কলকাতা, 15 সেপ্টেম্বর: নির্দেশ মতো কাজ করায় মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের (Madrasa Service Commission) চেয়ারম্যানকে আপাতত স্বস্তি দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। তবে আগামী বৃহস্পতিবার ফের তাঁকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি (Calcutta High Court)।
2002 সালে হাইস্কুলে চাকরি পেয়েছিলেন খলিলউল্লাহ বৈদ্য । চাকরি করতে করতেই 2009 সালে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি । ওই বছরই তাঁর চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা । কিন্তু মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন যে স্কুলে নিয়োগের সুপারিশপত্র দেয়, সেখানে কোনও শূন্যপদ ছিল না। পাশাপাশি স্কুলটি বাড়ি থেকে অনেক দূরে হওয়ায় তিনি বার বার অভিযোগ করেও কাজ হয়নি । 2009 সাল থেকে তাঁর বেতন বন্ধ হয়ে যায় । বাধ্য হয়ে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ।
মে মাসে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় খলিলউল্লাহকে তিন মাসের মধ্যে তাঁর বাড়ির 20 কিলোমিটারের মধ্যে নিয়োগের সুপারিশপত্র এবং 2009 সাল থেকে বকেয়া বেতন দেওয়ার নির্দেশ দেন । কিন্তু এত দিন কেটে গেলেও তা মানা হয়নি । এর প্রেক্ষিতে গতকাল 24 ঘণ্টার মধ্যে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে তলব করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় । কিন্তু আদালতের নির্দেশের পরেই নড়েচড়ে বসে কমিশন । তড়িঘড়ি রাত সাড়ে 10টা নাগাদ মামলাকারীর বাড়িতে পৌঁছে যায় সুপারিশপত্র । তাঁকে বকেয়া 10 লক্ষ টাকা বেতনও দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায় ।
আরও পড়ুন: মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা ঘিরে একাধিক প্রশ্ন, রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট
এ দিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান আদালতের নির্দেশ মতো হাজিরা দিলেও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে কোনও কড়া কথা বলেননি । যদিও মামলাকারী খলিলউল্লাহ বৈদ্যর অভিযোগ, তাঁকে 20 কিলোমিটারের মধ্যে বদলির নির্দেশ দিলেও বদলি করা হয়েছে 70 কিলোমিটার দূরে । সেই কারণে আগামী বৃহস্পতিবার তাঁকে ফের আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ।