কলকাতা, 3 অক্টোবর : মাস কয়েক আগে বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমকে শূন্য হাতে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বাংলার ভোটাররা ৷ তারপরও ভবানীপুরের উপনির্বাচনের ময়দানে নেমেছিল সিপিএম ৷ তারা যে জেতার জায়গায় নেই, তা তাদের অতি বড় সমর্থকও জানতেন ৷ মানুষের সমর্থন কতটা আদায় করা যাবে, সেই দিকেই তাকিয়েছিলেন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের কর্তারা ৷
রবিবার উপনির্বাচনের ফল প্রকাশের পর দেখা গেল ওই আসনে সিপিএমের জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৷ এমনকী, ছ’মাস আগে ওই আসনে জোটের তরফে প্রার্থী হওয়া কংগ্রেসের সাদাব খান পেয়েছিলেন 5211 ভোট ৷ আর রবিবার দেখা গেল সিপিএমের শ্রীজীব তার থেকেও প্রায় হাজার খানেক ভোট কম পেয়েছেন ৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট 4201 ৷
আরও পড়ুন : Adhir Ranjan Chowdhury : নির্বাচনে লড়ার জন্য সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থীকে ধন্যবাদ অধীরের
প্রাথমিকভাবে এই খারাপ ফলের দায় কংগ্রেসের উপরই চাপিয়েছেন সিপিএম নেতা রবীন দেব ৷ তাঁর দাবি, কংগ্রেস এবার সিপিএমকে সমর্থন করেনি ৷ কংগ্রেসের ভোটগুলি চলে গিয়েছে তৃণমূলের দিকে ৷
একই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, ভবানীপুরে ভোট দেওয়ার পরিবেশ ছিল কি ? তার সঙ্গে তিন যোগ করেছেন, এই হারের জন্য সিপিএমকে আত্মসমীক্ষা করতে হবে ৷ হারের কারণ দলকেই খুঁজে বের করতে ওই আত্মসমীক্ষা থেকে ৷
আরও পড়ুন : CPIM : প্রার্থী শ্রীজীব-পার্টি নির্জীব, সিপিএমকে কটাক্ষ কুণালের
যদিও তার আগেই দিনভর সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ-উপহাসের শিকার হতে হয়েছে বামেদের বড় শরিককে ৷ কারও কারও কটাক্ষ, ভবানীপুরে কারা সিপিএমকে ভোট দিল, তাদের খুঁজে বের করে ধন্যবাদ জানানো উচিত আলিমুদ্দিনের ৷ অনেকে আবার কটাক্ষ করেছেন যে, এর পর ভোটে লড়াই উচিত নয় সিপিএমের ৷
ভবানীপুরের সঙ্গে অবশ্য জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জেও লড়াই করেছে বামেরা ৷ সেখানেও তাদের জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৷ জঙ্গিপুরে আরএসপি প্রার্থী জানে আলম মিয়াঁ 9020 ভোট পেয়েছেন ৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোটের শতাংশ 4.57 ৷ আর সামশেরগঞ্জে সিপিএমের প্রার্থী মোদাস্সর হোসেন 6145 ভোট পেয়েছেন ৷ তিনি পেয়েছেন 3.27 শতাংশ ভোট ৷
আরও পড়ুন : Mamata Banerjee : ভবানীপুরে জিতে ভারতের পথে আরও একধাপ মমতার
এই পরিস্থিতি কাটিয়ে কবে সুদিন ফিরবে, আপাতত সেই দিকেই তাকিয়ে এই ঘোর দুর্দিনে থাকা সমর্থকরা ৷