কলকাতা, 20 ফেব্রুয়ারি : স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড থাকা সত্ত্বেও মুমূর্ষু রোগীকে ফেরানোর অভিযোগ উঠেই চলেছে একের পর এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এবারেও একই অভিযোগ উঠেছে কলকাতায়। তবে, এই সমস্যার সমাধান কীভাবে সম্ভব? এই বিষয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড রয়েছে এমন কোনও রোগীকে যেন কোনও বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়া না হয়, এমনই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ, বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠছে, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড থাকা সত্ত্বেও মুমূর্ষু রোগীকেও ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফের এমন এক অভিযোগ উঠেছে কলকাতায়। জানা গিয়েছে, কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত এক যুবতিকে গত বুধবার প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। বেড না থাকার কারণে বেহালার পর্ণশ্রী বাসিন্দা ওই যুবতিকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড রয়েছে, এই কারণে তাঁকে এরপর নিয়ে যাওয়া হয় নিউ আলিপুরের বেসরকারি একটি হাসপাতালে। অভিযোগ, ওই হাসপাতালেও ওই রোগীকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। ওই হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকার কথা বলা হয়। এর পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় যাদবপুরের বেসরকারি একটি মেডিকেল কলেজে। অভিযোগ, সেখান থেকেও যুবতিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ওই হাসপাতাল থেকে বলা হয়, স্বাস্থ্যসাথীর জন্য বরাদ্দ বেড ফাঁকা নেই।
স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড থাকা সত্ত্বেও যেভাবে একের পর এক রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে, তার জেরে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে ৷ এই ধরনে ভোগান্তির দিন কবে শেষ হবে ? এক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নিতে চলেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর ? এই বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের বক্তব্য চেয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন : স্বাস্থ্যসাথীতে চিকিৎসা করলে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে বিশেষ সুবিধা দেবে কলকাতা পৌরনিগম
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে রোগীদের চিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে জেনারেল ওয়ার্ডের 15 শতাংশ বেড রাখার কথা বলেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। এদিকে কলকাতার পৌরনিগম জানিয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে থাকা রোগীদের চিকিৎসার জন্য কোনও বেসরকারি হাসপাতাল যদি পৃথক ওয়ার্ড চালু করে তাহলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে রোগীদের চিকিৎসার জন্য কলকাতার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের পৃথক ওয়ার্ড চালুর চেষ্টা চলছে বলে জানা গিয়েছে ।