ETV Bharat / city

BJP সাংসদদের গৃহবন্দী ইশুতে মমতাকে আক্রমণ রাজ্যপালের

author img

By

Published : Apr 19, 2020, 1:20 PM IST

Updated : Apr 19, 2020, 4:07 PM IST

BJP সাংসদদের গৃহবন্দী করা রাখা হয়েছে ৷ তাঁদের ত্রাণ সামগ্রী বিলি করতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ এই অভিযোগ সামনে এসেছে ৷ সেই ইশুতে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল ধনকড় ৷ ফলে ফের সামনে এল রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত ৷

Governor Jagdeep Dhankhar
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়

কলকাতা, 19 এপ্রিল : BJP সাংসদদের গৃহবন্দী করে রাখা ইশুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ পরপর টুইট করে রাজ্যের বিরুদ্ধে অসন্তোষ ব্যক্ত করলেন তিনি ৷ মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে লিখেছেন, ‘‘নিজে হাজার হাজার মানুষকে খাওয়াতে পারছেন, অথচ অন্যদের বাড়ির বাইরে পা রাখতে দেওয়া হচ্ছে না!’’

BJP সাংসদদের কার্যত গৃহবন্দী করে রেখেছে রাজ্য সরকার ৷ ত্রাণ বিলির নামে রাজনীতি করছে প্রশাসন ৷ রাজ্য BJP-র তরফে এই অভিযোগ বারবার করা হয়েছে ৷ এই বিষয়টিকে উল্লেখ করে এর আগে রাজ্য সরকার ও সাংসদদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল ৷ তার জবাবে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যাপাধ্যায় রাজ্যপালের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এস সি তিওয়ারির কাছে চিঠি দেন ৷ চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘‘আমি সরাসরি রাজ্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানাচ্ছি যে, যাবতীয় প্রোটোকল মেনেই আইন অনুযায়ী জেলাশাসক ও পুলিশ আধিকারিকরা কাজ করছেন ৷’’

আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই চিঠি পাওয়ার পরই রাজ্যপাল আজ সকালে টুইট করেন ৷ লেখেন, ‘‘হে ভগবান! কোথায় যাচ্ছি আমরা ! সাংসদদের কাজকর্মে বাধা দেওয়ার বিষয়টিতে মুখ্যমন্ত্রীর অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের তরফ থেকে এই ধরনের জবাব পাওয়া গেল ৷ কোনও বিষয়বস্তু নেই এই চিঠিতে ৷ আশ্চর্যের বিষয় ! একজন হাজার হাজার মানুষকে প্রতিদিন খাওয়াচ্ছেন, অথচ অন্যদের বাড়ির বাইরে পা রাখতেও দেওয়া হচ্ছে না ৷’’

তবে এখানেই না থেমে রাজ্যপাল ঘন্টাখানেক বাদে ফের টুইট করেন ৷ সেখানে লেখেন, ‘‘এই ধরনের ভেদাভেদমূলক মনোভাব মেনে নেওয়া যায় না ৷ আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানাচ্ছি, যাতে তিনি এই বিষয়টিকে সংশোধন করেন ৷ সাংসদ সুভাষ সরকার, জন বারলা, অর্জুন সিং ও রাজু বিস্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন, তা যথাযথ ৷ এইধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে ধামাচাপা দেওয়া যায় না ৷’’

ত্রাণ সামগ্রী ঠিকমতো বণ্টন হচ্ছে কি না ও দরিদ্রদের কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য গত 16 এপ্রিল আমডাঙার মরিচায় যাচ্ছিলেন ব্যারাকপুরের BJP সাংসদ অর্জুন সিং ৷ সেই সময় তাঁর গাড়ি আটকায় উত্তর 24 পরগনার DSP ও আমডাঙা থানার IC ৷ পুলিশের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছেন আলিপুরদুয়ারের BJP সাংসদ জন বারলা ও জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায় ৷ তাঁদের দাবি, তৃণমূলের বিধায়করা ত্রাণ সামগ্রী বিলি করছেন ৷ তখন পুলিশ বাধা দিচ্ছে না ৷ অথচ তাঁরা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে বাড়ি থেকে বেরোলেই পুলিশ আটকে দিচ্ছে ৷ তাঁদের গৃহবন্দী করে রাখা হচ্ছে ৷

