ETV Bharat / city

অন্য শিশুরা দেখতে পাবে, মৃত সন্তানের কর্নিয়া দান দম্পতির

মৃত তিন বছরের সন্তানের কর্নিয়া দান করলেন মা -বাবা ৷ যাতে অন্যরা দেখতে পায় ৷ মৃত্যুর পরেও যাতে তাঁদের সন্তান বেঁচে থাকে অন্যদের শরীরে ৷

প্রতীকী ছবি
author img

By

Published : Nov 19, 2019, 2:27 AM IST

Updated : Nov 19, 2019, 8:28 AM IST

কলকাতা, 19 নভেম্বর : একমাত্র সন্তান আর বেঁচে নেই । প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ডেঙ্গি । তবে, মৃত্যুর পরেও সন্তান যাতে বেঁচে থাকে অন্যদের শরীরে ৷ অন্যরা যাতে চোখে দেখতে পায়, তার জন্য মৃত সন্তানের কর্নিয়া দান করলেন মা-বাবা । কলকাতার ঘটনা ৷

অহর্ষি ধর (3) । বাড়ি লেকটাউনে ৷ অহর্ষির মা স্মিতা কর্মকার বলেন, " যদি আর দু'টি বাচ্চা ওর চোখ দিয়ে দেখতে পায়, তাই আমরা ওর কর্নিয়া দান করেছি ।" অহর্ষির বাবা শুভ্রজিৎ ধর বলেন, " এটা আমাদের দু'জনের (সস্ত্রীক) যুগ্মভাবে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত ।"

স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা শুরু হয়েছিল অহর্ষির ৷ সেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রক্ত পরীক্ষাও করানো হয় । রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে ডেঙ্গি ধরা পড়ে । এর পরে 14 নভেম্বর পার্ক সার্কাসের বেসরকারি একটি শিশু হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয় । রবিবার রাত সাড়ে 11 টা নাগাদ মারা যায় সে ৷ এর পরে মৃত সন্তানের চক্ষু দানের সিদ্ধান্ত নেন মা-বাবা ।

স্মিতা ও শুভ্রজিৎ-এর একমাত্র সন্তান ছিল অহর্ষি । সন্তান হারানোর বেদনা সত্ত্বেও এভাবে অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা ৷ শুধুমাত্র কর্নিয়া নয়, অহর্ষির অন্যান্য অঙ্গও তাঁরা দান করতে চেয়েছিলেন বলে জানা গেছে । তবে শেষ পর্যন্ত শুধুমাত্র তার কর্নিয়া দান করা সম্ভব হয়েছে । এই ঘটনা অঙ্গদানের ক্ষেত্রে অন্যদের আরও উৎসাহিত করবে বলে মনে করছেন অঙ্গদান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত অনেক মানুষ ৷

কলকাতা, 19 নভেম্বর : একমাত্র সন্তান আর বেঁচে নেই । প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ডেঙ্গি । তবে, মৃত্যুর পরেও সন্তান যাতে বেঁচে থাকে অন্যদের শরীরে ৷ অন্যরা যাতে চোখে দেখতে পায়, তার জন্য মৃত সন্তানের কর্নিয়া দান করলেন মা-বাবা । কলকাতার ঘটনা ৷

অহর্ষি ধর (3) । বাড়ি লেকটাউনে ৷ অহর্ষির মা স্মিতা কর্মকার বলেন, " যদি আর দু'টি বাচ্চা ওর চোখ দিয়ে দেখতে পায়, তাই আমরা ওর কর্নিয়া দান করেছি ।" অহর্ষির বাবা শুভ্রজিৎ ধর বলেন, " এটা আমাদের দু'জনের (সস্ত্রীক) যুগ্মভাবে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত ।"

স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা শুরু হয়েছিল অহর্ষির ৷ সেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রক্ত পরীক্ষাও করানো হয় । রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে ডেঙ্গি ধরা পড়ে । এর পরে 14 নভেম্বর পার্ক সার্কাসের বেসরকারি একটি শিশু হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয় । রবিবার রাত সাড়ে 11 টা নাগাদ মারা যায় সে ৷ এর পরে মৃত সন্তানের চক্ষু দানের সিদ্ধান্ত নেন মা-বাবা ।

স্মিতা ও শুভ্রজিৎ-এর একমাত্র সন্তান ছিল অহর্ষি । সন্তান হারানোর বেদনা সত্ত্বেও এভাবে অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা ৷ শুধুমাত্র কর্নিয়া নয়, অহর্ষির অন্যান্য অঙ্গও তাঁরা দান করতে চেয়েছিলেন বলে জানা গেছে । তবে শেষ পর্যন্ত শুধুমাত্র তার কর্নিয়া দান করা সম্ভব হয়েছে । এই ঘটনা অঙ্গদানের ক্ষেত্রে অন্যদের আরও উৎসাহিত করবে বলে মনে করছেন অঙ্গদান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত অনেক মানুষ ৷

Intro:কলকাতা, ১৮ নভেম্বর: একমাত্র সন্তান আর বেঁচে নেই। প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ডেঙ্গি। তবে, মৃত্যুর পরেও সন্তান যাতে বেঁচে থাকে অন্যদের শরীরে, অন্যরা যাতে চোখে দেখতে পায়, তার জন্য মৃত সন্তানের কর্নিয়া দান করলেন মা-বাবা। এই ঘটনা কলকাতার।Body:মৃত ওই সন্তানের নাম অহর্ষি ধর। তিন বছর বয়সি এই শিশু লেকটাউনের বাসিন্দা ছিল। অহর্ষির মা স্মিতা কর্মকার বলেন, "যদি আর দুটি বাচ্চা ওর চোখ দিয়ে দেখতে পাই, তাই আমরা ওর কর্নিয়া দান করেছি।" আর, এই বিষয়ে অহর্ষির বাবা শুভ্রজিৎ ধর বলেন, "এটা আমাদের দু'জনের (সস্ত্রীক) যুগ্মভাবে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।" স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা শুরু হয় এই শিশুর। এই চিকিৎসকের পরামর্শে রক্ত পরীক্ষাও করানো হয়। রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে ডেঙ্গি ধরা পড়ে। এর পরে গত ১৪ নভেম্বর পার্ক সার্কাসে অবস্থিত বেসরকারি একটি শিশু হাসপাতালে অহর্ষিকে ভর্তি করানো হয়।
Conclusion:তবে, শেষ রক্ষা আর করা যায়নি। গতকাল, রবিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ অহর্ষির মৃত্যু হয়। এর পরে মৃত সন্তানের চক্ষু দানের সিদ্ধান্ত নেন মা-বাবা। একমাত্র সন্তান ছিল অহর্ষি। সন্তান হারানোর বেদনা সত্ত্বেও এভাবে অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মা-বাবা। তবে, শুধুমাত্র কর্নিয়া নয়। অহর্ষির অন্যান্য অঙ্গও তাঁরা দান করতে চেয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে, অবশেষে, শুধুমাত্র অহর্ষির কর্নিয়া দান করা সম্ভব হয়েছে। এই ঘটনা, অঙ্গদানের ক্ষেত্রে অন্যদের আরও উৎসাহ দেবে বলে মনে করছেন অঙ্গদান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত অনেক মানুষ।
_________
Last Updated : Nov 19, 2019, 8:28 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.