ETV Bharat / city

Intra Uterine Fetal Death: গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যুর কারণ জানতে অটোপসি, রাজ্যে এই প্রথম

রাজ্যে এই প্রথম গর্ভেই মৃত সন্তানের অটোপসি হল (first autopsy in the state to find out the cause of fetal death) ৷ সোমবার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের প্রধান ড. সোমনাথ দাসের তত্ত্বাবধানে অটোপসি করা হয় বলে জানা গিয়েছে ৷

first-autopsy-in-the-state-to-find-out-the-cause-of-fetal-death
Intra Uterine Fetal Death: গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যুর কারণ জানতে অটোপসি, রাজ্যে এই প্রথম
author img

By

Published : Jul 11, 2022, 7:59 PM IST

Updated : Jul 11, 2022, 10:38 PM IST

কলকাতা, 11 জুলাই : শনিবারই পৃথিবীর আলো দেখার কথা ছিল । ন’মাস তিলে তিলে মায়ের গর্ভেই বেড়ে উঠেছিল । তবে জন্মের কিছুদিন আগে খবর পাওয়া গেল যার জন্য এত প্রতীক্ষা, গর্ভেই তার মৃত্যু হয়েছে ৷ কিন্তু এই মৃত্যুর কারণ কী, তা জানতে শেষপর্যন্ত অটোপসি করা হল মৃত গর্ভস্থ সন্তানের ৷

জন্মের আগেই গর্ভেই মৃত্যুকে চিকিৎসার পরিভাষায় বলে ‘ইন্ট্রা ইউটেরিয়ান ফিটাল ডেথ’ (Intra Uterine Fetal Death) ৷ কিন্তু মৃত সন্তান প্রসবের কারণ কী, তা এখনও অধরা বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা ৷ তাই এক্ষেত্রে অটোপসির ঘটনাকে বিরল বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা ৷ বাংলায় এই ধরনের অটোপসি প্রথমবার হচ্ছে (first autopsy in the state to find out the cause of fetal death) ৷ চিকিৎসকরা আশাবাদী, অটোপসির কারণ বিশ্লেষণ করলে নিশ্চয় কোনও সূত্র পাওয়া যাবে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানে আলো দেখাবে ৷ ভবিষ্যতে গর্ভেই মৃত্যুর ঘটনাও কমানো যাবে হয়তো ৷

যাঁদের জন্য এই ধরনের বিরল অটোপসি হল, তাঁরা হলেন নভোনীত সিং ও রূপা বিশ্বাস ৷ পঞ্জাবী এই দম্পতি আদতে পঞ্জাবের রূপনগরের বাসিন্দা ৷ রূপা আবার নিউ আলিপুরে বাসিন্দা স্বপন চট্টোপাধ্যায়ের পালিতা কন্যা ৷ তাই গর্ভাবস্থায় বছর 32-এর রূপা কলকাতাতেই চলে আসেন ৷ তার পর বেহালার একটি হাসপাতালে শুরু হয় চিকিৎসা ৷

স্বপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শনিবার রূপার ডেলিভারি হওয়ার কথা ছিল । তবে বুধবার আমরা জানতে পারি শিশুটি গর্ভে আর কোনও রকম মুভমেন্ট করছে না । চিকিৎসক আমাদের জানান যে গর্ভেই ওই সন্তানের মৃত্যু হয়েছে । তখন আমাদের কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল রূপাকে বাঁচানো । তড়িঘড়ি করে 8 জুলাই আমরা ওকে বিপি পোদ্দার হাসপাতালে স্থানান্তর করি । 9 তারিখ ডাক্তার অপারেশন করেন । আর তখনই তিনি মৃত বাচ্চাটিকে আমাদের হাতে তুলে দেন ।’’

ঘটনাটি মর্মান্তিক৷ ন’মাস গর্ভে ধারণের পরও সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখাতে না পারা মায়ের কাছে অত্যন্ত যন্ত্রণার ৷ তবুও এই পরিস্থিতিতে কেন সন্তানের মৃত্যু হল, তা জানতে চান তাঁরা ৷ সেই কারণে শিশুর দেহদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ তাই পরিবারের তরফে যোগাযোগ করেন গণদর্পণের সঙ্গে । গণদর্পণের সহযোগিতায় অটোপসির পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয় । সোমবার আর জি কর হাসপাতালে অটোপসি করা হয় । আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (RG Kar Medical College-Hospital) ফরেন্সিক বিভাগের প্রধান ড. সোমনাথ দাসের তত্ত্বাবধানে অটোপসি করা হয় বলে জানা গিয়েছে ৷

