কলকাতা, 26 সেপ্টেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুর থানা এলাকায় গণধর্ষণের ঘটনায় (HC on Midnapore Rape Case) পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। অবিলম্বে রাজ্যকে জানাতে হবে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে (West Midnapore gang rape case)। নির্দেশ বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার । আগামিকাল ফের শুনানির জন্য রাখা হয়েছে এই মামলা (FIR not filed)।
বিচারপতি বলেছেন, "এই ঘটনায় পুলিশ সুপারের ভূমিকা কী ছিল সেটা জানা দরকার । ডিজি-র কড়া পদক্ষেপ আশা করি ।" একইসঙ্গে মুখ্যসচিব কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, সেটাও জানতে চেয়েছে আদালত । কারণ এটা খুবই গুরুতর অভিযোগ, বলেছেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা । এই ঘটনা নিয়ে এ দিন ডিজির রিপোর্ট জমা পড়ার পরে এটাই প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ আদালতের । কাল ফের এই মামলার শুনানি রাখা হয়েছে । শীর্ষ কর্তাদের জানাতে হবে এই অভিযোগ পাওয়ার পর ঠিক কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে । দায়ী কারা তা খুঁজে চিহ্নিত করতে হবে ডিজিকে ।
পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুর থানা এলাকায় 11 অগস্ট নিগৃহীতা নিজে থানায় গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ জানানোর পরেও পুলিশ এফআইআর নেয়নি বলে অভিযোগ । জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েও ফল হয়নি । ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে । গত 6 সেপ্টেম্বর বিচারপতি পশ্চিম মেদিনীপুরের এসপির থেকে রিপোর্ট তলব করেন । তারপর পুলিশ এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে । পুলিশের এমন 'গা ছাড়া মনোভাবে' চরম ক্ষুব্ধ কোর্ট । আদালত বলেছে, এসপি-র রিপোর্ট ত্রুটিপূর্ণ । রাজ্য পুলিশের ডিজি ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে গোটা ঘটনার তদন্ত করে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত ।
আরও পড়ুন: তৃণমূল সরকারের পুজায় অনুদানে সম্মতি হাইকোর্টের, মানতে হবে 6 নির্দেশ
অভিযোগ, গণ ধর্ষণের অভিযোগ জানানোর পরেও এফআইআর তো করা হয়ইনি, এমনকী থানা থেকে অভিযোগকারিণীকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্যও পাঠানো হয়নি । কেন এই গাফিলতি ? পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট চাওয়ার পাশাপাশি আনন্দপুর ও কেশপুর থানার ওসিকেও রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট । 11-16 অগস্টের মধ্যে থানার সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠালেও রাজ্যের তরফে জানানো হয় ওই সময়েই সিসিটিভি বিকল ছিল ।