কলকাতা, 13 অগস্ট : চার নয় । তৃণমূল কংগ্রেসের আট সাংসদ আজ ত্রিপুরা গেলেন । এদিন সকালে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে আগরতলার উদ্দেশে পাড়ি দেন তাঁরা । সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু । যে আট সাংসদ আজ ত্রিপুরা গেলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন দোলা সেন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অর্পিতা ঘোষ, অপরুপা পোদ্দার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, আবির রঞ্জন বিশ্বাস, আবু তাহের খান ও প্রতিমা মণ্ডল । এদিকে, ত্রিপুরার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে বিজেপি সরকারকে একহাত নিল তৃণমূল ।
এই মুহূর্তে রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন ত্রিপুরাতে রয়েছেন । আছেন রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক। সবাই মিলে আগামী 16 অগস্ট ত্রিপুরায় খেলা হবে দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে । সবচেয়ে বড় কথা, সেদিন তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছেন বেশ কিছু ক্রীড়া সামগ্রী । সেগুলি খেলা হবে দিবসে সেখানকার ক্লাবগুলোকে বিতরণ করা হবে । আসলে খেলা হবে দিবস উপলক্ষ । এর মাধ্যমে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল । প্রথমত, এই মুহূর্তে বিজেপি যেভাবে প্রবল তৃণমূল বিরোধিতা এবং পুলিশকে দিয়ে দমন-পীড়ন শুরু করেছে তাতে যদি সফলভাবে খেলা হবে দিবস উদযাপন করা যায় তাহলে ত্রিপুরার বিপ্লব দেব সরকারকে কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড় করানো যাবে । একইসঙ্গে এই কর্মসূচির মাধ্যমে ত্রিপুরার মানুষ জনসমর্থন ও আদায় করতে পারবে বলে মনে করছে ঘাসফুল শিবির ।
আরও পড়ুন, Tripura-TMC : জয়া-সুদীপ-দেবাংশুদের ফের গ্রেফতারির ছক ত্রিপুরা পুলিশের, টুইটারে সরব কুণাল
এদিকে এদিন কলকাতা ছাড়ার আগে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে । এই ধরনের রাজনীতি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয় । তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরায় শুধুমাত্র সংগঠন বিস্তার ঘটাতে চাইছে । এক্ষেত্রে ত্রিপুরা সরকার যদি ভাল কাজ করে থাকে, তাহলে তাদের ভয় পাওয়ার কি আছে ! শিক্ষা মন্ত্রী আরও বলেন, বিজেপি তৃণমূলকে ভয় পাচ্ছে তার একটা বড় কারণ তারাও বুঝতে পেরেছে ত্রিপুরার জনগণ আর তাদের চাইছে না । ত্রিপুরার সাধারণ মানুষ চাইছে বিকল্প, সেই বিকল্প বামও নয়, রাম নয়- একমাত্র তৃণমূল । বিজেপির তরফ থেকে বলা হচ্ছে আমরা টুরিস্ট । তা আমরা গেলে এত ভয় কিসের ? আমাদের বিরুদ্ধে তাহলে মামলা কেন দেওয়া হচ্ছে ? ব্রাত্য বসুর মতে, ত্রিপুরায় তৃণমূলের আশাটা শুধু সময়ের অপেক্ষা ।