নিউটাউন, 13 নভেম্বর : বাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মুখ পড়েছে বিজেপির ৷ সূত্রের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে (Mamata Banerjee) ক্ষমতাচ্যুত করতে পশ্চিমবঙ্গের ভোটে নাকি 151 কোটি টাকা খরচ করেছে কেন্দ্রের শাসকদল ! সংবাদমাধ্যমে এই খবর সামনে আসতেই শুরু হয়েছে সমালোচনা, বিতর্ক ৷ যার জেরে শনিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় দলের জাতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও ৷ রোজের মতো এদিনও প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন দিলীপ ৷ তখনই তাঁকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় ৷ জবাবে দিলীপ বলেন, ‘‘যাঁরা ভোটে টাকা খরচের কথা বলছেন, সেই মন্তব্যের স্বপক্ষে প্রমাণ জোগাড় করাটাও তাঁদেরই দায়িত্ব ৷’’ রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, এই বিষয়ে উত্তর দেওয়াটা দিলীপের পক্ষে যথেষ্ট অস্বস্তিকর ৷ সেই কারণেই দায় ঠেলে দিয়েছেন তিনি ৷
আরও পড়ুন : Dilip Ghosh : প্রধানমন্ত্রী যা বলেন, করে দেখান, আর দিদিমণি শুধু ঢপ দেন : দিলীপ ঘোষ
এদিকে, বাংলায় স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে ব্যর্থ হওয়ার পর থেকেই সময়টা খুব একটা ভাল যাচ্ছে না বিজেপির ৷ সাম্প্রতিক উপনির্বাচনগুলিতেও তাদের ভরাডুবি হয়েছে ৷ এই অবস্থায় আসন্ন গোয়া বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে উঠে-পড়ে লেগেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল ৷ দফায় দফায় চলছে বৈঠক, আলোচনা ৷ দিলীপ অবশ্য বিষয়টিকে পাত্তা দিতে নারাজ ৷ তাঁর বক্তব্য, গোয়া নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে কোনও লাভ নেই ৷ কারণ, গোয়ায় তৃণমূলের কোনও সংগঠনই নেই ৷
অন্যদিকে, বাংলায় পৌরভোট আসন্ন ৷ তার দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা না হলেও সবক’টি পৌরনিগম ও পৌরসভাই দখলে রাখতে মরিয়া তৃণমূল শিবির ৷ এই লড়াইয়ে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ অবশ্যই বিজেপি ৷ কিন্তু, বিজেপি থেকে এখন নেতা-কর্মীদের দল ছাড়ার হিড়িক শুরু হয়েছে ৷ নামী, দামিরাও আর গেরুয়া শিবিরের থাকতে রাজি নন ৷ এই অবস্থায় আসন্ন পৌরযুদ্ধে দলের প্রতিনিধি কারা হবেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা ৷
আরও পড়ুন : Dilip Ghosh: "তৃণমূলে একজনই পুরুষ, বাকি সব মহিলা", কটাক্ষ দিলীপের
এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ বিজেপির পুরনো কর্মীদের উপরেই গুরুত্ব আরোপ করেন ৷ তাঁর বক্তব্য, বিখ্যাতরা ক্ষমতার সঙ্গে থাকতে ভালবাসেন ৷ সেই কারণেই একুশের ভোটের আগে তাঁদের অনেকেই বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন ৷ কিন্তু, বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতা দখলে ব্যর্থ হওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেন তাঁরা ৷ এই পরিস্থিতিতে আসন্ন পৌরভোটে ফিল্মস্টার বা বিখ্যাতদের প্রার্থী করার পক্ষপাতী নন দিলীপ ৷ তাঁর বার্তা, যে কর্মীরা নিজেদের ক্ষমতায় এতদিন লড়াই করে এসেছেন, তাঁরাই ভোটের টিকিট পাবেন ৷