কলকাতা, 20 জুলাই: করোনার জেরে দু’বছর হয়নি ধর্মতলার 21’র সমাবেশ ৷ প্রায় দু’বছর পরে জন প্লাবন হবে তৃণমূলের শহিদ দিবসে ৷ এমনটাই মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব ৷ ইতিমধ্যেই, বিপুল জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে কোমর বেঁধে নেমেছে পুলিশ। তবে, তৃণমূলের এই বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থকদের জন্য পানীয় জল, স্বাস্থ্য শিবির, অ্যাম্বুল্যান্স থেকে শুরু করে সভাস্থলের আবর্জনা সাফাই বা শৌচলায়ের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করাও একটা বড় ঝক্কি ৷ এই বিরাট কর্মকাণ্ডের দায়িত্ব থাকছে কলকাতা পৌরনিগমের কাঁধে (KMC Workers will Clear Streets of Kolkata Only 40 Minutes After TMC 21st July Rally)।
তৃণমূলের এই মেগা-ইভেন্টে এই সব পরিষেবা সঠিকভাবে দেওয়াই বড় চ্যালেঞ্জ কলকাতা পৌরনিগমের কাছে ৷ তবে, পৌরনিগমের তরফে বলা হচ্ছে, সমাবেশ শেষে রাজপথ সাফ হবে মাত্র 30-40 মিনিটের মধ্যে ৷ বৃহস্পতিবারের সমাবেশ ঘিরে কলকাতা পৌরনিগম ঠিক কী প্রস্তুতি নিয়েছে ?
কলকাতা পৌরনিগমের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার জানিয়েছেন, ধর্মতলার যে সমস্ত সুলভ শৌচালয় আছে সেগুলি খোলা থাকবে ৷ তা ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী শৌচালয় বসানো হচ্ছে ৷ থাকছে বায়ো টয়লেট ৷ শিয়ালদা স্টেশন, এসএন ব্যানার্জি রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ও ময়দান লাগোয়া এলাকায় একাধিক পানীয় জলের গাড়ি রাখা থাকবে ৷ সমাবেশ স্থল পরিষ্কার করে আশপাশের চত্ত্বরে ছড়ানো হবে চুন ও ব্লিচিং ৷ প্রত্যেকটি রাস্তায় নির্দিষ্ট দূরত্বে বসানো হবে জঞ্জাল ফেলার বিন ৷ মঞ্চ থেকে শুরু করে আশেপাশের এলাকা কঠিন বর্জ্য বিভাগের তরফে জীবাণুমুক্ত করা হবে সমাবেশের আগে ও পরে ৷
আরও পড়ুন: 21 July: 21 জুলাইয়ের সমাবেশের জন্য শিয়ালদাতে করা হল স্বাস্থ্যশিবির
এর পরেও জঞ্জাল সাফাই বিভাগের প্রায় এক হাজারের উপর 100 দিনের প্রকল্পের কর্মীরা ৷ সমাবেশ শেষে ভিড় কমতে শুরু করলেই, শুরু হবে সাফাই অভিযান ৷ ধর্মতলা শুধু নয়, ময়দান, পার্কস্ট্রিট, এজেসি বসু রোড, সিআইটি বা বিধান সরণি সহ আশপাশের সব এলাকায় চলবে সাফাই অভিযান ৷ মহূর্তের মধ্যে লোকজনের ফেলে যাওয়া আবর্জনা ছোট ছোট ব্যাটারি চালিত গাড়ি করে নিয়ে যাওয়া হবে স্থানীয় কম্প্যাক্টর স্টেশনে ৷ সেখান থেকে বড় ট্রাকে নিয়ম মাফিক ধাপায় ফেলা হবে আবর্জনা ৷ এই পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে রাজপথকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করতে 30-40 মিনিট সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পৌরনিগমের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার ৷