীতিতে হয়নি
মাসখানেক আগে কপিলদেবের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও সাবলীল বক্তৃতা দিয়েছেন । ইডেনে খেলা হলেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন। ব্যস্ততার মধ্যে উপস্থিত থাকতে চেষ্টা করতেন। বেঙ্গল স্টেট টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সচিব শর্মি সেনগুপ্ত বলেন, "অপূরনীয় ক্ষতি। 2015 সাল থেকে দক্ষিণ কলকাতা টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন। আমরা অভিভাবককে হারালাম।"