কলকাতা, 2 অগাস্ট : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ফেসবুকের মেসেঞ্জারে এক মহিলাকে অশ্লীল মেসেজ করার অভিযোগ উঠল । মেসেজগুলি যে তাঁর প্রোফাইল থেকে পাঠানো হয়েছে তা অস্বীকার করেননি ওই অধ্যাপক ৷ তবে তাঁর বক্তব্য, তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে অন্য কেউ ঢুকে ওই মেসেজগুলি পাঠিয়েছেন । তিনি ইতিমধ্যেই হরিদেবপুর থানায় জেনেরাল ডায়েরি করেছেন ৷
বুধবার রাতে এক মহিলা মেসেঞ্জারে কথোপকথনের কয়েকটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে অভিযোগ করেছেন, ওই অধ্যাপক তাঁর এক আত্মীয়ের সঙ্গে অশ্লীল ব্যবহার করেছেন । যেখানে দেখা যাচ্ছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অধ্যাপক এক মহিলাকে কুপ্রস্তাব দিচ্ছেন ।
বেশ কিছুদিন আগেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক কনক সরকার মহিলাদের নিয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট করে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন । আবার মহিলাদের সঙ্গে অধ্যাপকের অশ্লীল কথোপকথনের স্ক্রিনশট সামনে আসতেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে । আরও অনেকেই ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অশ্লীল ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছেন ।
মেসেজগুলি যে তাঁর প্রোফাইল থেকে পাঠানো হয়েছে তা অস্বীকার করেননি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অধ্যাপক । তবে, তাঁর বক্তব্য, প্রোফাইলে অন্য কেউ ঢুকে ওই মেসেজগুলি করেছেন । গতকাল তিনি বলেন, "আমি আজকে পুলিশে একটা রিপোর্ট করেছি । আমার রিপোর্টটা পুলিশ নিয়েছে ৷ এবং আগামীকাল (শুক্রবার) আমি সাইবার ক্রাইমে জানাব । আমার অ্যাকাউন্টটা কম্প্রোমাইজ় হয়েছে । আমি অ্যাক্সেস করতে পারছি । তবে, আমার অ্যাকাউন্টে ঢুকে কেউ উলটো পালটা মেসেজ পাঠিয়েছে । যে সব আমার বিষয়ে লেখা হচ্ছে সেই সব আমার কল্পনারও অতীত । আমি তো এই ঘটনার শিকার । "
এ বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মতামত জানতে উপাচার্য সুরঞ্জন দাশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি কলকাতার বাইরে যাচ্ছেন । সহ-উপাচার্য বা রেজিস্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি । রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, তাঁর কাছে এই সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ আসেনি । সহ-উপাচার্য প্রদীপ কুমার ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "আমি একটু ব্যস্ত আছি মিটিংয়ে ।"