ETV Bharat / city

সিঁথি : পরিবারকে প্রোমোটারের তালিকা ধরিয়ে চুরির জিনিস কিনে আনতে বলা হয় !

অভিযোগ, পুলিশের সরকারি ডায়েরির পাতায় সেই তালিকা এবং তার পাশে দাম লিখে রাজকুমারের পরিবারকে বলা হয়েছিল সেই সব জিনিসপত্র কিনে আনতে হবে । যে ডাইরির পাতার ক্রমিক সংখ্যা ছিল E-8072 ৷ সেখানে স্পষ্টভাবে লেখা ছিল সব জিনিসগুলির মোট দাম 1 লাখ 10 হাজার টাকা । ঘটনার দিন রাজকুমারবাবুর বড় ছেলে অভিযোগ করেছিলেন 1 লাখ 20 হাজার টাকা চেয়েছে সিঁথি থানা । সেটা দিতে না পারায় তাঁর বাবাকে মেরে ফেলা হয় ।

author img

By

Published : Feb 12, 2020, 11:15 PM IST

Sinthi incident
সিঁথির ঘটনা

কলকাতা, 12 ফেব্রুয়ারি : থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ঘটেছিল চুরির ঘটনা । প্রোমোটার প্রদীপ পালের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছিল সিঁথি থানার পুলিশ । ওই প্রোমোটার পুলিশকে দিয়েছিল একটি তালিকা । অভিযোগ, পুলিশের সরকারি ডায়েরির পাতায় সেই তালিকা এবং তার পাশে দাম লিখে রাজকুমারের পরিবারকে বলা হয়েছিল সেই সব জিনিসপত্র কিনে আনতে হবে । যে ডায়েরির পাতার ক্রমিক সংখ্যা ছিল E-8072 ৷ সেখানে স্পষ্টভাবে লেখা ছিল সব জিনিসগুলির মোট দাম 1 লাখ 10 হাজার টাকা । ঘটনার দিন রাজকুমারবাবুর বড় ছেলে অভিযোগ করেছিলেন 1 লাখ 20 হাজার টাকা চেয়েছে সিঁথি থানা । সেটা দিতে না পারায় তাঁর বাবাকে মেরে ফেলা হয় । ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মৃতের ভাই রাকেশ সাউ যে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাতে উল্লেখ রয়েছে এই ঘটনার । রাকেশের দাবি, তাঁদের কাছে চাওয়া হয়েছিল 1 লাখ 10 হাজার টাকা । অভিযোগপত্রে এই ঘটনার কথা দেখে চমকে উঠেছেন লালবাজারের সিনিয়র পুলিশকর্তারা ৷

প্রোমোটার প্রদীপ পালের সঙ্গে সিঁথি থানার কয়েকজন আধিকারিকের সুসম্পর্ক আছে বলে দাবি করেছে সাউ পরিবার । অভিযোগ, সেই সূত্রেই নাকি সৌমেন্দ্রনাথ দাস, অরিন্দম দাস ও সার্জেন্ট চিন্ময় মাহাতদের এই অতি সক্রিয়তা । টালা থানা এলাকার বনমালি চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাসিন্দা 55 বছরের প্রদীপ গতমাসের 17 তারিখ দায়ের করেছিলেন অভিযোগ । সাব ইন্সপেক্টর সৌমেন্দ্রনাথ দাসকে দেওয়া হয়েছিল তদন্তভার । প্রদীপ তাঁর অভিযোগপত্রে চুরি যাওয়া জিনিস পত্রের তালিকা দিয়ে জানিয়েছিলেন, সব সামগ্রীর মোট মূল্য 1 লাখ 10 হাজার টাকা । তার সঙ্গে পুলিশের ডায়েরির পাতায় যে তালিকা রাকেশদের হাতে দেওয়া হয়েছিল, তার নাকি হুবহু মিল রয়েছে । ঘটনার দিন পরিবারের আইনজীবী অমর্ত্য দে ETV ভারতকে জানিয়েছিলেন সেই তালিকার কথা । কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এ ঘটনার তদন্তে নেমে বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানা গেছে লালবাজার সূত্রে । কলকাতা পুলিশের সিনিয়র কর্তারা জানাচ্ছেন, আইন মোতাবেক এভাবে ডায়েরির পাতায় জিনিসের দাম লিখে সেই টাকা দেওয়ার জন্য চাপ কোনও ভাবেই দেওয়া যায় না । এত বড় অন্যায় কাজ কী করে করলেন ওই পুলিশ আধিকরিকরা ৷

Sinthi incident
এই সেই চুরি যাওয়া সামগ্রীর তালিকা

লালবাজার সূত্রে খবর, চুরির ঘটনার তদন্তে নেমেছিল পুলিশ ৷ তাতে পদ্ধতিগত ত্রুটি ছিল । সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আটক করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম মানা হয়নি বলেই প্রাথমিকভাবে জানা গেছে । রাজকুমারবাবুকে কোনও নোটিস ছাড়াই আটক করা হয়েছিল বলেও খবর । প্রসঙ্গত, গতকাল সন্ধে ছ'টা নাগাদ পুলিশি হেপাজতে মৃত্যু হয় রাজকুমার সাউয়ের । ঘটনার জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে সিঁথি থানা এলাকা । অভিযোগ ভাঙচুর চালানো হয় থানায় । পরে BJP-র তরফে দাবি করা হয়, রাজকুমার তাদের কর্মী ছিলেন । যদিও পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি অস্বীকার করা হয় । এদিকে রাতের দিকে তৃণমূল কর্মীরা থানা এলাকায় জড়ো হয় । ঘটনার জেরে BJP- তৃণমূলের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয় । পরে পুলিশের সক্রিয়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ৷

