কলকাতা, 21 জুন: পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় সংশোধনী বিলের ভোটাভুটিতে গলদ ৷ ডিজিটাল ভোটাভুটিতে গলদের অভিযোগ ওঠায় কুপনে ভোটাভুটি হয় ৷ যেখানে ডিজিটালের সঙ্গে কুপনের ভোটের পরিসংখ্যানে ফারাক দেখা যায় (Fault in Division Counting of University of Health Sciences Amendment Bill in Assembly) ৷ মূলত এদিন ডিজিটাল ভোটাভুটির সময় বিরোধী বিধায়করা ভোটদান করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন ৷ যার ফলে ফের একবার ভোটাভুটি হয় ৷ যেখানে কুপনের মাধ্যমে ভোটদান করেন উপস্থিত বিধায়করা ৷
এ দিন মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করতে এই সংশোধনী রাজ্য বিধানসভায় এনেছিল সরকার ৷ যেখানে সংশোধনী বিলে ভোটাভুটির দাবি তোলেন বিরোধী বিধায়করা ৷ বিরোধীদের প্রস্তাব মেনে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিজিটাল মেশিনে ভোটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ৷ যেখানে গণনায় দেখা যায়, মোট উপস্থিত বিধায়কের সংখ্যা 184 জন ৷ তার মধ্যে সংশোধনীর পক্ষে ভোট পড়েছিল 128টি, বিপক্ষে 50টি, নির্দিষ্ট কোনও পক্ষকে ভোটদান করেননি 2 জন এবং অনুপস্থিত বিধায়ক 4 জন ৷
কিন্তু, এই ফলপ্রকাশের পরেই ডিজিটাল ভোটাভুটিতে গলদের অভিযোগ তোলেন বিরোধী বিধায়করা ৷ অনেকে অভিযোগ করেন, তাঁরা ভোটদান করতেই পারেননি ৷ এই পরিস্থিতিতে বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন, ডিজিটাল ভোটিং মেশিনে গলদ রয়েছে ৷ কিন্তু, অধ্যক্ষ তাঁকে বোঝান বিজেপির কোনও বিধায়ক হয়তো ভোটদান করেননি ৷ কিন্তু, বিরোধীপক্ষ তা মানতে না চাওয়ায় ফের ভোটাভুটির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ আর এ বার ভোটাভুটির জন্য পুরনো কুপন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় ৷
কুপনের ভোট গণনা হতেই ধরা পড়ে গলদ ৷ দেখা যায়, ডিজিটালের থেকে কুপনে মোট বিধায়কের সংখ্যাই বেড়ে যায় ৷ অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত বিধায়কের সংখ্যা দেখায় 186 জন ৷ যার মধ্যে সংশোধনী বিলের পক্ষে ভোট পড়ে 134টি, বিপক্ষে ভোট পড়ে 51টি আর অনুপস্থিত বিধায়কের সংখ্যা ছিল 1 জন ৷ তবে, ভোটাভুটি যে পদ্ধতি মেনেই হোক না কেন, রাজ্য বিধানসভায় এ দিন পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় সংশোধনী বিল পাশ হয়ে গিয়েছে ৷ এ বার বিলটি রাজ্যপালের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে ৷
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার সংশোধনী বিলে ভোটাভুটির গণনায় গলদ ধরা পরে ৷ যেখানে শাসকদলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যায় যে, অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমা চাইতে হয় ৷ বলা হয়, একজন বিধানসভার সচিবালয়ের একজন বয়স্ক কর্মী সেই গণনা করেছিলেন ৷ সেই সময় তাঁর গণনা ভুল হয়েছিল ৷ যা নিয়ে অধ্যক্ষ বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান ৷ এ বার ফের একবার বিধানসভার ভোটাভুটিতে গলদ ধরা পড়ল ৷