ETV Bharat / city

Yechury on Tripura Assembly Polls: ত্রিপুরায় অবাধ নির্বাচনের দাবিতে কমিশনের দ্বারস্থ হবে সিপিএম, জানালেন ইয়েচুরি

ত্রিপুরায় এবারের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় ফেরার আশা করছে সিপিএম ৷ শুক্রবার দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির (CPIM General Secretary Sitaram Yechury) বক্তব্য থেকেই তা স্পষ্ট ৷ তাই ওই রাজ্যে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য এবার কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে সিপিএম ৷

Sitaram Yechury
Sitaram Yechury
author img

By

Published : Feb 10, 2023, 2:51 PM IST

আগরতলা (ত্রিপুরা), 10 ফেব্রুয়ারি: অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের (ECI) দ্বারস্থ হত চলেছে সিপিএম (CPIM) ৷ আগামী 16 ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন (Tripura Assembly Elections 2023) ৷ সেই ভোট উপলক্ষ্যেই তারা নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবে ৷ শুক্রবার এই কথাই জানিয়েছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ৷ তিনি জানান, ত্রিপুরায় নির্বাচন যাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়, সেই নিয়ে কমিশনের কাছে আবেদন জানানো হবে ৷ পাশাপাশি আবেদন করা হবে ভোটে যেন কেন্দ্রীয় বাহিনী কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে ৷

60 আসনের ত্রিপুরা বিধানসভায় দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল সিপিএম ৷ কিন্তু 2018 সালে তাদের হারিয়ে ত্রিপুরায় সরকার গড়ে বিজেপি (BJP) ৷ ফলে এবারের ভোট সিপিএমের কাছে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই ৷ সেই লড়াইয়ে কংগ্রেসের (Congress) হাত ধরেছে সিপিএমের ত্রিপুরা ব্রিগেড ৷ তাই সভা-সমাবেশ চলছে জোরকদমে ৷ দলের শীর্ষস্তরের নেতারা হাজির হচ্ছেন বারবার ৷ সেই তালিকায় রয়েছে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও ৷ নির্বাচন নিয়ে শুক্রবার তিনি সাংবাদিক বৈঠক করেন ৷

সেখানে তিনি বলেন, “আমি প্রচারের জন্য গত দুই দিন ধরে এখানে ছিলাম । গত দু’দিন ধরে আমি যেটা দেখেছি, তা হল ত্রিপুরার জনগণকে নিজেদের যে লুকিয়ে রাখতে চাইছে, সেটা খুবই স্পষ্ট । এই কারণেই তাঁরা প্রকাশ্যে বলতে চাইছে না যে তারা ধর্মনিরপেক্ষ জোটকে সমর্থন করছেন ৷ কিন্তু আইনের শাসন পুনরুদ্ধার করা ও এই রাজ্যে শান্তি ও গণতন্ত্র আবার প্রতিষ্ঠা করতে জনগণের অপ্রতিরোধ্য আবেগও খুবই দৃশ্যমান ৷”

তিনি আরও বলেন, “তাঁরা এখন এই শাসনের অবসান ঘটাতে আমাদের কাছে সাহায্য চাইছেন, যাতে তাঁদের স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ জীবনযাপনে সহায়তা করা যায় । ত্রিপুরার জনগণ এই অত্যাচারী শাসন থেকে মুক্তি চায় ৷ তারা স্বাভাবিক শাসন চায় । আরেকটি কারণ হল যে এখানে জনগণের মেজাজ দেখে মনে হচ্ছে অপশাসনের বিরুদ্ধে মানুষের অসন্তোষ চাপা দিতে অর্থ ও পেশী শক্তির ব্যবহারে মরিয়া বিজেপি ৷’’

অন্যদিকে তাঁদের প্রতি সমর্থন নিয়ে ইয়েচুরি যা দাবি করছেন, তা আদৌ তাঁদের সরকারে ফেরাতে সমর্থ হবে তো ! কারণ, এতদিন ত্রিপুরায় দ্বিমুখী লড়াইয় দেখা যেত৷ মূলত সিপিএম ও কংগ্রেসের মধ্যেই লড়াই হত ৷ 2018 সালে সেই লড়াইয়ে সিপিএমের বিরুদ্ধে ছিল বিজেপি ৷ কিন্তু এবার আর দ্বিমুখী লড়াই হচ্ছে না ৷ এবার সিপিএম ও বিজেপির সঙ্গে লড়াইয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও (Trinamool Congress) ৷ তাই অনেকের অনুমান, এবার ত্রিপুরায় ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হবে ৷

যদিও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন ইয়েচুরি ৷ তাঁর কথায়, “যদি পরিবর্তনের মেজাজ থাকে তবে ত্রিশঙ্কু বিধানসভার কোনও সম্ভাবনা নেই । আমার মতে, মানুষের মনোভাবে পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠনের ইঙ্গিত দিচ্ছে । কোনোভাবে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হবে না । কে জিতবে বা কে হারবে, তার থেকেও গণতন্ত্রকে জিততে হবে ও আইনের শাসনকে প্রাধান্য দিতে হবে ।’’