কলকাতা, 12 ফেব্রুয়ারি : থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ঘটেছিল চুরির ঘটনা । প্রোমোটার প্রদীপ পালের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছিল সিঁথি থানার পুলিশ । ওই প্রোমোটার পুলিশকে দিয়েছিল একটি তালিকা । অভিযোগ, পুলিশের সরকারি ডায়েরির পাতায় সেই তালিকা এবং তার পাশে দাম লিখে রাজকুমারের পরিবারকে বলা হয়েছিল সেই সব জিনিসপত্র কিনে আনতে হবে । যে ডায়েরির পাতার ক্রমিক সংখ্যা ছিল E-8072 ৷ সেখানে স্পষ্টভাবে লেখা ছিল সব জিনিসগুলির মোট দাম 1 লাখ 10 হাজার টাকা । ঘটনার দিন রাজকুমারবাবুর বড় ছেলে অভিযোগ করেছিলেন 1 লাখ 20 হাজার টাকা চেয়েছে সিঁথি থানা । সেটা দিতে না পারায় তাঁর বাবাকে মেরে ফেলা হয় । ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মৃতের ভাই রাকেশ সাউ যে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাতে উল্লেখ রয়েছে এই ঘটনার । রাকেশের দাবি, তাঁদের কাছে চাওয়া হয়েছিল 1 লাখ 10 হাজার টাকা । অভিযোগপত্রে এই ঘটনার কথা দেখে চমকে উঠেছেন লালবাজারের সিনিয়র পুলিশকর্তারা ৷

প্রোমোটার প্রদীপ পালের সঙ্গে সিঁথি থানার কয়েকজন আধিকারিকের সুসম্পর্ক আছে বলে দাবি করেছে সাউ পরিবার । অভিযোগ, সেই সূত্রেই নাকি সৌমেন্দ্রনাথ দাস, অরিন্দম দাস ও সার্জেন্ট চিন্ময় মাহাতদের এই অতি সক্রিয়তা । টালা থানা এলাকার বনমালি চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাসিন্দা 55 বছরের প্রদীপ গতমাসের 17 তারিখ দায়ের করেছিলেন অভিযোগ । সাব ইন্সপেক্টর সৌমেন্দ্রনাথ দাসকে দেওয়া হয়েছিল তদন্তভার । প্রদীপ তাঁর অভিযোগপত্রে চুরি যাওয়া জিনিস পত্রের তালিকা দিয়ে জানিয়েছিলেন, সব সামগ্রীর মোট মূল্য 1 লাখ 10 হাজার টাকা । তার সঙ্গে পুলিশের ডায়েরির পাতায় যে তালিকা রাকেশদের হাতে দেওয়া হয়েছিল, তার নাকি হুবহু মিল রয়েছে । ঘটনার দিন পরিবারের আইনজীবী অমর্ত্য দে ETV ভারতকে জানিয়েছিলেন সেই তালিকার কথা । কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এ ঘটনার তদন্তে নেমে বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানা গেছে লালবাজার সূত্রে । কলকাতা পুলিশের সিনিয়র কর্তারা জানাচ্ছেন, আইন মোতাবেক এভাবে ডায়েরির পাতায় জিনিসের দাম লিখে সেই টাকা দেওয়ার জন্য চাপ কোনও ভাবেই দেওয়া যায় না । এত বড় অন্যায় কাজ কী করে করলেন ওই পুলিশ আধিকরিকরা ৷

Sinthi incident
এই সেই চুরি যাওয়া সামগ্রীর তালিকা

লালবাজার সূত্রে খবর, চুরির ঘটনার তদন্তে নেমেছিল পুলিশ ৷ তাতে পদ্ধতিগত ত্রুটি ছিল । সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আটক করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম মানা হয়নি বলেই প্রাথমিকভাবে জানা গেছে । রাজকুমারবাবুকে কোনও নোটিস ছাড়াই আটক করা হয়েছিল বলেও খবর । প্রসঙ্গত, গতকাল সন্ধে ছ'টা নাগাদ পুলিশি হেপাজতে মৃত্যু হয় রাজকুমার সাউয়ের । ঘটনার জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে সিঁথি থানা এলাকা । অভিযোগ ভাঙচুর চালানো হয় থানায় । পরে BJP-র তরফে দাবি করা হয়, রাজকুমার তাদের কর্মী ছিলেন । যদিও পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি অস্বীকার করা হয় । এদিকে রাতের দিকে তৃণমূল কর্মীরা থানা এলাকায় জড়ো হয় । ঘটনার জেরে BJP- তৃণমূলের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয় । পরে পুলিশের সক্রিয়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.