প্রসঙ্গত, রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত নতুন কিছু নয় ৷ এর আগে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ একাধিক ইশুতে রাজ্যের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যপাল ধনকড় ৷ পালটা আক্রমণের পথে হেঁটেছে রাজ্যও ৷ কোরোনা নিয়েও রাজ্যের ভূমিকার সমালোচনা করতে দেখা গেছে ধনকড়কে ৷

কলকাতা, 19 এপ্রিল : BJP সাংসদদের গৃহবন্দী করে রাখা ইশুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ পরপর টুইট করে রাজ্যের বিরুদ্ধে অসন্তোষ ব্যক্ত করলেন তিনি ৷ মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে লিখেছেন, ‘‘নিজে হাজার হাজার মানুষকে খাওয়াতে পারছেন, অথচ অন্যদের বাড়ির বাইরে পা রাখতে দেওয়া হচ্ছে না!’’

BJP সাংসদদের কার্যত গৃহবন্দী করে রেখেছে রাজ্য সরকার ৷ ত্রাণ বিলির নামে রাজনীতি করছে প্রশাসন ৷ রাজ্য BJP-র তরফে এই অভিযোগ বারবার করা হয়েছে ৷ এই বিষয়টিকে উল্লেখ করে এর আগে রাজ্য সরকার ও সাংসদদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল ৷ তার জবাবে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যাপাধ্যায় রাজ্যপালের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এস সি তিওয়ারির কাছে চিঠি দেন ৷ চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘‘আমি সরাসরি রাজ্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানাচ্ছি যে, যাবতীয় প্রোটোকল মেনেই আইন অনুযায়ী জেলাশাসক ও পুলিশ আধিকারিকরা কাজ করছেন ৷’’

আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই চিঠি পাওয়ার পরই রাজ্যপাল আজ সকালে টুইট করেন ৷ লেখেন, ‘‘হে ভগবান! কোথায় যাচ্ছি আমরা ! সাংসদদের কাজকর্মে বাধা দেওয়ার বিষয়টিতে মুখ্যমন্ত্রীর অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের তরফ থেকে এই ধরনের জবাব পাওয়া গেল ৷ কোনও বিষয়বস্তু নেই এই চিঠিতে ৷ আশ্চর্যের বিষয় ! একজন হাজার হাজার মানুষকে প্রতিদিন খাওয়াচ্ছেন, অথচ অন্যদের বাড়ির বাইরে পা রাখতেও দেওয়া হচ্ছে না ৷’’

তবে এখানেই না থেমে রাজ্যপাল ঘন্টাখানেক বাদে ফের টুইট করেন ৷ সেখানে লেখেন, ‘‘এই ধরনের ভেদাভেদমূলক মনোভাব মেনে নেওয়া যায় না ৷ আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানাচ্ছি, যাতে তিনি এই বিষয়টিকে সংশোধন করেন ৷ সাংসদ সুভাষ সরকার, জন বারলা, অর্জুন সিং ও রাজু বিস্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন, তা যথাযথ ৷ এইধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে ধামাচাপা দেওয়া যায় না ৷’’

ত্রাণ সামগ্রী ঠিকমতো বণ্টন হচ্ছে কি না ও দরিদ্রদের কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য গত 16 এপ্রিল আমডাঙার মরিচায় যাচ্ছিলেন ব্যারাকপুরের BJP সাংসদ অর্জুন সিং ৷ সেই সময় তাঁর গাড়ি আটকায় উত্তর 24 পরগনার DSP ও আমডাঙা থানার IC ৷ পুলিশের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছেন আলিপুরদুয়ারের BJP সাংসদ জন বারলা ও জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায় ৷ তাঁদের দাবি, তৃণমূলের বিধায়করা ত্রাণ সামগ্রী বিলি করছেন ৷ তখন পুলিশ বাধা দিচ্ছে না ৷ অথচ তাঁরা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে বাড়ি থেকে বেরোলেই পুলিশ আটকে দিচ্ছে ৷ তাঁদের গৃহবন্দী করে রাখা হচ্ছে ৷

প্রসঙ্গত, রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত নতুন কিছু নয় ৷ এর আগে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ একাধিক ইশুতে রাজ্যের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যপাল ধনকড় ৷ পালটা আক্রমণের পথে হেঁটেছে রাজ্যও ৷ কোরোনা নিয়েও রাজ্যের ভূমিকার সমালোচনা করতে দেখা গেছে ধনকড়কে ৷

Last Updated : Apr 19, 2020, 4:07 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.