বারাণসী, 11 এপ্রিল : কলকাতার ছাত্রাবাসে আন্তর্জাতিক মহিলা ফুটবলার জ্যোতি কুমারীর মৃত্যু ঘিরে ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য (UP Footballer Mystery Death in Kolkata) ৷ অথচ পুলিশি তদন্তে অসহযোগীতার অভিযোগ ৷ মেয়ের মৃত্যুতে বাধ্য হয়ে এবার তাই সিবিআই তদন্তের আর্জি জানাল বারাণসীর ফুটবলারের পরিবার ৷ গত 4 এপ্রিল কদমগাছির আদিত্য স্কুল অফ স্পোর্টসের ছাত্রাবাসে মৃত্যু হয় জ্যোতির ৷ প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার বিষয়টি সামনে এলেও পরিবারের অভিযোগ কলকাতা পুলিশ মৃত্যুর সঠিক তদন্ত করছে না ৷ আর এখানেই সন্দেহ দানা বাঁধায় জ্যোতির মৃত্যু তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ চাইছে পরিবার (Demand for CBI to investigate international football player Jyoti kumari death case) ৷
জ্যোতির মা শান্তি প্যাটেলের দাবি, মৃত্যু আগের রাতেই মেয়ের সঙ্গে কথা হয় তাঁর ৷ জ্যোতিকে খুশিই মনে হয়েছিল সে সময় ৷ জ্যোতির মৃত্যুর রাতে তাঁদের ছাত্রাবাসে একটি জন্মদিনের পার্টি ছিল বলেও জানা গিয়েছে ৷ এমনকী সেই পার্টিতে উপস্থিতির একটি ছবি জ্যোতি হোয়াটস অ্যাপ স্ট্যাটাসেও দিয়েছিল বলে জানিয়েছে পরিবার ৷ কিন্তু তারপর কী হল ? উত্তর অজানা ৷
পরদিন সকালে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক ঘটনাস্থল থেকে টেলিফোনে জ্যোতির বোনকে তাঁর মৃত্যু সংবাদ দেয় ৷ ময়নাতদন্তের পর হাসপাতালে জ্যোতির মরদেহ অনাবৃত অবস্থায় রাখা ছিল বলেও অভিযোগ ৷ গোটা ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হয় জ্যোতির পরিবারের তরফ থেকে ৷ পুলিশ তদন্তে গতি আনার আশ্বাস দিলেও শুরু থেকেই গাফিলতি প্রত্যক্ষ করে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছে পরিবার ৷
আরও পড়ুন : ক্ষমা চেয়েও মিলল না রেহাই, সমর্থক হেনস্থার ঘটনায় তদন্ত শুরু ক্রিশ্চিয়ানোর বিরুদ্ধে
কেবল দেশীয় স্তরে নয়, আন্তর্জাতির স্তরেও দেশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন জ্যোতি ৷ ভুটান, বাংলাদেশ, মায়ানমারের মত দেশে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি ৷ অনূর্ধ্ব-19 জাতীয় দলে নির্বাচিত হলেও চোটের কারণে শেষ মুহূর্তে ছিটকে যেতে হয় তাঁকে, জানিয়েছেন জ্যোতির কোচ বৈভব দত্ত ৷