ETV Bharat / city

Firhad Hakim : দুর্নীতি রুখতে মিউনিসিপাল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগের পরামর্শ ফিরহাদের - Firhad Hakim

মঙ্গলবার রাজ্যের সব পৌরসভা ও পৌরনিগমগুলিকে নিয়ে আয়োজিত ওয়ার্কশপে যোগদেন পৌর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম । সেখানে তিনি পরামর্শ দেন দুর্নীতি রুখতে মিউনিসিপাল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ করার (Firhad Hakim suggests recruitment through Municipal Service Commission to prevent corruption) ৷

firhad-hakim-suggests-recruitment-through-municipal-service-commission-to-prevent-corruption
Firhad Hakim : দুর্নীতি রুখতে মিউনিসিপাল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগের পরামর্শ ফিরহাদের
author img

By

Published : May 24, 2022, 7:34 PM IST

কলকাতা, 24 মে : নিয়োগের বিষয়ে পৌরসভাগুলোকে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Bengal Minister Firhad Hakim) । মঙ্গলবার রাজ্যের সমস্ত পৌরসভা ও পৌরনিগমগুলিকে নিয়ে আয়োজিত ওয়ার্কশপে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের পৌর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ৷ সেখানেই তিনি বলেন, সরকারি অনুমতি ছাড়া কর্মী নিয়োগ করা যাবে না । শুধুমাত্র গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে পৌরসভা নিজের মতো করে নিয়োগ করতে পারে । অন্য ক্ষেত্রে নিয়োগ করতে গেলে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে ।

প্রসঙ্গত, এদিন পৌরমন্ত্রী বলেন, ‘‘30টা ছেলের চাকরি দিয়ে আপনি জনপ্রিয় চেয়ারম্যান হবেন নাকি তিন লক্ষ মানুষের দায়িত্ব নিয়ে তাঁদের সার্ভিসকে বাড়তি গুরুত্ব দেবেন, এটা আপনাদের উপর নির্ভর করছে । কিন্তু ওই 30 জনের দায়িত্ব নিতে গিয়ে আপনাকে বাড়তি চাপ বহন করতে হবে । যাতে নাগরিক পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে । তাই এমনটি না হওয়ায় শ্রেয় ।’’

এদিন ফিরহাদ হাকিমের পরামর্শ, গ্রুপ ডি বাদে সমস্ত নিয়োগ মিউনিসিপাল সার্ভিস কমিশনের (Municipal Service Commission) মাধ্যমে হওয়া শ্রেয় । আপনাদের কাছে অনুরোধ সরকারের কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে কেউ কোনও নিয়োগ করবেন না ।

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, বাংলার বাড়ি প্রকল্পে পৌরসভার কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে কাটমানি নেওয়ার । বহু ক্ষেত্রে এমনও ঘটে যে বাস্তবে নাগরিক পরিষেবা দিতে গিয়ে কোনও অপরাধ না করেও তাদের বদনামের ভাগীদার হতে হয় বলেও অভিযোগ ওঠে ।

আর সেই কারণেই ফিরহাদ হাকিমের পরামর্শ, ‘‘বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বেনিফিশিয়ারি কন্ট্রিবিউশনের অর্থ আর কোনও পৌরসভা নাগরিকদের কাছে চাইবে না । বরং বলা হবে জিও-ট্যাগিংয়ের আগে এই বেনিফিশিয়ারি কন্ট্রিবিউশন খরচ করে দিতে হবে নাগরিককে । ওই অর্থের কাজ হলে তারপর জিও-ট্যাগিং হবে এবং সরকারি প্রকল্পের প্রথম ধাপের টাকা পাওয়া যাবে । তখন আর কেউ অভিযোগ করতে পারবে না আমার কাছে কাউন্সিলর 20 হাজার টাকা চেয়েছেন ।’’

তিনি জানিয়েছেন, বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে নাগরিকরা বাংলার বাড়ি প্রকল্পের প্রথম ইনস্টলমেন্ট বাড়ির পেছনে খরচ না করে অন্য জায়গায় খরচ করে ফেলছে । তাদের জন্য বাকিদের টাকাও আটকে যাচ্ছে । সে কারণে জিও-ট্যাগিংয়ের আগেই বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে বেনিফিশিয়ারি কন্ট্রিবিউশনের টাকা খরচ করা ।

এদিন ফিরহাদ হাকিম প্রত্যেক পৌরসভাকে আত্মনির্ভরতার পথে হাঁটার কথা বলেন । এক্ষেত্রে তিনি বলেন, ‘‘কলকাতা পৌরনিগম এখনও পর্যন্ত আত্মনির্ভর নয় । সেক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেককেই আত্মনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করতে হবে । কীভাবে আয় বাড়ানো যায়, তার ভাবনা চিন্তা করতে হবে ।’’

