ETV Bharat / city

New Adjective in Bengal Politics : বাংলার রাজনীতিতে নয়া বিশেষণ, মমতার 'দাদামণি' কটাক্ষ - বাংলার রাজনীতিতে নয়া বিশেষণ

বাংলার রাজনীতিতে অতীতে কখনোই দাদামণি শব্দের চল ছিল না । চলচ্চিত্র জগতে দাদামণি হিসেবে একমাত্র পরিচিত ছিলেন অভিনেতা অশোক কুমার । তবে তিনি কখনও সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন কি না, তা জানা নেই (New Adjective in Bengal Politics) !

mamata criticises suvendu
বাংলার রাজনীতিতে নয়া বিশেষণ
author img

By

Published : Jun 20, 2022, 10:44 PM IST

কলকাতা, 20 জুন : বাংলা রাজনীতিতে দাদা-দিদি শব্দগুলির চল দীর্ঘদিনের । ছিল ভাইপো-পিসিমণি'র মতো শব্দবন্ধও । এবার বাংলার রাজনীতিতে আমদানি হল এক নতুন বিশেষণের, দাদামণি । বঙ্গ রাজনীতিতে কটাক্ষ মিশ্রিত এই বিশেষণের সংযোজন করলেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বিশেষণের লক্ষ্য যে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এটা স্পষ্ট ৷ যদিও এদিন তিনি আলাদা করে শুভেন্দুর নাম উল্লেখ করেননি ।

বাংলার রাজনীতিতে অতীতে কখনোই দাদামণি শব্দের চল ছিল না । চলচ্চিত্র জগতে দাদামণি হিসেবে একমাত্র পরিচিত ছিলেন অভিনেতা অশোক কুমার । তবে তিনি কখনও সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন কি না, তা জানা নেই ! কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নয়া এই তকমার মান আদৌ নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী রাখতে পারবেন কি না, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন!

বাদল অধিবেশনে সোমবার বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে প্রথমবারের জন্য একই সময়ে কক্ষে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ধর্মীয় উস্কানি ও হিংসার রাজনীতির নিন্দাপ্রস্তাব পাঠ করার পরেই মাইক টেনে নিয়ে বক্তব্য রাখতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বিরোধী পক্ষের বিধায়কদের আসনে তখন সামনের সারিতে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি থেকে শুরু করে অগ্নিপথ, একের পর এক বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন তাঁর বক্তব্য রেখে চলেছেন ৷ তীব্র কটাক্ষে বিদ্ধ করছেন কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি ও রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের নেতাদের ৷

আরও পড়ুন : দাদামণি বলছে 17 হাজার লোকের চাকরি খাবে, শুভেন্দুকে আক্রমণ মমতার

তবে এর আগেও দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বের সমালোচনা করার সময় শুভেন্দু অধিকারীর নাম বিশেষ উল্লেখ করেন না মুখ্যমন্ত্রী ৷ এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি । রাজ্যে শিক্ষকদের নিয়োগ প্রসঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে এদিন দাদামণি প্রসঙ্গ টেনে আনেন মমতা । তবে বিধানসভায় উপস্থিত বিধায়ক থেকে শুরু করে সাংবাদিক, তাঁর এই আক্রমণ কার লক্ষ্যে তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি কারও ৷ যদিও প্রথমদিকে মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণ হাসিমুখেই গ্রহণ করছিলেন বিরোধী দলনেতা । তবে পরবর্তীতে বিজেপি নেতাদের বাড়ির সামনে চাকরি হারানো মানুষদের ধরনার কথা মুখ্যমন্ত্রী বলতেই, নীরবতা ভাঙে বিরোধীদের । মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য চলাকালীন তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করে বিধানসভা কক্ষ ত্যাগ করে বিরোধী পক্ষ ।

তখনও কিন্তু বিরোধী দলনেতার প্রতি কটাক্ষ বা নাম না-করে তাঁকে আক্রমণ থামাননি মুখ্যমন্ত্রী ৷ পরে সাংবাদিক সম্মেলনে, মুখ্যমন্ত্রীর দাদামণি কটাক্ষের পালটা জবাব দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । সেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন, "এটা আসলে কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রীর আফসোস । আমি ওনার থেকে বয়সে ছোট । উনি দাদামণি অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেছেন কি না, আমি জানি না । মনে হয় অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা বলছেন । উনি আগে একটি হার্ডওয়ারের দোকান ও রঙ-এর ব্যবসা করতেন । এখন 1000 কোটি টাকার মালিক । আমাকে তো দাদা বলার কথা নয় । ভাই সোনা বলার কথা । উনি আমার থেকে 17 বছরের বড় । কাজেই আমাকে দাদা বলার কারণ নেই ।" যদিও এদিন দু'জনের বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই দাদামণি বিতর্কের মাধ্যমে আসলে বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন প্রজন্মের এক নয়া বিশেষণের সংযোজন হল ৷

