কলকাতা, 27 অগস্ট: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) আগেই সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন (Saigal Hossain) । গরু পাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) একাধিক তথ্য এবং প্রমাণ তাঁর বিরুদ্ধে মেলার পরেই অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই ।
সূত্রের খবর, এবার গরু পাচার কাণ্ডে আর্থিক তছরূপ নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের তৎকালীন দেহরক্ষী (Anubrata Mondal Bodyguard) সায়গল হোসেনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর গোয়েন্দারা (ED to interrogate Saigal Hossain) । ইতিমধ্যেই সায়গলের নামে প্রচুর সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা । মুর্শিদাবাদের ডোমকল এলাকায় একাধিক জায়গায় এই দেহরক্ষীর নামে প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে ৷ এছাড়াও একাধিক পেট্রোল পাম্প-সহ পরিবহণ ব্যবসাতেও নেমেছিল সায়গেল বলে জানা গিয়েছে ।
শুধু নিজের ব্যবসা এবং বাড়ি জমি নয়, বরং সায়গলের পাঁচ মামার নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা । কিছুদিন আগেই কলকাতার নিজাম প্যালেসে তাঁর মামাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তাঁদের বয়ান রেকর্ডও করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা । এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কোথা থেকে পেলেন রাজ্য পুলিশের এই কনস্টেবল? কীভাবে তার গাড়ি, বাড়ি, টাকা-পয়সা, বিষয়, সম্পত্তি আচমকাই বেড়ে গেল ৷ এবার তা জানার জন্যই তদন্তের ময়দানে নামছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর গোয়েন্দারা (Enforcement Directorate) ।
জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের তৎকালীন দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে আপাতত যে সকল তথ্যপ্রমাণ সিবিআই পেয়েছে, তা কিছুদিনের মধ্যেই তদন্তকারীদের কাছ থেকে চেয়ে নেবেন ইডির আধিকারিকেরা ।
আরও পড়ুন: অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের বোলপুরের ফ্ল্যাটে ফের সিবিআই হানা
উল্লেখ্য, বোলপুরের কাশীপুর সংলগ্ন বাইপাসে সায়গলের ফ্ল্যাটে তৃতীয়বারের জন্য হানা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা (CBI raids Saigal Hossains flat in Birbhum) ৷ ব্যাংক অফিসারকে নিয়েই সোমবার সায়গলের ফ্ল্যাটে হানা দেন সিবিআই অফিসারেরা । গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেই প্রথম গ্রেফতার করেছিল সিবিআই ৷ এই তদন্ত নেমেই অনুব্রতর দেহরক্ষীর কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা ৷