ETV Bharat / city

ছদ্মবেশে বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়েছিল JMB জঙ্গি জাহিরুল ! - arrest of Zahirul major success of the NIA

2016 সালের 28 জনুয়ারি NIA-এর তরফে জারি করা হয় সতর্ক বার্তা । তাতে 6 জনের নাম ছিল । ইউসুফ শেখ, কদর কাজি, বুরহান শেখ, মুস্তাফিজুর রহমান, আবুল কালাম এবং জাহিরুল শেখের । তখন এই 6 জনের মাথার দামও ঠিক করা হয় । বলা হয়, ইউসুফের খোঁজ দিতে পারলে মিলবে 10 লাখ টাকা পুরস্কার । আজ জাহিরুলের ক্ষেত্রে সেই পুরস্কারের অংকটা ছিল এক লাখ ।

জাহিরুল শেখ
author img

By

Published : Aug 15, 2019, 11:15 PM IST

কলকাতা, 15 অগাস্ট : একদিকে স্পেশাল টাস্কফোর্স, অন্যদিকে NIA । খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করতে শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি । তাই এদেশে থাকা মোটেই নিরাপদ ছিল না জাহিরুল শেখদের । NIA জানতে পেরেছে তারা ছদ্মবেশে প্রথমে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে গা ঢাকা দেয় । কিন্তু তদন্তকারীদের তৎপরতা বুঝতে পেরে তারা সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে চলে যায় । এবিষয়ে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সঙ্গে তথ্য আদান প্রদান করে ভারতের গোয়েন্দারা । সূত্রের খবর তেমনটাই ।

সালটা 2014 ৷ অক্টোবর মাসে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর তখনও খোঁজ মেলেনি বোমারু মিজান ওরফে কওসর, মুস্তাফিজুর, জাহিরুলদের । 2016 সালের 28 জনুয়ারি NIA-এর তরফে জারি করা হয় সতর্ক বার্তা । তাতে 6 জনের নাম ছিল । ইউসুফ শেখ, কদর কাজি, বুরহান শেখ, মুস্তাফিজুর রহমান, আবুল কালাম এবং জাহিরুল শেখের । তখন এই 6 জনের মাথার দামও ঠিক করা হয় । বলা হয়, ইউসুফের খোঁজ দিতে পারলে মিলবে 10 লাখ টাকা পুরস্কার । আজ জাহিরুলের ক্ষেত্রে সেই পুরস্কারের অঙ্কটা ছিল এক লাখ । এই সময় NIA জানতে পারে নিজেদের ভোল পালটে ফেলেছে ওই 6 জন জঙ্গি । তারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে । ওই 6 জন তার আগেই বাংলাদেশ গিয়েছিল বলে খবর ।

অন্য জঙ্গিদের জেরা করে NIA জানতে পারে নদিয়া জেলার থানারপাড়া এলাকার বাসিন্দা জাহিরুল থাকত শিমুলিয়া মাদ্রাসাতেই । কওসরের হাতেই তার জঙ্গিবাদে দীক্ষা । তার কাছ থেকেই সে পেয়েছিল বোমা বানানোর ট্রেনিং । একই সঙ্গে ভালো গাড়ি চালাত সে । শিমুলিয়া মাদ্রাসায় যে ন্যানো গাড়িটি উদ্ধার করেছিল সেটি ছিল এই জাহিরুলের । মৌলানা ইউসুফ ওরফে ইউসুফ শেখের সাহায্য নিয়ে জাহিরুল ওই গাড়িটি কিনেছিল । তাহলে একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিল । আসলে খাগরাগড়ে বানানো বিস্ফোরক কাপড়ের বান্ডিলের আড়ালে মুর্শিদাবাদ সীমান্ত পার করার জন্য নিয়ে যাওয়া হত । সেই বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া হত ওই ন্যানো গাড়িটিতেই । এমনকি ওই গাড়ির সামনে থাকত সেনাবাহিনীর একটি স্টিকার । এহেন জাহিরুলকে গ্রেপ্তার NIA-এর এক বড় সাফল্য । তাকে নিজেদের হেপাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে তদন্তকারীরা ।

কলকাতা, 15 অগাস্ট : একদিকে স্পেশাল টাস্কফোর্স, অন্যদিকে NIA । খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করতে শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি । তাই এদেশে থাকা মোটেই নিরাপদ ছিল না জাহিরুল শেখদের । NIA জানতে পেরেছে তারা ছদ্মবেশে প্রথমে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে গা ঢাকা দেয় । কিন্তু তদন্তকারীদের তৎপরতা বুঝতে পেরে তারা সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে চলে যায় । এবিষয়ে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সঙ্গে তথ্য আদান প্রদান করে ভারতের গোয়েন্দারা । সূত্রের খবর তেমনটাই ।

