কলকাতা, 7 জানুয়ারি : রাজ্যের চার পৌরসভায় আসন্ন পৌরভোট পিছতে চায় না রাজ্য নির্বাচন কমিশন (dont want to postpone municipal corporation elections, SEC says in kolkata high court) ৷ শুক্রবার কমিশনের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে এই কথা জানানো হয়েছে ৷ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির কারণে, পৌরভোট পিছনোর দাবিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে হাইকোর্টে ৷ সেই মামলার শুনানিতে এদিন, আদালতে নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র বলেন, "নির্বাচন ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছে গত 28 ডিসেম্বর । করোনা পরিস্থিতি খুবই খারাপ, কিন্তু যতক্ষণ না জনজীবন সম্পূর্ণ স্তব্ধ পয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ ভোট স্থগিত রাখতে চাইছে না কমিশন ৷" করোনাবিধি মেনেই কমিশন ভোট করাতে চায় বলে এদিন আদালতে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী৷ এদিনই রাজ্য বিজেপির তরফে অন্তত এক মাস পৌরভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে ৷ উল্লেখ্য, আগামী 22 জানুয়ারি বিধাননগর ,শিলিগুড়ি , চন্দননগর ও আসানসোল পৌরসভার নির্বাচন হওয়ার কথা ৷
22 জানুয়ারি 4 পুরনিগমের যে ভোটের ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন আপাতত তারা তা পেছাতে চায় না বলেই কলকাতা হাইকোর্টে জানালেন নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র। এই সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন ঘোষণা করা হয়ে গেছে 28 ডিসেম্বর। করোনা পরিস্থিতি খুবই খারাপ সেটা ঠিকই, কিন্তু যত সময় না জনজীবন পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে তত সময় ভোট স্থগিত রাখতে চাইছে না নির্বাচন কমিশন। তিনি আরও বলেন, ‘‘লোকাল ট্রেন, রেল স্টেশনগুলোতে, বাজারে লোকজনের ভিড় করছে। এই পরিস্থিতিতে সমস্ত রকম করোনা বিধি-নিষেধ মেনেই নির্বাচন কমিশন চায় ভোট করাতে।’’
আরও পড়ুন : করোনার বাড়বাড়ন্তে পৌরভোট পিছনোর দাবি বিজেপি'র, পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূলের
এদিন আদালতে মামলাকারী বিমল ভট্টাচার্যের তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "সল্টলেক এলাকায় ইতিমধ্যেই তেইশটি কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে ৷ কোনওভাবেই পরিস্থিতি নির্বাচনের অনুকূল নয় ৷ পৌর নির্বাচনে যখন এতদিন দেরি হয়েছে তখন এত তাড়া কিসের?" কমিশনের আইনজীবী এদিন আদালতে জানিয়েছেন, আগামী সোমবারের মধ্যে এবিষয়ে তাদের বক্তব্য লিখিত আকারে হলফনামা দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টকে জানাবে কমিশন । আগামী মঙ্গলবার ফের শুনানি এই মামলার দিন ধার্য হয়েছে ।
অন্যদিকে হাওড়া পৌরনিগমের ভোট কেন স্থগিত রাখা হল, সে বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যের কাছে জবাব তলব করেছিল । এই বিষয়ে এদিন রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে জানান, তাঁকে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তা বুঝতে ভুল করেছিলেন তিনি । এই ব্যাপারে আরও তথ্য নেওয়া উচিত ছিল বলে তিনি আদালতকে জানিয়েছেন । পাশাপাশি, এই ভুল তথ্য আদালতকে দেওয়ার জন্য এদিন তিনি ক্ষমা প্রার্থনাও করেন ৷ উল্লেখ্য, গত 23 ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানিয়েছিলেন, হাওড়া থেকে বালি পৌরসভাকে আলাদা করার বিষয়ে রাজ্যপাল সম্মতি দিয়েছেন । ফলে সেখানে আলাদা ভোট করায় আর কোনও সমস্যা নেই । কিন্তু অ্যাডভোকেট জেনারেলের এই দাবির ফলেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় জানান, তিনি ওই বিলে সম্মতি জানাননি । ফলে বিষয়টি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয় । পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনও হাওড়াকে বাদ দিয়েই অন্যান্য চারটি পৌরনিগমের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেয় ।