ETV Bharat / city

বিশ্বভারতীর বেদনাদায়ক পরিবেশের অবসান হোক, আবেদন বিশিষ্টদের

বিশ্বভারতীর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার মিলিয়ে মোট 27 জন খোলা চিঠি লিখলেন ৷ বিশ্বভারতীর অচলাবস্থার অবসান হোক ৷ ফিরে আসুক শান্তি, এই আবেদন জানান তাঁরা ৷

letter
letter
author img

By

Published : Aug 20, 2020, 8:10 PM IST

কলকাতা, 20 অগাস্ট : বিশ্বভারতীর ঘটনা নিয়ে এবার সরব বিশিষ্টজনরা । শঙ্খ ঘোষ, তরুণ মজুমদার, বিভাস চক্রবর্তী, মনোজ মিত্রদের মতো ব্যক্তিরা বিশ্বভারতীর বেদনাদায়ক পরিবেশের অবসানের আবেদন জানালেন । বিশ্বভারতীকে রাজনীতির আখড়ায় পরিণত না করার আবেদনও জানান তাঁরা ।

খোলা চিঠিতে বিশিষ্টজনরা লেখেন, “রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন ও বিশ্বভারতী যে ঘটনাবলির মধ্য দিয়ে চলছে, তা ক্রমাগত আমাদের হৃদয় ভারাক্রান্ত তুলেছে । অতিসম্প্রতি উপযুক্ত ঐক্যমত্য ও সহযোগিতার প্রস্তুতি ছাড়াই কর্তৃপক্ষের বিশ্বভারতীর সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, তার ফলে এক অরাজক ভাঙচুর এবং পরবর্তী সময়ে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে বিশ্বকবির আশ্রম তাতে রাজনীতির কাদামাখা কুস্তির আখড়ায় পরিণত হয়েছে । বহুদিনের ঐতিহ্যবাহী স্মৃতি, শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্য, বিশ্বভারতীর শিক্ষা, সবই সমূলে নষ্ট হতে বসেছে । এই দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি আমাদের গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও বিচলিত করে তুলেছে । কোনও রাজনৈতিক দল অথবা কোনও প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের দিকে আমরা আমাদের অসন্তোষ, অভিযোগ ও অনুমানের অভিমুখ নির্দেশ করে অবস্থা আরও জটিল করে তুলতে চাই না । কিন্তু সুস্পষ্টভাবে এই অনভিপ্রেত ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কায়েমি কোনও পক্ষকেই সমর্থন করছি না । বরং সদর্থক এবং সংবেদনশীল এক অবিচল পক্ষপাতহীনতা থেকে অবিলম্বে এই বেদনাদায়ক পরিবেশের অবসান চাইছি । আমরা মনে করি সম্মিলিত শুভবোধ উদ্যোগ এবং উদারতাই পারে বাংলা এবং বাঙালির আবেগ জড়ানো বিশ্বভারতীর শান্তি ও মর্যাদা রক্ষা করতে ।"

letter
বিশিষ্টজনদের খোলা চিঠি

বিতর্কের সূত্রপাত পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়া ঘিরে । গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশে ওই ঐতিহাসিক মাঠে পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরু হয়ছিল ৷ গত 17 তারিখ এক বিধায়কের নেতৃত্বে সেই এলাকায় প্রচুর মানুষ জড়ো হয় । অভিযোগ, তখন থেকেই আন্দোলন হিংসাত্মক আকার নেয় । ভেঙে ফেলা হয় পাঁচিল । ভাঙা হয় ঐতিহ‍্যশালী গেটও । বিশ্বভারতীতেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ । থানার একেবারে লাগোয়া এলাকায় এত বড় ঘটনায় পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেও অভিযোগ করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ৷

koushik sen
আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন কৌশিক সেনও

যদিও পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, ঘটনায় একাধিকজনকে গ্রেপ্তার করা হয় ৷ ঝামেলার পর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, আপাতত বন্ধ থাকবে বিশ্ববিদ্যালয় । সমাধান সূত্র বের করতে গতকাল বৈঠক ডাকে বীরভূম জেলা প্রশাসন ৷ তবে সেই বৈঠকে অংশ নেয়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ৷ ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয় ৷ এই অবস্থায় আজ খোলা চিঠি লিখলেন বিশিষ্টজনরা ৷

