ETV Bharat / city

হাওড়া আদালত চত্বরে অনধিকার প্রবেশ করেছিল পুলিশ, রিপোর্ট কমিটির - আইনজীবী ও পৌরকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ

হাওড়া আদালত চত্বরে আইনজীবী ও পৌরকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অনধিকার প্রবেশ করেছিল পুলিশ ৷ কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট দিল কল্যাণ জ্যোতি সেনগুপ্তের নেতৃত্বাধীন কমিটি ৷

Howrah court case
হাওড়া আদালত
author img

By

Published : Jan 17, 2020, 10:01 PM IST

কলকাতা , 17 জানুয়ারি : হাওড়া আদালত চত্বরে আইনজীবী ও পৌরকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অনধিকার প্রবেশ করেছিল পুলিশ । রিপোর্ট রিপোর্ট দিল কমিটি । হাওড়া আদালতে পুলিশ অনধিকার প্রবেশ করেছিল বলে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিল বিচারপতি কল্যাণ জ্যোতি সেনগুপ্তের নেতৃত্বাধীন এক সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ।

গত বছর 24 এপ্রিল গাড়ি পার্কিং করা নিয়ে হাওড়া আদালতে আইনজীবী ও পৌরকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ । বিচারপতি সেনগুপ্ত প্রশ্ন তুলেছেন, "পুলিশ ওইদিন কার অনুমতিতে হাওড়া আদালত চত্বরে প্রবেশ করেছিল? কার অনুমতিতেই বা তারা ওখানে একের পর এক টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটায় এবং লাঠিচার্জ করে?"

আজ প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণণ রাজ্যের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনেরাল অভ্রতোষ মজুমদারকে এই ব্যাপারে জানান, "এই ঘটনার যাতে কোনওভাবেই পুনরাবৃত্তি না হয় সেটা সুনিশ্চিত করুক রাজ্য ।" পাশাপাশি প্রাক্তন বিচারপতি কল্যাণ জ্যোতি সেনগুপ্ত হাইকোর্টের নির্দেশে যে রিপোর্ট দিয়েছেন সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে আগামী 7 ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজ্যের কী বক্তব্য তা হলফনামা দিয়ে জানানোর নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি । 7 ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি ।

গতবছরের 24 এপ্রিলের ঘটনার প্রতিবাদে পরদিন থেকে রাজ্যের সমস্ত আদালতে কর্মবিরতির ডাক দেন আইনজীবীরা । সেদিনের ঘটনায় যুক্ত পুলিশ ও পৌরকর্মীদের শাস্তির দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয় । দীর্ঘদিন শুনানির পর 24 মে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার ও অরিন্দম মুখার্জির ডিভিশন বেঞ্চ প্রাক্তন বিচারপতি কল্যাণ জ্যোতি সেনগুপ্তের নেতৃত্বে এক সদস্য বিশিষ্ট একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন । এই কমিটিকে তিনমাসের মধ্যে ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয় ।

বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার ও অরিন্দম মুখার্জির ডিভিশন বেঞ্চ যে রিপোর্ট দিতে বলেছিলেন সেই রিপোর্ট কিছুদিন আগেই হাইকোর্টে জমা পড়েছে । ডিভিশন বেঞ্চ প্রাক্তন বিচারপতি কল্যাণ জ্যোতি সেনগুপ্তের নেতৃত্বে যে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল সেই কমিটি মোট 124 জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে । এর মধ্যে হাওড়া জেলার তিন পুলিশ কর্তা গোলাম সারওয়ার, অনন্ত নাগ আর বিশাল গর্গ সাক্ষ্য দিয়েছেন ৷ কিন্তু IPS অফিসার ভাবনা গুপ্তা সাক্ষ্য দিতে আসেননি । যদিও এই তিনজনের বক্তব্যে একাধিক অসংগতি পাওয়া গেছে ।

