কলকাতা, 25 অগস্ট: রাজ্যে গরু পাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এবং তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত শুরু করতে চলেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা (ED)। ইডি সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডল ও সায়গল হোসেনকে এ বার নিজেদের হেফাজতে নিতে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে ।
জানা গিয়েছে, দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে এই সংক্রান্ত মামলায় আবেদন জানিয়েছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দিল্লির গোয়েন্দারা । ইতিমধ্যেই গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষীর কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে । এছাড়াও অনুব্রত মণ্ডলের নামে ও বেনামে একাধিক কোম্পানি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য এবং ফার্ম হাউস খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা । ফলে দিল্লির এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দাদের প্রশ্ন, একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে কীভাবে এক ব্যক্তির এই বিপুল কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি হল ?
পাশাপাশি তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী রাজ্য পুলিশের একজন কনস্টেবল পদের পুলিশ কর্মী ছিলেন । তা সত্ত্বেও তাঁর নামে এখনও পর্যন্ত 100 কোটিরও বেশি টাকার সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে । ফলে আর্থিক তছরুপের আভাস আগে থেকেই পেয়েছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা । দিল্লির ইডি সুত্রের খবর, ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যে সব তথ্য মিলেছে, সেই সব তথ্য এবং নগদের হিসেব ইতিমধ্যেই সিবিআই-এর কাছ থেকে নিয়েছেন ইডির গোয়েন্দারা । ফলে এ বার অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী এবং স্বয়ং অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি ।
আরও পড়ুন: অনুব্রতর দেহরক্ষীর সম্পদে চক্ষু চড়কগাছ গোয়েন্দাদের! ডায়েরিতে মিলল প্রভাবশালীদের নাম
ইতিমধ্যেই সিবিআই-এর আধিকারিকদের সঙ্গে ইডির আধিকারিকরা দফায় দফায় কথা বলেছেন । অনুব্রত মণ্ডল বীরভূমের একজন প্রভাবশালী নেতা ৷ ফলে তাঁর আয়ের বহির্ভূত একাধিক সম্পত্তি রয়েছে এবং সেই সম্পত্তি কীভাবে এল তা জানা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় গোয়েন্দাদের কাছে । সম্প্রতি রাজ্যে গরু পাচার কাণ্ডে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই । বর্তমানে আসানসোল সংশোধনাগারে রয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল । এছাড়াও সিবিআই-এর হাতে আগেই গ্রেফতার হয়েছে অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গেল হোসেন । এ বার তাঁদের দুজনকেই এই রাজ্য থেকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে সরাসরি জেরা করতে চায় ইডি ৷ আর সেই আর্জি জানিয়েই আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে ৷