ETV Bharat / city

নিজাম প্যালেসে পৌঁছে কি রাজনৈতিক মাস্টারস্ট্রোক দিলেন মমতা ?

সিবিআই দফতরে হাজির থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার এই ঘটনা থেকে নিজের রাজনৈতিক লাভ তুলতে পারেন কি না !

নিজাম প্যালেসে পৌঁছে কি রাজনৈতিক মাস্টারস্ট্রোক দিলেন মমতা ?
নিজাম প্যালেসে পৌঁছে কি রাজনৈতিক মাস্টারস্ট্রোক দিলেন মমতা ?
author img

By

Published : May 17, 2021, 3:36 PM IST

কলকাতা, 17 মে : সময়টা বছর দুয়েক আগের ৷ ফেব্রুয়ারি মাসের এক রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় আচমকাই কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়ির সামনে হাজির হয়েছিলেন সিবিআই-এর আধিকারিকরা ৷ কিন্তু সেই ঘটনা নিয়ে সেদিন সন্ধ্যা থেকে রীতিমতো তুলকালাম হয়েছিল কলকাতায় ৷

সেই সন্ধ্যায় রাজীব কুমারের জন্য পথে নেমেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ রাজীব কুমারের বাসভবনে গিয়েছিলেন ৷ পরে ধর্মতলায় ধর্নাতেও বসেন তিনি ৷ আর সেই টানাপোড়েনে সেদিন রাজীব কুমারের বাসভবনে ঢুকতেই পারেননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ব্যুরোর সদস্যরা ৷

ওই মামলার অগ্রগতি তার পরে বিশেষ কিছু হয়নি ৷ আদালতের নির্দেশে তখন রাজীব কুমারকে শুধু জেরা করেই থামতে হয়েছিল সিবিআইকে ৷ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সেই সন্ধ্যায় ময়দানে নেমে কার্যত কেন্দ্রীয় ওই সংস্থার আধিকারিকদের বিভ্রান্ত করে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেই সময় রাজনৈতিক জয় হয়েছিল মমতারই ৷

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সেই কারণেই হয়তো এবার আটঘাঁট বেঁধেই পথে নেমেছে সিবিআই ৷ রাজ্যে রবিবার থেকেই শুরু হয়েছে লকডাউন৷ করোনা মোকাবিলায় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ৷ ফলে চাইলেও ধর্নায় বসতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাই লকডাউনের মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে এই চারজনকে ৷

কিন্তু এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি চলে গিয়েছেন নিজাম প্যালেসে ৷ সোমবার সকাল পৌনে 11টা থেকে বসে রয়েছেন সিবিআই দফতরে ৷ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি সেখানেই বসে রয়েছেন ৷ তাঁর দাবি, সিবিআই যেন তাঁকেও গ্রেফতার করে ৷ স্বাভাবিক ভাবেই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে কলকাতার নিজাম প্যালেসের সামনে ৷

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এটা আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাস্টারস্ট্রোক ৷ গোটা ঘটনার সব আলো তিনি নিজের দিকে টেনে নিয়েছেন ৷ এই গ্রেফতারি যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, সেটাও তিনি প্রমাণ করতে মরিয়া ৷ আর এটা সম্ভবত সিবিআই আন্দাজ করতে পারেনি ৷

আরও পড়ুন : আমাকেও গ্রেফতার করুন, নিজাম প্যালেসে মমতা

তাই এখন দেখার সিবিআই দফতরে হাজির থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার এই ঘটনা থেকে নিজের রাজনৈতিক লাভ তুলতে পারেন কি না !

কলকাতা, 17 মে : সময়টা বছর দুয়েক আগের ৷ ফেব্রুয়ারি মাসের এক রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় আচমকাই কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়ির সামনে হাজির হয়েছিলেন সিবিআই-এর আধিকারিকরা ৷ কিন্তু সেই ঘটনা নিয়ে সেদিন সন্ধ্যা থেকে রীতিমতো তুলকালাম হয়েছিল কলকাতায় ৷

সেই সন্ধ্যায় রাজীব কুমারের জন্য পথে নেমেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ রাজীব কুমারের বাসভবনে গিয়েছিলেন ৷ পরে ধর্মতলায় ধর্নাতেও বসেন তিনি ৷ আর সেই টানাপোড়েনে সেদিন রাজীব কুমারের বাসভবনে ঢুকতেই পারেননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ব্যুরোর সদস্যরা ৷

ওই মামলার অগ্রগতি তার পরে বিশেষ কিছু হয়নি ৷ আদালতের নির্দেশে তখন রাজীব কুমারকে শুধু জেরা করেই থামতে হয়েছিল সিবিআইকে ৷ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সেই সন্ধ্যায় ময়দানে নেমে কার্যত কেন্দ্রীয় ওই সংস্থার আধিকারিকদের বিভ্রান্ত করে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেই সময় রাজনৈতিক জয় হয়েছিল মমতারই ৷

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সেই কারণেই হয়তো এবার আটঘাঁট বেঁধেই পথে নেমেছে সিবিআই ৷ রাজ্যে রবিবার থেকেই শুরু হয়েছে লকডাউন৷ করোনা মোকাবিলায় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ৷ ফলে চাইলেও ধর্নায় বসতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাই লকডাউনের মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে এই চারজনকে ৷

কিন্তু এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি চলে গিয়েছেন নিজাম প্যালেসে ৷ সোমবার সকাল পৌনে 11টা থেকে বসে রয়েছেন সিবিআই দফতরে ৷ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি সেখানেই বসে রয়েছেন ৷ তাঁর দাবি, সিবিআই যেন তাঁকেও গ্রেফতার করে ৷ স্বাভাবিক ভাবেই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে কলকাতার নিজাম প্যালেসের সামনে ৷

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এটা আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাস্টারস্ট্রোক ৷ গোটা ঘটনার সব আলো তিনি নিজের দিকে টেনে নিয়েছেন ৷ এই গ্রেফতারি যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, সেটাও তিনি প্রমাণ করতে মরিয়া ৷ আর এটা সম্ভবত সিবিআই আন্দাজ করতে পারেনি ৷

আরও পড়ুন : আমাকেও গ্রেফতার করুন, নিজাম প্যালেসে মমতা

তাই এখন দেখার সিবিআই দফতরে হাজির থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার এই ঘটনা থেকে নিজের রাজনৈতিক লাভ তুলতে পারেন কি না !

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.