আরও পড়ুন : Rabindra Sarobar Rowing Incident : কেন লাইফ সেভিং বোট ছিল না ? রোয়িং দুর্ঘটনায় প্রশ্ন তুললেন মেয়র

কলকাতা, 24 মে : নিয়োগের বিষয়ে পৌরসভাগুলোকে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Bengal Minister Firhad Hakim) । মঙ্গলবার রাজ্যের সমস্ত পৌরসভা ও পৌরনিগমগুলিকে নিয়ে আয়োজিত ওয়ার্কশপে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের পৌর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ৷ সেখানেই তিনি বলেন, সরকারি অনুমতি ছাড়া কর্মী নিয়োগ করা যাবে না । শুধুমাত্র গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে পৌরসভা নিজের মতো করে নিয়োগ করতে পারে । অন্য ক্ষেত্রে নিয়োগ করতে গেলে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে ।

প্রসঙ্গত, এদিন পৌরমন্ত্রী বলেন, ‘‘30টা ছেলের চাকরি দিয়ে আপনি জনপ্রিয় চেয়ারম্যান হবেন নাকি তিন লক্ষ মানুষের দায়িত্ব নিয়ে তাঁদের সার্ভিসকে বাড়তি গুরুত্ব দেবেন, এটা আপনাদের উপর নির্ভর করছে । কিন্তু ওই 30 জনের দায়িত্ব নিতে গিয়ে আপনাকে বাড়তি চাপ বহন করতে হবে । যাতে নাগরিক পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে । তাই এমনটি না হওয়ায় শ্রেয় ।’’

এদিন ফিরহাদ হাকিমের পরামর্শ, গ্রুপ ডি বাদে সমস্ত নিয়োগ মিউনিসিপাল সার্ভিস কমিশনের (Municipal Service Commission) মাধ্যমে হওয়া শ্রেয় । আপনাদের কাছে অনুরোধ সরকারের কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে কেউ কোনও নিয়োগ করবেন না ।

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, বাংলার বাড়ি প্রকল্পে পৌরসভার কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে কাটমানি নেওয়ার । বহু ক্ষেত্রে এমনও ঘটে যে বাস্তবে নাগরিক পরিষেবা দিতে গিয়ে কোনও অপরাধ না করেও তাদের বদনামের ভাগীদার হতে হয় বলেও অভিযোগ ওঠে ।

আর সেই কারণেই ফিরহাদ হাকিমের পরামর্শ, ‘‘বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বেনিফিশিয়ারি কন্ট্রিবিউশনের অর্থ আর কোনও পৌরসভা নাগরিকদের কাছে চাইবে না । বরং বলা হবে জিও-ট্যাগিংয়ের আগে এই বেনিফিশিয়ারি কন্ট্রিবিউশন খরচ করে দিতে হবে নাগরিককে । ওই অর্থের কাজ হলে তারপর জিও-ট্যাগিং হবে এবং সরকারি প্রকল্পের প্রথম ধাপের টাকা পাওয়া যাবে । তখন আর কেউ অভিযোগ করতে পারবে না আমার কাছে কাউন্সিলর 20 হাজার টাকা চেয়েছেন ।’’

তিনি জানিয়েছেন, বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে নাগরিকরা বাংলার বাড়ি প্রকল্পের প্রথম ইনস্টলমেন্ট বাড়ির পেছনে খরচ না করে অন্য জায়গায় খরচ করে ফেলছে । তাদের জন্য বাকিদের টাকাও আটকে যাচ্ছে । সে কারণে জিও-ট্যাগিংয়ের আগেই বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে বেনিফিশিয়ারি কন্ট্রিবিউশনের টাকা খরচ করা ।

এদিন ফিরহাদ হাকিম প্রত্যেক পৌরসভাকে আত্মনির্ভরতার পথে হাঁটার কথা বলেন । এক্ষেত্রে তিনি বলেন, ‘‘কলকাতা পৌরনিগম এখনও পর্যন্ত আত্মনির্ভর নয় । সেক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেককেই আত্মনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করতে হবে । কীভাবে আয় বাড়ানো যায়, তার ভাবনা চিন্তা করতে হবে ।’’

আরও পড়ুন : Rabindra Sarobar Rowing Incident : কেন লাইফ সেভিং বোট ছিল না ? রোয়িং দুর্ঘটনায় প্রশ্ন তুললেন মেয়র

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.