কলকাতা, 11 সেপ্টেম্বর : প্রাক্তন নগরপাল রাজীব কুমারকে CBI-র সমন পাঠানো সংক্রান্ত মামলার রায়দান স্থগিত রাখলেন বিচারপতি মধুমতী মিত্র ৷ আজ হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি শেষ হয় ৷ দু'পক্ষই আদালতের কাছে নিজেদের বক্তব্য পেশ করে ৷ আগামী শুক্রবার এই মামলার রায়দান হতে পারে ৷
এর আগে রাজীব কুমারের আবেদনের ভিত্তিতে 30 মে হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ ব্যানার্জি নির্দেশ দেন, আগামী একমাস অথবা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কলকাতার প্রাক্তন CP-কে গ্রেপ্তার করতে পারবে না CBI ৷ তবে সারদা চিটফান্ড মামলার তদন্তে CBI-র সঙ্গে রাজীব কুমারকে পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে ৷ হাইকোর্টের আরও নির্দেশ ছিল, মামলা চলাকালীন রাজীব কুমার কলকাতার বাইরে যেতে পারবেন না ৷ এমন কী, তাঁর পাসপোর্টও CBI অফিসে জমা রাখতে হবে ৷ প্রতিদিন CBI দপ্তরে হাজিরা দিতে হবে ৷ কলকাতার একটি স্থায়ী ঠিকানায় তাঁকে থাকতে হবে এবং সেই ঠিকানা CBI-কে জানাতে হবে ৷
আরও পড়ুন : রাজীব কুমার পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কেন? প্রশ্ন CBI-এর আইনজীবীর
এরপর এই মামলার শুনানি শুরু হয় 17 জুলাই ৷ শুনানির প্রথম দিন থেকেই CBI-র বিরুদ্ধে আক্রমণ করেন রাজীবের আইনজীবী মিলন মুখার্জি । বলেন, "রাজীব কুমারকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারের চেষ্টায় আছে CBI ।" এই মামলার দীর্ঘ শুনানিতে তিনি আদালতে বলার চেষ্টা করেছেন, সারদা চিটফান্ড সংক্রান্ত মামলায় রাজীব কুমার একজন তদন্তকারী অফিসার হিসেবেই নিজের দায়িত্ব পালন করেছিলেন ৷ কিন্তু CBI এখন তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার চেষ্টা করছে । পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, তাঁর মক্কেল রাজীব কুমারকে নিজের বাড়িতে একজন বন্দীর মতো জীবনযাপন করতে হচ্ছে ৷ অন্যদিকে CBI-র আইনজীবীও জানান, রাজীব কুমার যদি সত্যিই নির্দোষ হন তাহলে তাঁর পালিয়ে পালিয়ে বেড়ানোর দরকার কী ? তাঁকে CBI একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকলেও তিনি প্রতিবারই এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন ৷ শুনানির প্রায় শেষ দিকে রাজীব কুমারের আইনজীবীর আবেদনের ভিত্তিতে, মামলার শুনানি চলাকালীন সংবাদমাধ্যমের প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন বিচারপতি মধুমতী মিত্র ৷
আরও পড়ুন : রাজীব মামলার শুনানিতে সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতিতে নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টের