ETV Bharat / city

CPIM-Congress slams Anubrata: 'বাংলা অনেক কেষ্টলীলা দেখেছে, আর দরকার নেই !' অনুব্রতর গ্রেফতারিতে মত বিরোধীদের - কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা

গরুপাচারকাণ্ডে (West Bengal Cattle Smuggling Case) অনেক আগেই অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করা উচিত ছিল ৷ প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় জানালেন সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya) এবং প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য (Pradip Bhattacharya) ৷

CPM and Congress Reaction on Anubrata Mondal arrest in West Bengal Cattle Smuggling Case
Anubrata Mondal: 'বাংলা অনেক কেষ্ট লীলা দেখেছে, আর দরকার নেই !' অনুব্রতর গ্রেফতারিতে মত বিরোধীদের
author img

By

Published : Aug 11, 2022, 1:21 PM IST

Updated : Aug 11, 2022, 1:40 PM IST

কলকাতা, 11 অগস্ট: একবার নয়, দু'বার নয়, পর পর ন'বার ৷ সিবিআই (CBI)-এর একের পর এক তলব এড়িয়ে অবশেষে সেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (Central Bureau of Investigation)-এর জালেই ধরা পড়তে হল বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) ৷ সিবিআই-এর পদক্ষেপে খুশি রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক শিবির ৷ যদিও বিরোধী বিভিন্ন দলের অধিকাংশ নেতানেত্রীরই বক্তব্য হল, অনেক আগেই অনুব্রতকে গ্রেফতার করা উচিত ছিল ৷ ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে এমনটাই জানিয়েছেন সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya) ৷ একই সুর শোনা গিয়েছে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের (Pradip Bhattacharya) গলাতেও ৷

এই প্রসঙ্গে বিকাশরঞ্জনের বক্তব্য হল, অনেক আগেই অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা উচিত ছিল (CPIM-Congress slams Anubrata)৷ সিবিআই দীর্ঘদিন ধরে গরুপাচার কাণ্ডের (West Bengal Cattle Smuggling Case) তদন্ত করছে ৷ অথচ, অন্যতম প্রধান অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে না ৷ এতে তদন্তকারী সংস্থা তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলে ৷ তাই এই গ্রেফতারি জরুরি ছিল বলেও মনে করেন পেশায় আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ৷

আরও পড়ুন: CBI arrests Anubrata Mondal: জেরায় একের পর এক প্রশ্ন এড়িয়ে অসহযোগিতা ! কীভাবে গ্রেফতার হলেন অনুব্রত ?

এ দিকে, গত মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূমের বাড়িতে তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে যান স্থানীয় সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ৷ পরে এই ঘটনায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ ওঠে ৷ একটি ভাইরাল অডিয়ো রেকর্ডিংকে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়, অনুব্রতর নির্দেশেই তাঁর জন্য সাদা কাগজে 'বেড রেস্ট'-এর নিদান লিখতে বাধ্য় হয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট সরকারি চিকিৎসক ৷ এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিকাশরঞ্জন বলেন, রাজ্যের সর্বত্রই প্রভাব খাটিয়ে অনেক বেআইনি কাজ করা হচ্ছে ৷

অন্যদিকে, প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য এই প্রসঙ্গে বলেন, "বাংলার মানুষ অনেক কেষ্টলীলা দেখেছে ৷ আর দেখতে চায় না ৷ এ বার এসব বন্ধ হওয়া দরকার ৷" প্রদীপ মনে করেন, "অনুব্রত মণ্ডলের মতো মানুষ, যাঁরা অন্য়ায় করেন, তাঁদের কপালে এসবই (গ্রেফতারি) জোটে ৷ এঁদের কখনওই জেলের বাইরে রাখা উচিত নয় ৷ এতে সমাজ কলুষিত হয় ৷ এঁদের তাই ভিতরেই (জেলবন্দি) রাখা উচিত ৷ তাতে এঁদেরও ভালো ৷ বাকি সকলেরও ভালো ৷" বিকাশরঞ্জনের মতো প্রদীপও মনে করেন, অনেক আগেই অনুব্রতকে গ্রেফতার করা উচিত ছিল ৷ তাঁর প্রশ্ন, "যাঁর দেহরক্ষীর কাছে 100 কোটি টাকা থাকে, তাঁর কাছে তাহলে কত টাকা থাকবে ?"

