কলকাতা , 17 জানুয়ারি : হাওড়া আদালত চত্বরে আইনজীবী ও পৌরকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অনধিকার প্রবেশ করেছিল পুলিশ । রিপোর্ট রিপোর্ট দিল কমিটি । হাওড়া আদালতে পুলিশ অনধিকার প্রবেশ করেছিল বলে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিল বিচারপতি কল্যাণ জ্যোতি সেনগুপ্তের নেতৃত্বাধীন এক সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ।
গত বছর 24 এপ্রিল গাড়ি পার্কিং করা নিয়ে হাওড়া আদালতে আইনজীবী ও পৌরকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ । বিচারপতি সেনগুপ্ত প্রশ্ন তুলেছেন, "পুলিশ ওইদিন কার অনুমতিতে হাওড়া আদালত চত্বরে প্রবেশ করেছিল? কার অনুমতিতেই বা তারা ওখানে একের পর এক টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটায় এবং লাঠিচার্জ করে?"
আজ প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণণ রাজ্যের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনেরাল অভ্রতোষ মজুমদারকে এই ব্যাপারে জানান, "এই ঘটনার যাতে কোনওভাবেই পুনরাবৃত্তি না হয় সেটা সুনিশ্চিত করুক রাজ্য ।" পাশাপাশি প্রাক্তন বিচারপতি কল্যাণ জ্যোতি সেনগুপ্ত হাইকোর্টের নির্দেশে যে রিপোর্ট দিয়েছেন সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে আগামী 7 ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজ্যের কী বক্তব্য তা হলফনামা দিয়ে জানানোর নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি । 7 ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি ।
গতবছরের 24 এপ্রিলের ঘটনার প্রতিবাদে পরদিন থেকে রাজ্যের সমস্ত আদালতে কর্মবিরতির ডাক দেন আইনজীবীরা । সেদিনের ঘটনায় যুক্ত পুলিশ ও পৌরকর্মীদের শাস্তির দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয় । দীর্ঘদিন শুনানির পর 24 মে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার ও অরিন্দম মুখার্জির ডিভিশন বেঞ্চ প্রাক্তন বিচারপতি কল্যাণ জ্যোতি সেনগুপ্তের নেতৃত্বে এক সদস্য বিশিষ্ট একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন । এই কমিটিকে তিনমাসের মধ্যে ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয় ।
বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার ও অরিন্দম মুখার্জির ডিভিশন বেঞ্চ যে রিপোর্ট দিতে বলেছিলেন সেই রিপোর্ট কিছুদিন আগেই হাইকোর্টে জমা পড়েছে । ডিভিশন বেঞ্চ প্রাক্তন বিচারপতি কল্যাণ জ্যোতি সেনগুপ্তের নেতৃত্বে যে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল সেই কমিটি মোট 124 জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে । এর মধ্যে হাওড়া জেলার তিন পুলিশ কর্তা গোলাম সারওয়ার, অনন্ত নাগ আর বিশাল গর্গ সাক্ষ্য দিয়েছেন ৷ কিন্তু IPS অফিসার ভাবনা গুপ্তা সাক্ষ্য দিতে আসেননি । যদিও এই তিনজনের বক্তব্যে একাধিক অসংগতি পাওয়া গেছে ।