ETV Bharat / city

লালার এফআইআর খারিজের আবেদন, শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত হাইকোর্টে - কলকাতা হাইকোর্ট

অনুপ মাঝি ওরফে লালার এফআইআর খারিজের আবেদন সংক্রান্ত মামলার রায় স্থগিত রাখলেন বিচারপতি । আজই শেষ হয় শুনানি। সিবিআই তদন্ত নিয়ে এ দিনও দু পক্ষের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়।

hearing of anup majhi alias lala's case completed at calcutta high court
লালার এফআইআর খারিজের আবেদন, শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত হাইকোর্টে
author img

By

Published : Jan 27, 2021, 5:16 PM IST

কলকাতা, 27 জানুয়ারি : অনুপ মাঝি ওরফে লালার এফআইআর খারিজের আবেদন সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ হল কলকাতা হাইকোর্টে। আজ মামলার রায় স্থগিত রাখলেন বিচারপতি।

অনুপ মাঝি ওরফে লালার এফআইআর খারিজের আবেদন সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ হল আজ। মামলার রায়দান স্থগিত রাখলেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। মামলার শুনানিতে অনুপ মাঝির তরফে আইনজীবী ফারুক রাজ্জাক বলেন, "কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করতেই পারে। কিন্তু আইনে কোথাও তার উল্লেখ নেই। পাশাপাশি রাজ্যের তরফে এজি কিশোর দত্ত বলেন,"তদন্ত হয় কখন? যখন কোনও অপরাধের ঘটনা ঘটে। কিন্তু এখানে এফআইআর-এ বলা হয়েছে যে, বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা গেয়েছে এসিএল এলাকাতে কয়লা চোরাচালান ও পাচার সংক্রান্ত ব্যাপারে বড় সড়ক চক্র কাজ করছে। সেই ভিত্তিতে কারও বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করা যায়?" তখন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল বলেন, "যদি ধরেই নেওয়া হয় দোষ কিছু নেই, তাহলে রাজ্য সরকার কেন এই তদন্ত আটকাতে চাইছে? ছোটখাটো বিষয় হলে রেল নিজেই তদন্ত করতে পারত কিন্তু এখানে বড় চক্র রয়েছে। পাশাপাশি রেলওয়ে এলাকাতে তদন্ত করার জন্য রাজ্যের কোনও সম্মতির প্রয়োজন হয় না। সমস্ত পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি মামলাটির রায়দান স্থগিত রেখেছেন।

গত 21 জানুয়ারি মামলার শুনানি শেষে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য সিবিআই-এর কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে, কোন আইনের ভিত্তিতে অনুপ মাঝির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে চাইছে সিবিআই । গত বছর 27 নভেম্বর ইসিএল অঞ্চলে বেআইনি কয়লা উত্তোলন এবং কয়লা পাচার সংক্রান্ত অভিযোগে তার নামে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে নোটিসও পাঠিয়েছিল। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সিবিআই দফতরে হাজিরা এড়ালেও তারপর থেকেই বেপাত্তা কয়লা মাফিয়া লালা। এরপরই 14 ডিসেম্বর নিজের গ্রেফতারি এড়াতে কলকাতা হাইকোর্টে এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: সিবিআই-এর এক্তিয়ার নিয়ে হাইকোর্টে সরব লালার আইনজীবী

গত 13 নভেম্বর কয়লা পাচারকারী অনুপ মাঝি ঘনিষ্ঠ 6 কয়লা ব্যবসায়ীকে নোটিশ পাঠায় আয়কর দফতর। অনুপ মাঝির সঙ্গে এই ছয় কয়লা ব্যবসায়ীর ঘনিষ্ঠ সংযোগ সূত্র পাওয়ার পরই তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু তিনি দেখা করেননি। সূত্রের খবর, গোরু পাচারকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত মুর্শিদাবাদের ব্যবসায়ী এনামুল সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর কয়লা ব্যবসায়ী অনুপ মাঝির সঙ্গে তার যোগসাজশের হদিস পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ইসিএল অঞ্চলে অবৈধ কয়লা খনন ও পাচারের মূল অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে যোগসূত্র করে চালাচ্ছিল এই বেআইনী চক্র। পুরুলিয়ার নিতুরিয়া ভামুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা অনুপ মাঝি ওরফে লালা বেআইনি কয়লা পাচার থেকে শুরু করে বিভিন্ন রিসোর্ট ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ।

