কলকাতা, 1 অগাস্ট : প্রায় 25 দিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় শুরু হল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদার সুড়ঙ্গ খননের কাজ। জানা গেছে, সুড়ঙ্গ খননের কাজে কর্মরত অন্তত 60 জন কর্মী ও সুপারভাইজ়ারের শরীরে কোরোনা সংক্রমণ পাওয়া যায়। এর ফলে তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয় কাজ।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কলকাতা মেট্রোরেল কর্পোরেশন লিমিটেডের এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে শুক্রবার থেকে আবার চালু হয়েছে এসপ্ল্যানেড-শিয়ালদা অংশের কাজ। যেহেতু অনেক কম সংখ্যক কর্মী নিয়ে কাজ হচ্ছে তাই মাত্র একটি শিফটে কাজ হচ্ছে। গতকাল টানেল বোরিং মেশিন-2 'উর্বি' প্রায় দেড় কিলোমিটার পর্যন্ত চলেছে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু এখন অনেক কম কর্মী নিয়ে কাজ হচ্ছে তাই আশা করা হচ্ছে যে TBM-2 মেশিনটি সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে শিয়ালদা পৌঁছবে। সামাজিক দূরত্ব ও সমস্ত সরকারি স্বাথ্যবিধি মেনেই আবার শুরু হয়েছে কাজ। তবে এবার অনেক কম সংখ্যক কর্মী নিয়ে কাজ চলছে। মোট কর্মীদের ছোটো-ছোটো দলে ভাগ করে শিফটে কাজ চলছে। কর্মীরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে মাস্ক, গ্লাভস, শুকভার ও অন্য সতর্কতা মেনেই কাজ হচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের সেপ্টেম্বরে বউবাজারের সুড়ঙ্গ খননের কাজ চলাকালীন ওই অঞ্চল ও তার সংলগ্ন অঞ্চলে ধস নামে। ভেঙে পড়ে অনেক বাড়ি। ক্ষতিগ্রস্তও হয় বহু। গৃহহীন হয়ে পড়েন অনেকেই। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ওই সুড়ঙ্গের কাজ স্থগিত রাখা যায়। অনেক টানাপোড়েন ও আইনি জট কাটিয়ে সুড়ঙ্গের কাজ শুরু হওয়ার অনুমতি মিললেও লকডাউনের জেরে আর কাজ শুরু করা যায়নি। এরপর কাজ শুরু হলেও কিছুদিনের মধ্যেই কোরোনা সংক্রামিত হয়ে পড়েন মেট্রোর বেশ কয়েকজন কর্মী। আতঙ্কে বন্ধ করতে হয় কাজ। শুক্রবার সেই কাজই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফের শুরু করল মেট্রো রেল।
বউবাজারের সুড়ঙ্গের যে অংশে ধস নামে সেখানে এখনও আটকে রয়েছে 'চণ্ডী' (TBM-1)। KMRCL কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছে, TBM-1 নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর তার কর্মক্ষমতা হারিয়েছে। তাই এখন সুড়ঙ্গ খননের কাজ করছে 'উর্বি' (TBM-2)। আর কোনও রকম দুর্ঘটনা এড়াতে TBM-2 কে আরও উন্নত করা হয়েছে।