আরও পড়ুন: রাস্তা-জল-বিদ্যুতের দাবিতে ক্ষোভ, ত্রিপুরার গ্রামে ভোট বয়কটের ডাক

আগরতলা (ত্রিপুরা), 10 ফেব্রুয়ারি: অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের (ECI) দ্বারস্থ হত চলেছে সিপিএম (CPIM) ৷ আগামী 16 ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন (Tripura Assembly Elections 2023) ৷ সেই ভোট উপলক্ষ্যেই তারা নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবে ৷ শুক্রবার এই কথাই জানিয়েছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ৷ তিনি জানান, ত্রিপুরায় নির্বাচন যাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়, সেই নিয়ে কমিশনের কাছে আবেদন জানানো হবে ৷ পাশাপাশি আবেদন করা হবে ভোটে যেন কেন্দ্রীয় বাহিনী কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে ৷

60 আসনের ত্রিপুরা বিধানসভায় দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল সিপিএম ৷ কিন্তু 2018 সালে তাদের হারিয়ে ত্রিপুরায় সরকার গড়ে বিজেপি (BJP) ৷ ফলে এবারের ভোট সিপিএমের কাছে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই ৷ সেই লড়াইয়ে কংগ্রেসের (Congress) হাত ধরেছে সিপিএমের ত্রিপুরা ব্রিগেড ৷ তাই সভা-সমাবেশ চলছে জোরকদমে ৷ দলের শীর্ষস্তরের নেতারা হাজির হচ্ছেন বারবার ৷ সেই তালিকায় রয়েছে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও ৷ নির্বাচন নিয়ে শুক্রবার তিনি সাংবাদিক বৈঠক করেন ৷

সেখানে তিনি বলেন, “আমি প্রচারের জন্য গত দুই দিন ধরে এখানে ছিলাম । গত দু’দিন ধরে আমি যেটা দেখেছি, তা হল ত্রিপুরার জনগণকে নিজেদের যে লুকিয়ে রাখতে চাইছে, সেটা খুবই স্পষ্ট । এই কারণেই তাঁরা প্রকাশ্যে বলতে চাইছে না যে তারা ধর্মনিরপেক্ষ জোটকে সমর্থন করছেন ৷ কিন্তু আইনের শাসন পুনরুদ্ধার করা ও এই রাজ্যে শান্তি ও গণতন্ত্র আবার প্রতিষ্ঠা করতে জনগণের অপ্রতিরোধ্য আবেগও খুবই দৃশ্যমান ৷”

তিনি আরও বলেন, “তাঁরা এখন এই শাসনের অবসান ঘটাতে আমাদের কাছে সাহায্য চাইছেন, যাতে তাঁদের স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ জীবনযাপনে সহায়তা করা যায় । ত্রিপুরার জনগণ এই অত্যাচারী শাসন থেকে মুক্তি চায় ৷ তারা স্বাভাবিক শাসন চায় । আরেকটি কারণ হল যে এখানে জনগণের মেজাজ দেখে মনে হচ্ছে অপশাসনের বিরুদ্ধে মানুষের অসন্তোষ চাপা দিতে অর্থ ও পেশী শক্তির ব্যবহারে মরিয়া বিজেপি ৷’’

অন্যদিকে তাঁদের প্রতি সমর্থন নিয়ে ইয়েচুরি যা দাবি করছেন, তা আদৌ তাঁদের সরকারে ফেরাতে সমর্থ হবে তো ! কারণ, এতদিন ত্রিপুরায় দ্বিমুখী লড়াইয় দেখা যেত৷ মূলত সিপিএম ও কংগ্রেসের মধ্যেই লড়াই হত ৷ 2018 সালে সেই লড়াইয়ে সিপিএমের বিরুদ্ধে ছিল বিজেপি ৷ কিন্তু এবার আর দ্বিমুখী লড়াই হচ্ছে না ৷ এবার সিপিএম ও বিজেপির সঙ্গে লড়াইয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও (Trinamool Congress) ৷ তাই অনেকের অনুমান, এবার ত্রিপুরায় ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হবে ৷

যদিও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন ইয়েচুরি ৷ তাঁর কথায়, “যদি পরিবর্তনের মেজাজ থাকে তবে ত্রিশঙ্কু বিধানসভার কোনও সম্ভাবনা নেই । আমার মতে, মানুষের মনোভাবে পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠনের ইঙ্গিত দিচ্ছে । কোনোভাবে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হবে না । কে জিতবে বা কে হারবে, তার থেকেও গণতন্ত্রকে জিততে হবে ও আইনের শাসনকে প্রাধান্য দিতে হবে ।’’

আরও পড়ুন: রাস্তা-জল-বিদ্যুতের দাবিতে ক্ষোভ, ত্রিপুরার গ্রামে ভোট বয়কটের ডাক

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.