কলকাতা , 17 জানুয়ারি : হাওড়া আদালত চত্বরে আইনজীবী ও পৌরকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অনধিকার প্রবেশ করেছিল পুলিশ । রিপোর্ট রিপোর্ট দিল কমিটি । হাওড়া আদালতে পুলিশ অনধিকার প্রবেশ করেছিল বলে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিল বিচারপতি কল্যাণ জ্যোতি সেনগুপ্তের নেতৃত্বাধীন এক সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ।

গত বছর 24 এপ্রিল গাড়ি পার্কিং করা নিয়ে হাওড়া আদালতে আইনজীবী ও পৌরকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ । বিচারপতি সেনগুপ্ত প্রশ্ন তুলেছেন, "পুলিশ ওইদিন কার অনুমতিতে হাওড়া আদালত চত্বরে প্রবেশ করেছিল? কার অনুমতিতেই বা তারা ওখানে একের পর এক টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটায় এবং লাঠিচার্জ করে?"

আজ প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণণ রাজ্যের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনেরাল অভ্রতোষ মজুমদারকে এই ব্যাপারে জানান, "এই ঘটনার যাতে কোনওভাবেই পুনরাবৃত্তি না হয় সেটা সুনিশ্চিত করুক রাজ্য ।" পাশাপাশি প্রাক্তন বিচারপতি কল্যাণ জ্যোতি সেনগুপ্ত হাইকোর্টের নির্দেশে যে রিপোর্ট দিয়েছেন সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে আগামী 7 ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজ্যের কী বক্তব্য তা হলফনামা দিয়ে জানানোর নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি । 7 ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি ।

গতবছরের 24 এপ্রিলের ঘটনার প্রতিবাদে পরদিন থেকে রাজ্যের সমস্ত আদালতে কর্মবিরতির ডাক দেন আইনজীবীরা । সেদিনের ঘটনায় যুক্ত পুলিশ ও পৌরকর্মীদের শাস্তির দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয় । দীর্ঘদিন শুনানির পর 24 মে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার ও অরিন্দম মুখার্জির ডিভিশন বেঞ্চ প্রাক্তন বিচারপতি কল্যাণ জ্যোতি সেনগুপ্তের নেতৃত্বে এক সদস্য বিশিষ্ট একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন । এই কমিটিকে তিনমাসের মধ্যে ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয় ।

বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার ও অরিন্দম মুখার্জির ডিভিশন বেঞ্চ যে রিপোর্ট দিতে বলেছিলেন সেই রিপোর্ট কিছুদিন আগেই হাইকোর্টে জমা পড়েছে । ডিভিশন বেঞ্চ প্রাক্তন বিচারপতি কল্যাণ জ্যোতি সেনগুপ্তের নেতৃত্বে যে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল সেই কমিটি মোট 124 জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে । এর মধ্যে হাওড়া জেলার তিন পুলিশ কর্তা গোলাম সারওয়ার, অনন্ত নাগ আর বিশাল গর্গ সাক্ষ্য দিয়েছেন ৷ কিন্তু IPS অফিসার ভাবনা গুপ্তা সাক্ষ্য দিতে আসেননি । যদিও এই তিনজনের বক্তব্যে একাধিক অসংগতি পাওয়া গেছে ।

Intro:হাওড়া আদালত চত্বরে আইনজীবী ও পুরো কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অনধিকার প্রবেশ করেছিল পুলিশ, রিপোর্ট রিপোর্ট দিল কমিটি

