কলকাতা, 7 অক্টোবর : বৃহস্পতিবার, একাদশীর দিন অয়ন মণ্ডলের দেহ উদ্ধারের (Haridevpur Youth Body Recovered) ছবি-সহ বিস্তারিত তথ্য লালবাজার (Lalbazar) ও প্রতিটি জেলার পুলিশ লাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল । এমনটাই দাবি ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের (Diamond Harbour Police District) ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ এক আধিকারিকের কথায়, একাদশীর দিন সকাল 8টা নাগাদ মগরাহাট থানা এলাকার একটি ব্রিজের নিচ থেকে অয়ন মণ্ডলের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ । পরে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলে ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশ ।
তিনি আরও জানিয়েছেন, যেহেতু অজ্ঞাতপরিচয় যে কোনও ব্যক্তির দেহ উদ্ধারের ঘটনার পর প্রতিটি জেলা পুলিশ লাইন এবং কমিশনারেটের সংশ্লিষ্ট দেহের ছবি শনাক্তকরণের জন্য পাঠানো হয়, ঠিক সেই পদ্ধতি মেনে ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশদের তরফ থেকে একাদশীর দিন কলকাতা-সহ একাধিক জেলা পুলিশ এবং কমিশনারেট ওই যুবকের ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল ।
এখানেই প্রশ্ন যে একাদশীর দিন যদি ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের তরফ থেকে ওই যুবকের দেহ ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে কিভাবে এই সমন্বয়ের অভাব থেকে গেল ? তাহলে কি স্থানীয় হরিদেবপুর থানার পুলিশ রুটিন মেল চেক করেনি ?
পাশাপাশি মৃত অয়ন মণ্ডলের পরিবারের অভিযোগ, যখন তারা হরিদেবপুর থানায় ছেলের নিখোঁজের অভিযোগ জানাতে যায়, সেই সময় বলা হয় এটি রিজেন্ট পার্ক থানার ঘটনা । ফলে রিজেন্ট পার্ক থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে হবে ৷ পরে রিজেন্ট পার্ক থানার তরফ থেকে হরিদেবপুর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে বলা হয় যে ঘটনাটি আদতে হরিদেবপুর থানায় এলাকার । পরে অভিযোগ নেয় হরিদেবপুর থানার পুলিশ ।
মৃত অয়ন মণ্ডলের পরিবারের আরও অভিযোগ যে অয়নের ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ একাধিক জায়গার সন্ধান পেলেও নিজেরা না গিয়ে মৃতের পরিবারকেই তাদের ছেলের সন্ধানের জন্য একাধিক জায়গায় পাঠানো হয় ।
যদিও এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) তরফ থেকে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি । ইতিমধ্যেই অয়নের বান্ধবীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারী আধিকারিকরা । পাশাপাশি মৃত অয়নের বান্ধবীর একাধিক আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ।
আরও পড়ুন : নিখোঁজ তরুণের দেহ উদ্ধারে কাঠগড়ায় বান্ধবীর পরিবার