কলকাতা, 15 অগাস্ট : একদিকে স্পেশাল টাস্কফোর্স, অন্যদিকে NIA । খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করতে শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি । তাই এদেশে থাকা মোটেই নিরাপদ ছিল না জাহিরুল শেখদের । NIA জানতে পেরেছে তারা ছদ্মবেশে প্রথমে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে গা ঢাকা দেয় । কিন্তু তদন্তকারীদের তৎপরতা বুঝতে পেরে তারা সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে চলে যায় । এবিষয়ে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সঙ্গে তথ্য আদান প্রদান করে ভারতের গোয়েন্দারা । সূত্রের খবর তেমনটাই ।
সালটা 2014 ৷ অক্টোবর মাসে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর তখনও খোঁজ মেলেনি বোমারু মিজান ওরফে কওসর, মুস্তাফিজুর, জাহিরুলদের । 2016 সালের 28 জনুয়ারি NIA-এর তরফে জারি করা হয় সতর্ক বার্তা । তাতে 6 জনের নাম ছিল । ইউসুফ শেখ, কদর কাজি, বুরহান শেখ, মুস্তাফিজুর রহমান, আবুল কালাম এবং জাহিরুল শেখের । তখন এই 6 জনের মাথার দামও ঠিক করা হয় । বলা হয়, ইউসুফের খোঁজ দিতে পারলে মিলবে 10 লাখ টাকা পুরস্কার । আজ জাহিরুলের ক্ষেত্রে সেই পুরস্কারের অঙ্কটা ছিল এক লাখ । এই সময় NIA জানতে পারে নিজেদের ভোল পালটে ফেলেছে ওই 6 জন জঙ্গি । তারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে । ওই 6 জন তার আগেই বাংলাদেশ গিয়েছিল বলে খবর ।
অন্য জঙ্গিদের জেরা করে NIA জানতে পারে নদিয়া জেলার থানারপাড়া এলাকার বাসিন্দা জাহিরুল থাকত শিমুলিয়া মাদ্রাসাতেই । কওসরের হাতেই তার জঙ্গিবাদে দীক্ষা । তার কাছ থেকেই সে পেয়েছিল বোমা বানানোর ট্রেনিং । একই সঙ্গে ভালো গাড়ি চালাত সে । শিমুলিয়া মাদ্রাসায় যে ন্যানো গাড়িটি উদ্ধার করেছিল সেটি ছিল এই জাহিরুলের । মৌলানা ইউসুফ ওরফে ইউসুফ শেখের সাহায্য নিয়ে জাহিরুল ওই গাড়িটি কিনেছিল । তাহলে একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিল । আসলে খাগরাগড়ে বানানো বিস্ফোরক কাপড়ের বান্ডিলের আড়ালে মুর্শিদাবাদ সীমান্ত পার করার জন্য নিয়ে যাওয়া হত । সেই বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া হত ওই ন্যানো গাড়িটিতেই । এমনকি ওই গাড়ির সামনে থাকত সেনাবাহিনীর একটি স্টিকার । এহেন জাহিরুলকে গ্রেপ্তার NIA-এর এক বড় সাফল্য । তাকে নিজেদের হেপাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে তদন্তকারীরা ।