কলকাতা, 25 জুন : শহরে অত্যাচারিত মহিলারা অনেক সময় থানায় গিয়ে অভিযোগ করতে অনীহা প্রকাশ করতেন । তাঁদের কথা মাথায় রেখেই শহরে একাধিক মহিলা থানা (Women Police Station) গঠন করা হয়েছিল । তাও যেন অপরাধ কমছিল না । এবার মহিলাদের উপর শারীরিক অত্যাচারের প্রবণতা বন্ধের জন্য কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) ভরসা ‘ডায়াল 100’ ।
ঘরে ঘরে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে গার্হস্থ্য হিংসা (Domestic Violence) । এই গার্হস্থ্য হিংসা যে শুধুমাত্র বাড়ির বয়স্কদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ তেমনটা নয় । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই গার্হস্থ্য হিংসা শিকার হন বাড়ির গৃহিণীরা । অনেক ক্ষেত্রেই এই ঘটনার জল থানা অবধি গড়ায় না । সিংহভাগ অত্যাচারের গ্রাফিক্যাল স্ট্যাটাস বলছে, বেশকিছু ঘটনা এমন ঘটে যা কখনওই প্রকাশ্যে আসে না । কিন্তু দিনের পর দিন লাঞ্ছিত, অপমানিত হচ্ছেন মহিলারা ৷ তাঁরা শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের শিকারও হচ্ছেন ৷
আরও পড়ুন : সিঙ্গুরে প্রকাশ্যে খুন করে ছিনতাই, বিহার থেকে গ্রেফতার 2
ফলে দিনের পর দিন এই গার্হস্থ্য অপরাধের প্রবণতা বেড়েই চলেছে । এবার এই অপরাধ দমন করার জন্য এবং শোষিত-নিপীড়িত মহিলারা যাতে সাহস করে প্রশাসনের দ্বারস্থ হতে পারেন, তার জন্য অভিনব প্রয়াস কলকাতা পুলিশের । নাম, 'ডায়াল 100’ ।
তবে কীভাবে সুরহা পাবেন মহিলারা ?
কলকাতা পুলিশের মহিলাদের জন্য বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর থাকলেও তা অনেকাংশেই গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে থাকে । ফলে কলকাতা পুলিশের নয়া উদ্যোগ ‘ডায়াল 100’-তে ফোনে যোগাযোগ করে যদি কোনও বধূ তাঁর উপর হওয়া নির্যাতনের কথা পুলিশ কর্মীদের জানান, তাহলে সরাসরি তার কী কী করণীয় এবং কীভাবে আইনি পদক্ষেপ করে তিনি তাঁর সমস্যার সমাধান সূত্র বের করতে পারেন, তা বিস্তারিত বুঝিয়ে দেবেন পুলিশকর্মীরা । ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়োর মাধ্যমে সমাজের এই কালো অধ্যায়কে তুলে ধরা হয়েছে ।
আরও পড়ুন : Fake IAS : একাধিক মহিলা সাগরেদ থাকার অনুমান, কত বড় চক্র ছিল দেবাঞ্জনের ?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের এক মহিলা পদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘আমাদের শহরে এখনও মহিলারা অনেক অত্যাচার স্বীকার করে থাকেন ৷ শুধুমাত্র কলকাতা শহরে নয়, কলকাতা লাগোয়া বিভিন্ন এমন এমন জায়গা রয়েছে, যেখানে এখনও মহিলাদের সেইভাবে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় না কিংবা কোনও মহিলা যখন তাঁর সেই অধিকার অর্জনের চেষ্টা করেন, তাঁকে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয় ৷ তবে বেশিরভাগ হয় শারীরিকভাবে নির্যাতন ৷ এই অভিযোগের একটি বড় অংশই আমাদের কাছে কখনোই এসে পৌঁছায় না । তার ফলে অভিযুক্তরা পার পেয়ে যায় । আর যাতে এমনটা না হয়, তার জন্য কলকাতা পুলিশের এই উদ্যোগ ৷’’
আরও পড়ুন : Fake Covid Vaccination : অস্তিত্বহীন ব্যক্তিদের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্টও খুলেছিল দেবাঞ্জন