আরও পড়ুন : Corona Update in Bengal: রাজ্যে ফের বাড়ল করোনা সংক্রমণের হার, একদিনে মৃত্যু 4 জনের

কলকাতা, 11 জুলাই : শনিবারই পৃথিবীর আলো দেখার কথা ছিল । ন’মাস তিলে তিলে মায়ের গর্ভেই বেড়ে উঠেছিল । তবে জন্মের কিছুদিন আগে খবর পাওয়া গেল যার জন্য এত প্রতীক্ষা, গর্ভেই তার মৃত্যু হয়েছে ৷ কিন্তু এই মৃত্যুর কারণ কী, তা জানতে শেষপর্যন্ত অটোপসি করা হল মৃত গর্ভস্থ সন্তানের ৷

জন্মের আগেই গর্ভেই মৃত্যুকে চিকিৎসার পরিভাষায় বলে ‘ইন্ট্রা ইউটেরিয়ান ফিটাল ডেথ’ (Intra Uterine Fetal Death) ৷ কিন্তু মৃত সন্তান প্রসবের কারণ কী, তা এখনও অধরা বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা ৷ তাই এক্ষেত্রে অটোপসির ঘটনাকে বিরল বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা ৷ বাংলায় এই ধরনের অটোপসি প্রথমবার হচ্ছে (first autopsy in the state to find out the cause of fetal death) ৷ চিকিৎসকরা আশাবাদী, অটোপসির কারণ বিশ্লেষণ করলে নিশ্চয় কোনও সূত্র পাওয়া যাবে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানে আলো দেখাবে ৷ ভবিষ্যতে গর্ভেই মৃত্যুর ঘটনাও কমানো যাবে হয়তো ৷

যাঁদের জন্য এই ধরনের বিরল অটোপসি হল, তাঁরা হলেন নভোনীত সিং ও রূপা বিশ্বাস ৷ পঞ্জাবী এই দম্পতি আদতে পঞ্জাবের রূপনগরের বাসিন্দা ৷ রূপা আবার নিউ আলিপুরে বাসিন্দা স্বপন চট্টোপাধ্যায়ের পালিতা কন্যা ৷ তাই গর্ভাবস্থায় বছর 32-এর রূপা কলকাতাতেই চলে আসেন ৷ তার পর বেহালার একটি হাসপাতালে শুরু হয় চিকিৎসা ৷

স্বপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শনিবার রূপার ডেলিভারি হওয়ার কথা ছিল । তবে বুধবার আমরা জানতে পারি শিশুটি গর্ভে আর কোনও রকম মুভমেন্ট করছে না । চিকিৎসক আমাদের জানান যে গর্ভেই ওই সন্তানের মৃত্যু হয়েছে । তখন আমাদের কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল রূপাকে বাঁচানো । তড়িঘড়ি করে 8 জুলাই আমরা ওকে বিপি পোদ্দার হাসপাতালে স্থানান্তর করি । 9 তারিখ ডাক্তার অপারেশন করেন । আর তখনই তিনি মৃত বাচ্চাটিকে আমাদের হাতে তুলে দেন ।’’

ঘটনাটি মর্মান্তিক৷ ন’মাস গর্ভে ধারণের পরও সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখাতে না পারা মায়ের কাছে অত্যন্ত যন্ত্রণার ৷ তবুও এই পরিস্থিতিতে কেন সন্তানের মৃত্যু হল, তা জানতে চান তাঁরা ৷ সেই কারণে শিশুর দেহদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ তাই পরিবারের তরফে যোগাযোগ করেন গণদর্পণের সঙ্গে । গণদর্পণের সহযোগিতায় অটোপসির পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয় । সোমবার আর জি কর হাসপাতালে অটোপসি করা হয় । আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (RG Kar Medical College-Hospital) ফরেন্সিক বিভাগের প্রধান ড. সোমনাথ দাসের তত্ত্বাবধানে অটোপসি করা হয় বলে জানা গিয়েছে ৷

আরও পড়ুন : Corona Update in Bengal: রাজ্যে ফের বাড়ল করোনা সংক্রমণের হার, একদিনে মৃত্যু 4 জনের

Last Updated : Jul 11, 2022, 10:38 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.