সালটা 2014 ৷ অক্টোবর মাসে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর তখনও খোঁজ মেলেনি বোমারু মিজান ওরফে কওসর, মুস্তাফিজুর, জাহিরুলদের । 2016 সালের 28 জনুয়ারি NIA-এর তরফে জারি করা হয় সতর্ক বার্তা । তাতে 6 জনের নাম ছিল । ইউসুফ শেখ, কদর কাজি, বুরহান শেখ, মুস্তাফিজুর রহমান, আবুল কালাম এবং জাহিরুল শেখের । তখন এই 6 জনের মাথার দামও ঠিক করা হয় । বলা হয়, ইউসুফের খোঁজ দিতে পারলে মিলবে 10 লাখ টাকা পুরস্কার । আজ জাহিরুলের ক্ষেত্রে সেই পুরস্কারের অঙ্কটা ছিল এক লাখ । এই সময় NIA জানতে পারে নিজেদের ভোল পালটে ফেলেছে ওই 6 জন জঙ্গি । তারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে । ওই 6 জন তার আগেই বাংলাদেশ গিয়েছিল বলে খবর ।

অন্য জঙ্গিদের জেরা করে NIA জানতে পারে নদিয়া জেলার থানারপাড়া এলাকার বাসিন্দা জাহিরুল থাকত শিমুলিয়া মাদ্রাসাতেই । কওসরের হাতেই তার জঙ্গিবাদে দীক্ষা । তার কাছ থেকেই সে পেয়েছিল বোমা বানানোর ট্রেনিং । একই সঙ্গে ভালো গাড়ি চালাত সে । শিমুলিয়া মাদ্রাসায় যে ন্যানো গাড়িটি উদ্ধার করেছিল সেটি ছিল এই জাহিরুলের । মৌলানা ইউসুফ ওরফে ইউসুফ শেখের সাহায্য নিয়ে জাহিরুল ওই গাড়িটি কিনেছিল । তাহলে একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিল । আসলে খাগরাগড়ে বানানো বিস্ফোরক কাপড়ের বান্ডিলের আড়ালে মুর্শিদাবাদ সীমান্ত পার করার জন্য নিয়ে যাওয়া হত । সেই বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া হত ওই ন্যানো গাড়িটিতেই । এমনকি ওই গাড়ির সামনে থাকত সেনাবাহিনীর একটি স্টিকার । এহেন জাহিরুলকে গ্রেপ্তার NIA-এর এক বড় সাফল্য । তাকে নিজেদের হেপাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে তদন্তকারীরা ।

Intro:কলকাতা, ১৪ অগাস্ট: একদিকে স্পেশাল টাস্কফোর্স, অন্যদিকে NIA। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করতে শুরু করে চিরুনি তল্লাশি। সেই সূত্রেই এ দেশে থাকা মোটেই নিরাপদ ছিল না জাহিরুল শেখদের। এনআইএ জানতে পেরেছে তারা ছদ্মবেশে প্রথমে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে গা ঢাকা দেয়। কিন্তু তদন্তকারীদের তৎপরতা বুঝতে পেরে তারা সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে চলে যায়। এ বিষয়ে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সঙ্গে তথ্য আদান প্রদান করে ভারতের গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর তেমনটাই। Body:২০১৬ সাল।২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর তখনও খোঁজ মেলেনি বোমারু মিজান ওরফে কওসর, মুস্তাফিজুর, জাহিরুলদের। 28 জনুয়ারি এনআইএর তরফে জারি করা হয় সতর্ক বার্তা। তাতে ৬ জনের নাম ছিল। ইউসুফ শেখ,কদর কাজি, বুরহান শেখ, মুস্তাফিজুর রহমান, আবুল কালাম এবং জহিরুল শেখের। তখন এই ছয়জনের মাথার দামও ঠিক করে হয়। বলা হয়, ইউসুফের খোঁজ দিতে পারলে মিলবে 10 লাখ টাকা পুরস্কার। আজ জহিরুলের ক্ষেত্রে সেই পুরস্কার এর অংক ছিল এক লাখ। এই সময় এনআইএ জানতে পারে নিজেদের ভোল পাল্টে ফেলেছে ওই ছয় জঙ্গি। তারা চেষ্টা চালাচ্ছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ পেতে। ওই 6 জন তার আগেই বাংলাদেশ গিয়েছিল বলে খবর।
Conclusion:বিভিন্ন জঙ্গিকে জেরা করে এনআইএ জানতে পারে নদিয়া জেলার থানারপাড়া এলাকার বাসিন্দা জাহিরুল থাকতো শিমুলিয়া মাদ্রাসাতেই। কওসরের হাতেই তার জঙ্গিবাদে দীক্ষা। তার কাছ থেকেই সে পেয়েছিল বোমা বানানোর ট্রেনিং। একই সঙ্গে ভালো গাড়ি চালাত সে। শিমুলিয়া মাদ্রাসায় যে ন্যানো গাড়ি টি উদ্ধার করেছিল সেটি ছিল এই জহিরুলের। মৌলানা ইউসুফ ওরফে ইউসুফ শেখের সাহায্য নিয়ে জহিরুল ওই গাড়ি কিনেছিল। তাহলে একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিল। আসলে খাগরাগড়ে বানানো বিস্ফোরক কাপড়ের বান্ডিলের আড়ালে মুর্শিদাবাদ সীমান্ত পার করার জন্য নিয়ে যাওয়া হতো। সেই বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া হতো ওই ন্যানো গাড়িটিতেই। এমনকি ওই গাড়ির সামনে থাকত সেনাবাহিনীর একটি স্টিকার। এহেন জহিরুলকে গ্রেপ্তারি এন আই এর কাছে এক বড় সাফল্য। তাকে নিজেদের হেফাজতে রেখে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে তদন্তকারীরা।

For All Latest Updates

TAGGED:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.