কলকাতা, ১৮ মার্চ : রাজ্যে সব বাণিজ্যিক বিমানবন্দরে চার্টার্ড ফ্লাইট এবং হেলিকপ্টার ওঠানামার পুরো তথ্য দিতে হবে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে। চার্টার্ড ফ্লাইড বিমানবন্দরে নামার অন্তত ৩০ মিনিট আগে তথ্য জানাতে হবে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে এমনই নির্দেশ দিল ভারতের নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলকে (ATC) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, চার্টার্ড ফ্লাইট এবং হেলিকপ্টার ওঠানামার পুরো বিবরণ রেকর্ড রাখতে। বিষয়টি যেহেতু নির্বাচনে খরচ সংক্রান্ত, তাই এ বিষয়ে যথেষ্ট কড়া নির্বাচন কমিশন।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিল নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের আধিকারিকদের দপ্তরে ডেকে জানিয়ে দিল সেসব। নির্দেশের কথা জানিয়ে গেলেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনও। শনিবার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও আয়কর দপ্তরের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করেন। তার আগে শুক্রবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে ডেকে এয়ারপোর্ট অথরিটিকে জানিয়ে দেওয়া হয় কমিশনের নির্দেশিকার কথা। কমিশনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, চার্টার্ড ফ্লাইট এবং সাধারণ সাইটের সমস্ত যাত্রীর লাগেজ এবং হ্যান্ডব্যাগ চেক করতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে আইন অনুযায়ী যাঁদের ব্যাগেজ চেক করার অধিকার নেই এয়ারপোর্ট অথরিটির। এক কেজির বেশি যেকোনও লাগেজ চেক করতে পারবে CISF। ১০ লাখের বেশি নগদ কারও কাছে থাকলে তা আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। তা জানাতে হবে এয়ারপোর্টে থাকা ইনকাম ট্যাক্স আধিকারিকদের। এয়ারপোর্টের কোনও CCTV বিকল থাকা চলবে না।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আয়কর দপ্তরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাণিজ্যিক বিমানবন্দরগুলিতে সব সময়ের জন্য তাদের প্রতিনিধি রাখতে হবে। কোনও যাত্রীর কাছে যদি ১০ লাখের বেশি নগদ থাকে তবে তা নজরে আনতে হবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের। সংশ্লিষ্ট জেলার ডিস্ট্রিক্ট ইলেক্টোরাল অফিসারকেও জানাতে হবে সব তথ্য।