কলকাতা, 20 জুন : বাংলা রাজনীতিতে দাদা-দিদি শব্দগুলির চল দীর্ঘদিনের । ছিল ভাইপো-পিসিমণি'র মতো শব্দবন্ধও । এবার বাংলার রাজনীতিতে আমদানি হল এক নতুন বিশেষণের, দাদামণি । বঙ্গ রাজনীতিতে কটাক্ষ মিশ্রিত এই বিশেষণের সংযোজন করলেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বিশেষণের লক্ষ্য যে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এটা স্পষ্ট ৷ যদিও এদিন তিনি আলাদা করে শুভেন্দুর নাম উল্লেখ করেননি ।

বাংলার রাজনীতিতে অতীতে কখনোই দাদামণি শব্দের চল ছিল না । চলচ্চিত্র জগতে দাদামণি হিসেবে একমাত্র পরিচিত ছিলেন অভিনেতা অশোক কুমার । তবে তিনি কখনও সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন কি না, তা জানা নেই ! কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নয়া এই তকমার মান আদৌ নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী রাখতে পারবেন কি না, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন!

বাদল অধিবেশনে সোমবার বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে প্রথমবারের জন্য একই সময়ে কক্ষে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ধর্মীয় উস্কানি ও হিংসার রাজনীতির নিন্দাপ্রস্তাব পাঠ করার পরেই মাইক টেনে নিয়ে বক্তব্য রাখতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বিরোধী পক্ষের বিধায়কদের আসনে তখন সামনের সারিতে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি থেকে শুরু করে অগ্নিপথ, একের পর এক বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন তাঁর বক্তব্য রেখে চলেছেন ৷ তীব্র কটাক্ষে বিদ্ধ করছেন কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি ও রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের নেতাদের ৷

আরও পড়ুন : দাদামণি বলছে 17 হাজার লোকের চাকরি খাবে, শুভেন্দুকে আক্রমণ মমতার

তবে এর আগেও দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বের সমালোচনা করার সময় শুভেন্দু অধিকারীর নাম বিশেষ উল্লেখ করেন না মুখ্যমন্ত্রী ৷ এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি । রাজ্যে শিক্ষকদের নিয়োগ প্রসঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে এদিন দাদামণি প্রসঙ্গ টেনে আনেন মমতা । তবে বিধানসভায় উপস্থিত বিধায়ক থেকে শুরু করে সাংবাদিক, তাঁর এই আক্রমণ কার লক্ষ্যে তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি কারও ৷ যদিও প্রথমদিকে মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণ হাসিমুখেই গ্রহণ করছিলেন বিরোধী দলনেতা । তবে পরবর্তীতে বিজেপি নেতাদের বাড়ির সামনে চাকরি হারানো মানুষদের ধরনার কথা মুখ্যমন্ত্রী বলতেই, নীরবতা ভাঙে বিরোধীদের । মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য চলাকালীন তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করে বিধানসভা কক্ষ ত্যাগ করে বিরোধী পক্ষ ।

তখনও কিন্তু বিরোধী দলনেতার প্রতি কটাক্ষ বা নাম না-করে তাঁকে আক্রমণ থামাননি মুখ্যমন্ত্রী ৷ পরে সাংবাদিক সম্মেলনে, মুখ্যমন্ত্রীর দাদামণি কটাক্ষের পালটা জবাব দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । সেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন, "এটা আসলে কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রীর আফসোস । আমি ওনার থেকে বয়সে ছোট । উনি দাদামণি অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেছেন কি না, আমি জানি না । মনে হয় অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা বলছেন । উনি আগে একটি হার্ডওয়ারের দোকান ও রঙ-এর ব্যবসা করতেন । এখন 1000 কোটি টাকার মালিক । আমাকে তো দাদা বলার কথা নয় । ভাই সোনা বলার কথা । উনি আমার থেকে 17 বছরের বড় । কাজেই আমাকে দাদা বলার কারণ নেই ।" যদিও এদিন দু'জনের বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই দাদামণি বিতর্কের মাধ্যমে আসলে বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন প্রজন্মের এক নয়া বিশেষণের সংযোজন হল ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.