কলকাতা, 24 এপ্রিল : ট্য়াংরার কারখানায় আগুন লাগার পর তিন ঘণ্টা অতিক্রান্ত, কিন্তু এখনও ক্রিস্টোফার রোডের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি (Fire not in control of Tangra Factory)। দমকলের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন এলাকার বাসিন্দারা ৷ ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যে এসেছে দমকলের 17টি ইঞ্জিন ৷ দমকল কর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছেন ।
আগুন কীভাবে ছড়াল তা এখনও জানা যায়নি ৷ তবে ঘটনাস্থলে প্রচুর পরিমাণে বর্জ্য পদার্থ মজুত ছিল বলে খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ আগুনের লেলিহান শিখা দেখে দমকল কর্মীরা ব্রাউজার দিয়ে আগুনের উৎসস্থল খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন ৷ কিন্তু কীভাবে ছড়িয়ে পড়ল আগুন তা এখনও স্পষ্ট নয় । ঘটনাস্থলে এসেছেন কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ৷ যদিও তাঁরা ক্যামেরার সামনে কোনওভাবেই মুখ খুলতে নারাজ কীভাবে ঘটনা ঘটল সে বিষয়ে ।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘটনাস্থলে ছিল একটি গাড়ির যন্ত্রাংশ নির্মাণের কারখানা ৷ পাশাপাশি ছিল একটি কেমিক্যাল কারখানা ৷ কোনটিতে আগুন প্রথমে লেগেছে তা জানা যায়নি ৷ আগুন লাগার পর গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় । তারপরই এলাকায় ব্যাপক পরিমাণে উত্তেজনা ছড়ায় ৷ পাশে একটি বিল্ডিং রয়েছে সেই বিল্ডিংটির খালি করে দেওয়া হয় ৷ সেখানকার বাসিন্দারা ভয়ে রাস্তায় নেমে আসেন ।
পরপর সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় কেঁপে ওঠে প্রথমে ডলার ক্রিস্টোফার রোড । এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, দমকল এক ঘণ্টা দেরিতে আসে । শুধু কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন নয়, পাশে একটি মন্দির রয়েছে ৷ সেই মন্দিরটি একেবারে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে ।
পাশাপাশি প্রায় 50টিরও বেশি ঝুপড়ি পুড়ে গিয়েছে । স্থানীয়দের অভিযোগ, এই কারখানা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে চলছিল ৷ কোনওরকমের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা সেখানে ছিল না । কীভাবে প্রশাসন এই কারখানা চালানোর ছাড়পত্র দিল সেই প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা । প্রচুর মানুষ ইতিমধ্যে অগ্নিকাণ্ডের ফলে ঘরছাড়া হয়েছেন । তাঁরা ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছেন ৷
আরও পড়ুন : Tangra Fire : ট্য়াংরার কারখানায় ফের ভয়াবহ আগুন