কলকাতা, 27 জানুয়ারি : অনুপ মাঝি ওরফে লালার এফআইআর খারিজের আবেদন সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ হল কলকাতা হাইকোর্টে। আজ মামলার রায় স্থগিত রাখলেন বিচারপতি।

অনুপ মাঝি ওরফে লালার এফআইআর খারিজের আবেদন সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ হল আজ। মামলার রায়দান স্থগিত রাখলেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। মামলার শুনানিতে অনুপ মাঝির তরফে আইনজীবী ফারুক রাজ্জাক বলেন, "কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করতেই পারে। কিন্তু আইনে কোথাও তার উল্লেখ নেই। পাশাপাশি রাজ্যের তরফে এজি কিশোর দত্ত বলেন,"তদন্ত হয় কখন? যখন কোনও অপরাধের ঘটনা ঘটে। কিন্তু এখানে এফআইআর-এ বলা হয়েছে যে, বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা গেয়েছে এসিএল এলাকাতে কয়লা চোরাচালান ও পাচার সংক্রান্ত ব্যাপারে বড় সড়ক চক্র কাজ করছে। সেই ভিত্তিতে কারও বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করা যায়?" তখন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল বলেন, "যদি ধরেই নেওয়া হয় দোষ কিছু নেই, তাহলে রাজ্য সরকার কেন এই তদন্ত আটকাতে চাইছে? ছোটখাটো বিষয় হলে রেল নিজেই তদন্ত করতে পারত কিন্তু এখানে বড় চক্র রয়েছে। পাশাপাশি রেলওয়ে এলাকাতে তদন্ত করার জন্য রাজ্যের কোনও সম্মতির প্রয়োজন হয় না। সমস্ত পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি মামলাটির রায়দান স্থগিত রেখেছেন।

গত 21 জানুয়ারি মামলার শুনানি শেষে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য সিবিআই-এর কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে, কোন আইনের ভিত্তিতে অনুপ মাঝির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে চাইছে সিবিআই । গত বছর 27 নভেম্বর ইসিএল অঞ্চলে বেআইনি কয়লা উত্তোলন এবং কয়লা পাচার সংক্রান্ত অভিযোগে তার নামে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে নোটিসও পাঠিয়েছিল। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সিবিআই দফতরে হাজিরা এড়ালেও তারপর থেকেই বেপাত্তা কয়লা মাফিয়া লালা। এরপরই 14 ডিসেম্বর নিজের গ্রেফতারি এড়াতে কলকাতা হাইকোর্টে এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: সিবিআই-এর এক্তিয়ার নিয়ে হাইকোর্টে সরব লালার আইনজীবী

গত 13 নভেম্বর কয়লা পাচারকারী অনুপ মাঝি ঘনিষ্ঠ 6 কয়লা ব্যবসায়ীকে নোটিশ পাঠায় আয়কর দফতর। অনুপ মাঝির সঙ্গে এই ছয় কয়লা ব্যবসায়ীর ঘনিষ্ঠ সংযোগ সূত্র পাওয়ার পরই তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু তিনি দেখা করেননি। সূত্রের খবর, গোরু পাচারকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত মুর্শিদাবাদের ব্যবসায়ী এনামুল সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর কয়লা ব্যবসায়ী অনুপ মাঝির সঙ্গে তার যোগসাজশের হদিস পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ইসিএল অঞ্চলে অবৈধ কয়লা খনন ও পাচারের মূল অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে যোগসূত্র করে চালাচ্ছিল এই বেআইনী চক্র। পুরুলিয়ার নিতুরিয়া ভামুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা অনুপ মাঝি ওরফে লালা বেআইনি কয়লা পাচার থেকে শুরু করে বিভিন্ন রিসোর্ট ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.