কলকাতা 17 জানুয়ারি:
গত বছর 24 এপ্রিল গাড়ি পার্কিং করা নিয়ে হাওড়া আদালতে আইনজীবী ও পুরো কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। দু পক্ষের মারামারি কে নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে । হাওড়া আদালতে পুলিশ অনধিকার প্রবেশ করেছিল বলে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিল বিচারপতি কল্যাণ জ্যোতি সেনগুপ্তের নেতৃত্বাধীন একজন বিশিষ্ট কমিটি। বিচারপতি সেনগুপ্ত প্রশ্ন তুলেছেন পুলিশ যে ঐদিন হাওড়া আদালত চত্বরে প্রবেশ করেছিল সেটা কার অনুমতিতে? কার অনুমতিতে বা তারা ওখানে একের পর এক টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটায়। এবং সর্বোপরি লাঠিচার্জ করে। পাশাপাশি বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছেন পুলিশ বলতে এখানে হোমগার্ড সিভিক ভলান্টিয়ারদের কে ও যুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু তারা কি আইনগতভাবে পুলিশ বলে বিবেচিত হন? এরাও ঐদিন লাঠিচার্জের কাজে নিযুক্ত হয়েছিলেন বলে রিপোর্টে উঠে এসেছে। আজ প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণাণ রাজ্যের অতিরিক্ত এডভোকেট জেনারেল অভ্রতোষ মজুমদারকে এই ব্যাপারে জানালেন," এই ঘটনার যাতে কোনোভাবেই পুনরাবৃত্তি না হয় সেটা সুনিশ্চিত করুক রাজ্য। "পাশাপাশি প্রাক্তন বিচারপতি কল্যাণ জ্যোতি সেনগুপ্ত হাইকোর্টের নির্দেশে যে রিপোর্ট দিয়েছেন সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে আগামী 7 ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজ্যের কি বক্তব্য তা হলফনামা দিয়ে জানানোর নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি। আগামী 7 ফেব্রুয়ারি আবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।


Body:গত বছর 24 এপ্রিল গাড়ি পার্কিং করা নিয়ে হাওড়া আদালতে আইনজীবী ও পুরো কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। দু পক্ষের মারামারি কে নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। ঘটনার প্রতিবাদে গত বছর 25 এপ্রিল থেকে রাজ্যের সমস্ত আদালতে কর্মবিরতির ডাক দেয় আইনজীবীরা। সেদিনের ঘটনায় যুক্ত পুলিশও পুরো কর্মীদের শাস্তির দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। দীর্ঘদিন শুনানির পর 24 মে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার ও অরিন্দম মুখার্জী ডিভিশন বেঞ্চ প্রাক্তন বিচারপতি কল্যাণ জ্যোতি সেনগুপ্তের নেতৃত্বে এক সদস্য বিশিষ্ট একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। এই কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়। এরপর আইনজীবীরা কর্মবিরতি তুলে নিয়ে আবার স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করেন। এখন মামলাটি মামলাটি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি চলছে।

বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার ও অরিন্দম মুখার্জী ডিভিশন বেঞ্চ যে রিপোর্ট দিতে বলেছিলেন সেই রিপোর্ট কিছুদিন আগেই হাইকোর্টে জমা পড়েছে । ডিভিশন বেঞ্চ প্রাক্তন বিচারপতি কল্যাণ জ্যোতি সেনগুপ্তের নেতৃত্বে যে একজন বিশকমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল সেই কমিটিতে মোট 124 জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে। তারমধ্যে রয়েছে হাওড়া জেলার তিন পুলিশ কর্তা পুলিশ কর্তা ।আইপিএস অফিসার গোলাম সারওয়ার, অনন্তনাগ আর বিশাল গার্গ এসে সাক্ষী দিয়েছেন কিন্তু আইপিএস অফিসার ভাবনা গুপ্তা সাক্ষ্য দিতে আসেননি। যদিও এই তিনজনের বক্তব্যে একাধিক অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। আজ মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি রাজ্যের অতিরিক্ত এডভোকেট জেনারেল অভ্র তোষ মজুমদারকে বলেন," আমাদের সবাইকে নিয়ে চলতে হয়। তাই এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেটা সুনিশ্চিত করুক রাজ্যের প্রশাসন। পাশাপাশি একজন বিশিষ্ট কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছে হাওড়া আদালতের ঘটনায় সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে রাজ্যের বক্তব্য হাইকোর্টকে জানাক তারা। আগামী 7 ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.