কলকাতা, 11 অগস্ট: একবার নয়, দু'বার নয়, পর পর ন'বার ৷ সিবিআই (CBI)-এর একের পর এক তলব এড়িয়ে অবশেষে সেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (Central Bureau of Investigation)-এর জালেই ধরা পড়তে হল বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) ৷ সিবিআই-এর পদক্ষেপে খুশি রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক শিবির ৷ যদিও বিরোধী বিভিন্ন দলের অধিকাংশ নেতানেত্রীরই বক্তব্য হল, অনেক আগেই অনুব্রতকে গ্রেফতার করা উচিত ছিল ৷ ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে এমনটাই জানিয়েছেন সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya) ৷ একই সুর শোনা গিয়েছে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের (Pradip Bhattacharya) গলাতেও ৷

এই প্রসঙ্গে বিকাশরঞ্জনের বক্তব্য হল, অনেক আগেই অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা উচিত ছিল (CPIM-Congress slams Anubrata)৷ সিবিআই দীর্ঘদিন ধরে গরুপাচার কাণ্ডের (West Bengal Cattle Smuggling Case) তদন্ত করছে ৷ অথচ, অন্যতম প্রধান অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে না ৷ এতে তদন্তকারী সংস্থা তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলে ৷ তাই এই গ্রেফতারি জরুরি ছিল বলেও মনে করেন পেশায় আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ৷

আরও পড়ুন: CBI arrests Anubrata Mondal: জেরায় একের পর এক প্রশ্ন এড়িয়ে অসহযোগিতা ! কীভাবে গ্রেফতার হলেন অনুব্রত ?

এ দিকে, গত মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূমের বাড়িতে তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে যান স্থানীয় সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ৷ পরে এই ঘটনায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ ওঠে ৷ একটি ভাইরাল অডিয়ো রেকর্ডিংকে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়, অনুব্রতর নির্দেশেই তাঁর জন্য সাদা কাগজে 'বেড রেস্ট'-এর নিদান লিখতে বাধ্য় হয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট সরকারি চিকিৎসক ৷ এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিকাশরঞ্জন বলেন, রাজ্যের সর্বত্রই প্রভাব খাটিয়ে অনেক বেআইনি কাজ করা হচ্ছে ৷

অন্যদিকে, প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য এই প্রসঙ্গে বলেন, "বাংলার মানুষ অনেক কেষ্টলীলা দেখেছে ৷ আর দেখতে চায় না ৷ এ বার এসব বন্ধ হওয়া দরকার ৷" প্রদীপ মনে করেন, "অনুব্রত মণ্ডলের মতো মানুষ, যাঁরা অন্য়ায় করেন, তাঁদের কপালে এসবই (গ্রেফতারি) জোটে ৷ এঁদের কখনওই জেলের বাইরে রাখা উচিত নয় ৷ এতে সমাজ কলুষিত হয় ৷ এঁদের তাই ভিতরেই (জেলবন্দি) রাখা উচিত ৷ তাতে এঁদেরও ভালো ৷ বাকি সকলেরও ভালো ৷" বিকাশরঞ্জনের মতো প্রদীপও মনে করেন, অনেক আগেই অনুব্রতকে গ্রেফতার করা উচিত ছিল ৷ তাঁর প্রশ্ন, "যাঁর দেহরক্ষীর কাছে 100 কোটি টাকা থাকে, তাঁর কাছে তাহলে কত টাকা থাকবে ?"

Last Updated : Aug 11, 2022, 1:40 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.