কলকাতা, 20 অগাস্ট : বিশ্বভারতীর ঘটনা নিয়ে এবার সরব বিশিষ্টজনরা । শঙ্খ ঘোষ, তরুণ মজুমদার, বিভাস চক্রবর্তী, মনোজ মিত্রদের মতো ব্যক্তিরা বিশ্বভারতীর বেদনাদায়ক পরিবেশের অবসানের আবেদন জানালেন । বিশ্বভারতীকে রাজনীতির আখড়ায় পরিণত না করার আবেদনও জানান তাঁরা ।

খোলা চিঠিতে বিশিষ্টজনরা লেখেন, “রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন ও বিশ্বভারতী যে ঘটনাবলির মধ্য দিয়ে চলছে, তা ক্রমাগত আমাদের হৃদয় ভারাক্রান্ত তুলেছে । অতিসম্প্রতি উপযুক্ত ঐক্যমত্য ও সহযোগিতার প্রস্তুতি ছাড়াই কর্তৃপক্ষের বিশ্বভারতীর সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, তার ফলে এক অরাজক ভাঙচুর এবং পরবর্তী সময়ে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে বিশ্বকবির আশ্রম তাতে রাজনীতির কাদামাখা কুস্তির আখড়ায় পরিণত হয়েছে । বহুদিনের ঐতিহ্যবাহী স্মৃতি, শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্য, বিশ্বভারতীর শিক্ষা, সবই সমূলে নষ্ট হতে বসেছে । এই দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি আমাদের গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও বিচলিত করে তুলেছে । কোনও রাজনৈতিক দল অথবা কোনও প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের দিকে আমরা আমাদের অসন্তোষ, অভিযোগ ও অনুমানের অভিমুখ নির্দেশ করে অবস্থা আরও জটিল করে তুলতে চাই না । কিন্তু সুস্পষ্টভাবে এই অনভিপ্রেত ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কায়েমি কোনও পক্ষকেই সমর্থন করছি না । বরং সদর্থক এবং সংবেদনশীল এক অবিচল পক্ষপাতহীনতা থেকে অবিলম্বে এই বেদনাদায়ক পরিবেশের অবসান চাইছি । আমরা মনে করি সম্মিলিত শুভবোধ উদ্যোগ এবং উদারতাই পারে বাংলা এবং বাঙালির আবেগ জড়ানো বিশ্বভারতীর শান্তি ও মর্যাদা রক্ষা করতে ।"

letter
বিশিষ্টজনদের খোলা চিঠি

বিতর্কের সূত্রপাত পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়া ঘিরে । গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশে ওই ঐতিহাসিক মাঠে পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরু হয়ছিল ৷ গত 17 তারিখ এক বিধায়কের নেতৃত্বে সেই এলাকায় প্রচুর মানুষ জড়ো হয় । অভিযোগ, তখন থেকেই আন্দোলন হিংসাত্মক আকার নেয় । ভেঙে ফেলা হয় পাঁচিল । ভাঙা হয় ঐতিহ‍্যশালী গেটও । বিশ্বভারতীতেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ । থানার একেবারে লাগোয়া এলাকায় এত বড় ঘটনায় পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেও অভিযোগ করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ৷

koushik sen
আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন কৌশিক সেনও

যদিও পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, ঘটনায় একাধিকজনকে গ্রেপ্তার করা হয় ৷ ঝামেলার পর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, আপাতত বন্ধ থাকবে বিশ্ববিদ্যালয় । সমাধান সূত্র বের করতে গতকাল বৈঠক ডাকে বীরভূম জেলা প্রশাসন ৷ তবে সেই বৈঠকে অংশ নেয়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ৷ ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয় ৷ এই অবস্থায় আজ খোলা চিঠি লিখলেন বিশিষ্টজনরা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.